প্রথম টেস্টে অবিশ্বাস্য একটা ধাক্কা খেয়েছে পাকিস্তান, বাংলাদেশের বিপক্ষে দশ উইকেটে হার তাঁদের জন্য আসমান থেকে জমিনে পড়ার মতই। তাই তো দ্বিতীয় টেস্টে বড়সড় পরিবর্তন আসবে এমনটাই ধারণা ছিল সবার, কিন্তু ম্যাচের আগে প্রকাশিত বারো সদস্যের দলে পরিবর্তন বলতে কেবল একটিই – শাহীন শাহ আফ্রিদিকে বাদ দেয়া, পরিবর্তে মীর হামজা এবং আবরার আহমেদকে যোগ করা।
রাওয়ালপিন্ডিতে মোহাম্মদ রিজওয়ান দুই ইনিংসেই পারফরম করেছিলেন, সৌদ শাকিল কিংবা সায়িম আইয়ুবও সন্তোষজনক পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন। আর বাকিরা ব্যর্থ হয়েছে শোচনীয়ভাবে, অথচ টিম ম্যানেজম্যান্টের রোষানলে পড়লেন কেবল শাহীন শাহ। স্বাভাবিকভাবেই মনঃক্ষুণ্ন হয়েছেন তিনি।
ইতোমধ্যে তাঁর সেই দুঃখবোধের কথা ভক্ত-সমর্থকদের আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছে। দৃশ্যত, প্রথম টেস্টে হারের দায় এককভাবে তাঁকেই দেয়া হচ্ছে; সেটা কোনভাবেই ন্যায়সঙ্গত মনে হচ্ছে না ক্রিকেটপ্রেমীদের। তবে এই গল্পে টুইস্ট কেবল এতটুকুই নয়, বাঁ-হাতি পেসারের সঙ্গে ম্যানেজম্যান্টের বৈরিতার আরেক অধ্যায় রয়েছে।
ম্যাচ শেষে নিজের সদ্য প্রসূত সন্তানের সঙ্গে দেখার করার অনুমতি দেয়া হয়েছিল তাঁকে; কিন্তু দু’দিন না যেতেই পুনরায় টিম হোটেলে ফিরতে বলা হয়। তড়িঘড়ি করে ফিরেও এসেছিলেন তিনি, কিন্তু এসে দেখলেন তাঁর নামই নেই পরের টেস্টের দলে! স্বাভাবিকভাবেই এই পেসারের মনে প্রশ্ন জেগেছে যদি পরিকল্পনাতেই রাখা না হয় তাহলে এত জরুরী ভিত্তিতে ছুটি বাতিল করা হলো কেন?
রঙিন পোশাকে এর আগে লম্বা মেয়াদে অধিনায়কত্ব দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও মাত্র এক সিরিজ পরেই তাঁর কাছ থেকে অধিনায়কত্ব ছিনিয়ে নিয়েছিল টিম ম্যানেজম্যান্ট। এছাড়া টেস্টে সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব থেকেও অব্যাহতি দেয়া হয়েছে তাঁকে।
অথচ টেস্ট ক্রিকেটে আরো বেশি মনযোগ দেয়ার জন্য বিদেশী লিগের বিলাসি প্রস্তাবও ফিরিয়ে দিয়েছিলেন শাহীন। কিন্তু এমন প্রতিদান তিনি পাবেন সেটা বোধহয় ভাবেননি। জানা গিয়েছে বোর্ডের একজন কর্মকর্তা তাঁর ওপর বিরক্ত, তিনিই মূলত দ্বিতীয় টেস্ট থেকে তাঁকে বাদ দেয়ার পিছনে কলকাঠি নেড়েছেন।