নিভৃতে সাকিবের ফিট হওয়ার প্রচেষ্টা

মিরপুর হোম অব ক্রিকেটে আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ টেস্ট দল ব্যস্ত নিজেদের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নিতে। বাংলাদেশের একাদশ কেমন হবে, উইকেট ঠিক কেমন আচরণ করবে, সেসব নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। সংবাদ সম্মেলনে এসে দুই দলের কোচ শুনিয়ে গেছেন জয়ের বার্তা।

বাংলাদেশের ক্রিকেট পাড়ায় জোর আলোচনা টেস্ট নিয়ে। অথচ টেস্টের নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান নেই কোন চর্চায়। থাকার কথাও নয় সম্ভবত। কেননা আঙুলের চোটে তিনি রয়েছেন আপাতত দলের বাইরে। তবে তাই বলে বসে নেই সাকিব আল হাসান। নিজেকে প্রস্তুত করছেন ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য।

মিরপুর হোম অব ক্রিকেটে আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ টেস্ট দল ব্যস্ত নিজেদের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নিতে। বাংলাদেশের একাদশ কেমন হবে, উইকেট ঠিক কেমন আচরণ করবে, সেসব নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। সংবাদ সম্মেলনে এসে দুই দলের কোচ শুনিয়ে গেছেন জয়ের বার্তা।

হোম অব ক্রিকেটে টেস্টের প্রস্তুতি চলছে জোরেশোরে। সেসবের মাঝেই সাকিব আল হাসানের আগমন। তিনি মূলত নিজের শরীর চর্চার দিকেই দিয়েছেন মনোযোগ। দুপুরের রৌদে প্রায় ঘন্টা খানেক দৌড়ে বেড়িয়েছেন শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। যেন এক নিভৃত প্রচেষ্টা।

স্টপওয়াচ ধরে নিজের সক্ষমতার হিসেবটা রেখেছেন। প্রতিনিয়ত প্রচেষ্টা চালিয়েছেন আগের দৌড় থেকে উন্নতি করবার। নিজেকে ফিরে পাওয়ার তীব্র বাসনা পরিলক্ষিত হয় দূর থেকেই। শারীরিক গড়নেও খানিকটা পরিবর্তন লক্ষণীয়। অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন, অন্তত খালি চোখে সেটাই আন্দাজ করে নেওয়া যায়।

২০১৯ বিশ্বকাপের আগে নিজেকে প্রস্তুত করেছিলেন সাকিব আল হাসান। অতিরিক্ত মেদ কমিয়ে থাকতে চেয়েছেন স্বতঃস্ফূর্ত। আর সেটার ফলাফল দেখেছিল গোটা ক্রিকেট বিশ্ব। নিজেকে অনন্য এক উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন। প্রায় একা হাতে বাংলাদেশের প্রতিটা ম্যাচে লড়াই করে গেছেন। ইংল্যান্ডের সে বিশ্বকাপে সাকিবে বিমোহিত হয়েছিল সবাই।

হয়ত তেমনই কোন ব্রত নিয়েছেন সাকিব আল হাসান। বয়সটা হয়েছে বেশ। আগামী বিশ্বকাপে অতিমানবীয় কিছু না ঘটলে তিনি থাকবেন না বাংলাদেশ দলে। সে দিকটা বিবেচনায় এটাই হয়ত সাকিবের শেষ বিশ্বকাপ। তিনি নিশ্চয়ই চাইছেন আগের থেকেও বেশি স্মরনীয় করে রাখতে নিজের শেষ সুযোগটা।

তাছাড়া বহুবার জনসম্মুখেই তিনি আভাস দিয়েছেন এবারের বিশ্বকাপে ভাল কিছু করার। শুধু ব্যক্তিগতভাবে নয়, দলগত ভাবেই। তবে দলগতভাবে ভাল পারফরমেন্সের পূর্ব শর্তই হচ্ছে নিজের কাজটা ঠিকঠাক করা। সাকিব আল হাসান সে কাজটাই যেন করতে চাইছেন। নিজের শতভাগ দিয়ে তৈরি থাকতে চাইছেন।

তবে বিশ্বকাপের আগে রয়েছে বেশ কিছু সিরিজ। এছাড়াও জলঘোলা হলেও এশিয়া কাপ গড়াবে মাঠে। সেসব ক্ষেত্রেও তো সাকিব দলে ভারসাম্য রক্ষায় প্রথম পছন্দ। সবকিছুকে মাথায় রেখে সাকিব নিজেকে প্রস্তুত করছেন। ইনজুরি সেরে উঠছে। ফিটনেসটাও তো রাখা চাই টপনচ। সে প্রচেষ্টাই সাকিবের।

তবে আফগানদের বিপক্ষে টেস্টের চিন্তা একেবারেই মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে পারেননি সাকিব। উইকেট ঠিক কেমন হচ্ছে সে বিষয়েও খানিকটা তদারকি করেছেন সাকিব। তার অভিজ্ঞতার বিশাল ঝুলি থেকে হয়ত টোটকাও দেবেন নব্য অধিনায়ক লিটন কুমার দাসকে।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...