ওয়ানডেতে ব্যাটে কিংবা বলে দারুণ পারফর্ম করে সিরিজ সেরা হয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। তবে বিপত্তি বাঁধে শেষ ওয়ানডেতে বোলিং করতে গিয়ে। তৃতীয় ওয়ানডেতে ৪.৫ ওভার বোলিং করার পর কুচঁকিতে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন সাকিব।
সেই চোট থেকে পুরোপুরি সেরে না উঠেই চট্টগ্রামে টেস্ট খেলছিলেন সাকিব। প্রথম ইনিংসে ফিফটিও করেছেন। এর মধ্যে নতুন করে সেই কুচঁকিতেই চোট পেয়েছেন এই অলরাউন্ডার। যেহেতু সেই চোট পরীক্ষা করাতে হোটেল থেকে বেরিয়েছেন। ফলে জৈব বলয়ে অনুষ্ঠিত এই টেস্টে সুস্থ হয়ে উঠলেও আর খেলার সম্ভাবনা নেই সাকিবের।
ওয়ানডেতে চোট পাওয়ার পর থেকেই বিশ্রামে ছিলেন এই অলরাউন্ডার। চট্টগ্রাম টেস্ট শুরু দুই দিন আগে অনুশীলনে ফিরলেও হালকা অনুশীলন করার পর অস্বস্তি অনুভব করলে অনুশীলন ছেড়ে উঠে যান সাকিব।
এমনকি ম্যাচের আগের দিনও শতভাগ ফিট ছিলেন না সাকিব আল হাসান। পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার ভিতর থেকে চোট কাটিয়ে সিরিজের প্রথম টেস্টেই মাঠে নামেন সাকিব। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে ব্যাট হাতে খেলেন ৬৮ রানের ইনিংস।
টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শেষ বিকালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ইনিংসে ৬ ওভার বল করার পর আবারো চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন সাকিব। প্রাথমিক ভাবে দেখে মনে হচ্ছিলো পুরোনো চোটেই অস্বস্তিতে আছেন এই অলরাউন্ডার।
তবে টেস্টের তৃতীয় দিনে আজ সকালে দলের সাথে মাঠে এসেও সাকিবকে ফিল্ডিং করতে না দেখেই শঙ্কা জাগে সবার।
সাকিবের স্ক্যান করানোর সিদ্বান্ত নেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এমআরআই রিপোর্ট পাওয়ার পরই এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিসিবি যেটা জানায় সেটার জন্যও প্রস্তুত ছিলেন না কেউই। বিসিবির পক্ষ থেকে জানানো হয় পুরাতন চোট নয়; নতুন করে আবার চোট পেয়েছেন সাকিব আল হাসান।
চোট পাওয়া সাকিব আল হাসানকে আপাদত বিসিবির মেডিকেল টিমের তত্ত্বাবধায়নে রাখা হয়েছে। মেডিকেল টিমই তাঁর অবস্থার ও উন্নতির পর্যবেক্ষণ করবে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘কুঁচকির চোট সেরে উঠে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করার পাশাপাশি ৬ ওভার বলও করেন অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তবে দ্বিতীয় দিন মাঠে ফিল্ডিংয়ের সময় তার বাম উরুর একটি আলাদা অংশে স্ট্রেইন ধরা পড়ে। আজ সকালে এমআরআই রিপোর্ট পাওয়ার পরই চোটের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়। বিসিবির মেডিকেল টিম প্রথম টেস্ট চলা অবস্থাতেই তাঁর চিকিৎসা ও উন্নতির অবস্থা পর্যবেক্ষণ করবে।’
এমআরআই করাতে জৈব সুরক্ষা বায়ো বাবলের বাইরে যেতে হয়েছে সাকিবকে। এই ম্যাচে খেলতে হলে আবারো জৈব সুরক্ষা বায়ো বাবলে প্রবেশ করতে হবে সাকিবকে। জৈব সুরক্ষা বায়ো বাবলে প্রবেশ করতে একটা প্রক্রিয়ার ভিতর দিয়ে আসতে হয়; যেটা অনেকটাই সময়সাপেক্ষ। ফলে ধরেই নেওয়া যায়, সাকিবের এই টেস্ট আর খেলা হচ্ছে না।
আশঙ্কার ব্যাপার হলো, খুব দ্রুত সুস্থ না হলে দ্বিতীয় টেস্টেও তার খেলা নিয়ে সংশয় থাকবে।