২০১১ সালে কলকাতা নাইট রাইার্সের জার্সিতে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) যাত্রা শুরু হয়েছিলো সাকিব আল হাসানের। এরপর কলকাতার হয়ে দুই বার শিরোপাও জিতেছেন সাকিব। এবার সাকিবের ঝুলিতে যোগ হলো আরো একটা প্রাপ্তি। আজ কলকাতার হয়ে আইপিএলে নিজের ৫০ তম ম্যাচ খেলতে নেমেছেন এই অলরাউন্ডার।
আর নেমে নিজের হারানো ছন্দও ফিরে পেয়েছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার। চার ওভার বোলিং করেছেন। তাতে রান দিয়েছেন মাত্র ২৩ টি। ফিরিয়েছেন বিপজ্জনক হয়ে ওঠা ভারতীয় ব্যাটসম্যান ও সাকিবেরই সাবেক কলকাতা সতীর্থ সুরিয়াকুমার যাদবকে। আর মাত্র এক উইকেট নিলেই সব ধরণের স্বীকৃত ক্রিকেট মিলে এক হাজার উইকেট নেওয়ার বিরল কীর্তি গড়বেন তিনি।
টুইটারে সাকিবের বোলিং নিয়ে ক্রিকেট বিশ্লেষক হার্শা ভোগলে লিখেছেন, ‘টিপিকাল সাকিব পারফরম্যান্স! আপনি নিজেকে প্রশ্ন করবেন, সে কী করেছে? তারপর দেখবেন ৪-০-২৩-১!’
আজ অবশ্য ম্যাচের আগেই সাকিবরা একটু উদযাপন করেছেন। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে ৫০ তম ম্যাচ উপলক্ষে সময়ের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডারকে ক্যাপ তুলে দিয়েছেন কলকাতার কোচ ও সাবেক অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। এবারের আইপিএলে এটি সাকিব আল হাসানের দ্বিতীয় ম্যাচ। প্রথম ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিলো কলকাতা।
২০১১ সালে নিজের প্রথম আইপিএলে কলকাতার হয়ে ৭ ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়েছিলো সাকিবের। এই ৭ ম্যাচের ৩ ইনিংসে ২৯ রান করার পাশাপাশি বল হাতে শিকার করেছিলেন ১১ উইকেট। এর পরের আসরেই আইপিএলে প্রথম বারের মতো শিরোপা জেতে কলকাতা নাইট রাইডার্স।
ঐ আসরে বল হাতে ৮ ম্যাচে ১২ উইকেট শিকার করার পাশাপাশি ব্যাট হাতেও করেন ৯১ রান। ২০১৩ সালের আইপিএলে খেলা না হলেও পরের আসরে ফিরেই কলকাতার দ্বিতীয় শিরোপা জেতাতে ব্যাটে বলে ভূমিকা রাখেন এই অলরাউন্ডার।
২০১৪ সালের আইপিএলে ১৩ ম্যাচে ১৪৯.৩৪ স্টাইকরেটে ২২৭ রানের সাথে ৬.৬৮ ইকোনোমিতে ১১ উইকেট শিকার করেন সাকিব আল হাসান। ২০১৫ সালের আইপিএলে ৪ ম্যাচে ৩৬ রান ও ৪ উইকেট এবং ২০১৬ সালের আইপিএলে ১০ ম্যাচে ১১৪ রান ও ৫ উইকেট নেন সাকিব। ২০১৭ সালের আসরে মাত্র ১ ম্যাচ খেলার সুযোগ হয় সাকিবের।
কলকাতার হয়ে ছয় আসর খেলার পর ২০১৮ সালে সাকিবকে কিনে নেয় সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। আর ঐ আসরেই ব্যাটে বলে সবচেয়ে বেশী উজ্জ্বল ছিলেন সাকিব। আইপিএলের ঐ আসরে ১৭ ম্যাচে ২৩৯ রান করার পাশাপাশি বল হাতে ১৪ উইকেট শিকার করেন এই অলরাউন্ডার।
পরের আসরেও সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের হয়ে খেলেন সাকিব। কিন্তু ঐ আসরে মাত্র ৩ ম্যাচ খেলার সুযোগ পান সাকিব আল হাসান। আইসিসির নিষেধাজ্ঞা থাকায় এর পরের আসরে খেলা হয়নি সাকিবের।
বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের ভিতর সাকিবই সবচেয়ে বেশি আইপিএল খেলেছেন। আইপিএলে ৬৪ ম্যাচ খেলে ৭৪৯ রান করার পাশাপাশি বল হাতে ৬৫ ম্যাচে সাকিব শিকার করেছেন ৬১ উইকেট।