আবারো সাগরিকায় তান্ডব বইয়ে দিলেন সাকিব আল হাসান, আর সেই তান্ডবে উড়ে গেলো স্বাগতিক চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। সাকিবের পাশাপাশি অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্স করেছেন শেখ মেহেদী হাসানও, তাতেই ১৮ রানে রংপুরের কাছে হেরেছে দলটি। এই জয়ে প্রথম দল হিসেবে পরের রাউন্ড নিশ্চিত করলো নুরুল হাসান সোহানরা।
আগে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং করেন ওপেনার রনি তালুকদার। তবে পরপর দুই ওভারে দুই ওপেনার আউট হলে খানিকটা চাপে পড়ে যায় রংপুর। মিডল অর্ডারে ব্রেন্ডন কিং, নুরুল হাসান সোহানরা পারেননি দলকে উদ্ধার করতে; উল্টো চাপ বাড়িয়েছেন। ফলে ৭১ রানে চার উইকেট হারিয়ে বসা দলটির ত্রাতা হয়ে সেসময় আবির্ভূত হন সাকিব আল হাসান।
তাঁর অতি আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে প্রাণ ফিরে আসে বাইশ গজে, মাত্র ৩৩ বলে হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। শেখ মেহেদী হাসানও আরেক প্রান্তে শুরু করেন ব্যাটিং ঝড়। ১৭ বলে ৩৪ রান করে এই ডানহাতি আউট হলে ভাঙ্গে তাঁদের ৬৮ রানের টর্নেডো জুটি। উনিশতম ওভারে প্যাভিলিয়নে ফেরেন সাকিব, এর আগে অবশ্য ৩৯ বলে ৬২ রান করেন তিনি।
শেষদিকে শামীম হোসেনের ব্যাট থেকে আসে ছোট কিন্তু কার্যকরী ক্যামিও, নয় বলে ১৭ রান করেন এই তরুণ। তাতেই ১৮৭ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করাতে সক্ষম হয় টিম রাইডার্স।
রান তাড়া করতে নামা চট্টগ্রামকে প্রথম ওভারেই ব্যাকফুটে ঠেলে দেন ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস; জস ব্রাউনকে শিকার করেন তিনি। ব্যক্তিগত দ্বিতীয় ও তৃতীয় ওভারেও উইকেটের ধারাবাহিকতা ধরে রাখেন প্রোটিয়া পেসার। একে একে সাজঘরের পথ দেখান সৈকত আলী ও তানজিদ হাসানকে। তখনি ম্যাচের ফলাফল নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল।
তবে অধিনায়কত্ব শুভাগতকে সঙ্গে নিয়ে ব্যবধান কমানোর চেষ্টা করেছিলেন টম ব্রুস। কিন্তু মেহেদী বেশিক্ষণ টিকতে দেননি তাঁদের, দু’জনের উইকেটই ঝুলিতে পুরেছেন তিনি। শেষদিকে রোমারিও শেফার্ড ছাড়া আর কেউই সেভাবে দাঁড়াতে পারেননি; এই উইন্ডিজ অলরাউন্ডার মাত্র ২১ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করেন।
শেষপর্যন্ত ৩০ বলে ৬৬ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন তিনি, যদিও সেটি কেবলই পরাজয়ের ব্যবধান কমিয়েছে। হয়তো আরেকটু সময় পেলে ম্যাচের গল্পটা বদলাতে পারতেন এই তারকা।