ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) জুলাই মাসের সেরা ক্রিকেটার হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন সাকিব আল হাসান। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে প্রতি মাসের সেরা ক্রিকেটারকে দেওয়া হয় ‘প্লেয়ার অব দ্যা মান্থ’ পুরস্কার। এই অলরাউন্ডারের সাথে জুলাই মাসের প্লেয়ার অব দ্য মান্থের মনোয়ন আরো পেয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার মিশেল মার্শ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের হেইডেন ওয়ালশ জুনিয়র।
বাংলাদেশের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে প্লেয়ার অব দ্য মান্থের জন্য মনোনয়ন পেলেন সাকিব। এর আগে গত মে মাসে মনোনয়ন পেয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম। শুধু মনোনয়ন নয় পুরস্কারও জিতেছিলেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান।
গত মাসে জিম্বাবুয়ের সাথে একমাত্র টেস্ট ও তিন ম্যাচের ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে মনোনয়ন পেলেন সাকিব।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঐ সিরিজের একমাত্র টেস্টের এক ইনিংসে ব্যাট করার সুযোগ পেয়ে ৩ রান করলেও দুই ইনিংসে পাঁচ উইকেট শিকার করে দলের জয়ে অবদান রেখেছিলেন। এছাড়া তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে বল হাতে শিকার করেছিলেন পাঁচ উইকেট ও ব্যাট হাতে করেছিলেন ১৯ রান।
সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাট হাতে দারুণ এক ইনিংস খেলে একাই দলকে জিতিয়েছিলেন এই অলরাউন্ডার। দলের বিপর্যয়ের মুখে খেলেছিলেন ১০৯ বলে অপরাজিত ৯৬ রানের ইনিংস। বল হাতেও সফল ছিলেন তিনি। ১০ ওভারে ৪২ রান দিয়ে শিকার করেছিলেন দুই উইকেট। আর সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে বল হাতে এক উইকেট পেলেও ব্যাট হাতে করেছিলেন গুরুত্বপূর্ণ ৩০ রান।
ওয়ানডে সিরিজে সিরিজ সেরা হওয়ার পর তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজেও উজ্জল ছিলেন এই অলরাউন্ডা। সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ব্যাট করার সুযোগ না পেলেও বল হাতে নিয়েছিলেন এক উইকেট। দ্বিতীয় ম্যাচে বল হাতে এক উইকেট ও ব্যাট হাতে করেছিলেন ১২ রান। শেষ ম্যাচে রান তাড়ায় ১৩ বলে ২৫ রানের পাশাপাশি বল হাতে চার ওভারে ২৪ রান দিয়ে পেয়েছিলেন এক উইকেট।
বাংলাদেশের বিপক্ষে চলামান পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে দারুণ ব্যাট করা মিশেল মার্শ এর আগের সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথেও ব্যাটে বলে ছিলেন দুর্দান্ত। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে করেছেন ৪৩.৮০ গড়ে ২১৯ রান ও বল হাতে ৬.৭৬ ইকনোমি রেটে নিয়েছেন ৮টি উইকেট।
ঐ সিরিজেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রতি ম্যাচেই বল হাতে দুর্দান্ত ছিলেন হেইডেন ওয়ালশ জুনিয়র। ওয়ানডে সিরিজে ৭ উইকেট শিকার করা ওয়ালশ টি-টোয়েন্টি সিরিজে শিকার করেছিলেন ১২ উইকেট। দুই সিরিজেই সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি ছিলেন তিনি।