বাংলাদেশের না হলেও শেষটা সাকিবের!

তাঁর চেয়ে ভাল ব্যাটার এই সময়ে আছে বিস্তর। তাঁর চেয়ে ভাল বোলিং করেন, এমন চরিত্রও খুঁজে পাওয়া কঠিন নয়। তবে, এই দুইটা চরিত্রের মিশেল পাওয়াটা খুব বেশ মুশকিল। ক্রিকেট বিশ্বেই এমন মানুষ আছেন হাতে গোনা কয়েকজন।

ব্যাটিংয়ে ১৭ বলে ২১ রান করেছেন। খুব আহামরী কিছু নয়। বল হাতে একটা উইকেট নিয়েছেন। চার ওভারে রান দিয়েছেন মাত্র নয়টি। রান হজমের কৃপণতা বাদ দিলে এই বোলিংটাও খুব বেশি কিছু মনে হবার কথা নয়। কিন্তু, এই ব্যাটিং আর বোলিংয়ের মিশেলটাই সাকিবকে করেছে বাকিদের চেয়ে আলাদা।

সাকিবের সামনে সব ফরম্যাট মিলিয়ে ৭০০ টি আন্তর্জাতিক উইকেট তুলে নেওয়ার মঞ্চ প্রস্তুত ছিল। কিন্তু, সাকিব থেমেছেন এক উইকেট কম নিয়ে। তবে, সে জন্য তাঁর জন্য অন্তত পুরো বিশ্বকাপের টি-টোয়েন্টি আসর অপেক্ষায় আছে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিনটা ম্যাচ তো আছেই।

বিশ্বকাপে সাকিব আবার অন্য প্রজাতির ক্রিকেটার। সেরাদের আসরের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার তিনি। কেবল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেই তিনি নিয়েছেন ৪৭ টা উইকেট। আর তিনটা উইকেট নিলে তিনি প্রথম বোলার হিসেবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে উইকেটের হাফ সেঞ্চুরি সেঞ্চুরি করার কীর্তি গড়বেন। এই বিশ্বকাপে আর কেউ এখানে সাকিবের ধারের কাছেও নেই। শ্রীলঙ্কার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার আছে ৩১ টি উইকেট।

বিশ্বকাপের পর আর টি-টোয়েন্টির আন্তর্জাতিক ফরম্যাটটা খেলবেন না সাকিব। এমন আভাস তিনি আগে-পরে দিয়েছেন অনেকবারই। সেদিক থেকে মিরপুরের মাঠে এটাই তাঁর শেষ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। তবে, এটাও ঠিক যে নামটা সাকিব আল হাসান, তিন কিভাবে কি করে ফেলেন – তা বলা মুশকিল!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link