ব্যাটের ধার বাড়িয়েই নেমেছিলেন তিনি

১৪ বলে সাকিবের ব্যাট থেকে তখন এসেছে ৩৯ রান। যেভাবে ব্যাটিং করছিলেন রেকর্ডটা করে ফেলা তখন খুবই সম্ভব। ১৭ বলে ৫০ রান ছুঁতে পারলেই হবে বাংলাদেশের লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেট ইতিহাসের দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরির রেকর্ড। তবে সেটা হলো না। হাফ সেঞ্চুরি করতে খেললেন ২১ বল। সেটা বা কম কী, বিকেএসপিতে সাকিব বোলারদের জন্য যেন এক ঝড় হয়ে এসেছিলেন।

বিকেএসপির বেড়া টপকে আসা ভক্তের সেলফির আবদার মেটাচ্ছেন। ম্যাচ চলাকালীন সময় হলেও ভক্তকে ফিরিয়ে দেননি। এই সাকিব বাংলাদেশের ক্রিকেটের প্রাণ। অথচ কিছুক্ষণ আগেও এই সাকিবই ব্যাট হাতে রুদ্রমূর্তি ধারণ করেছিলেন। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে মাত্র ২১ বলে হাফ সেঞ্চুরি করার রেকর্ড করে ফেলেছেন।

১৪ বলে সাকিবের ব্যাট থেকে তখন এসেছে ৩৯ রান। যেভাবে ব্যাটিং করছিলেন রেকর্ডটা করে ফেলা তখন খুবই সম্ভব। ১৭ বলে ৫০ রান ছুঁতে পারলেই হবে বাংলাদেশের লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেট ইতিহাসের দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরির রেকর্ড। তবে সেটা হলো না। হাফ সেঞ্চুরি করতে খেললেন ২১ বল। সেটা বা কম কী, বিকেএসপিতে সাকিব বোলারদের জন্য যেন এক ঝড় হয়ে এসেছিলেন।

সাকিবের এই ইনিংসের শুরুটা অবশ্য হয়েছিল বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) থেকেই। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আরো তেড়েতুড়ে খেলার জন্য আলাদা করে কাজ করেছিলেন। বিপিএলেও এর সুফল পেয়েছিলেন। দ্রুত রান তুলতে পেরেছিলেন। আবার দক্ষিণ আফ্রিকায় ওয়ানডে সিরিজেও দেখা গেছে ব্যাট হাতে সাকিবের এই রূপ।

তবে সাকিবের সবচেয়ে ভয়ংকর রূপটা দেখা গেল আজ বিকেএসপিতে। গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে সাকিব ব্যাট হাতে নামার পর থেকেই যেন রুদ্রমূর্তি। মাত্র ২১ বলেই তুলে নিয়েছেন হাফ সেঞ্চুরি। দেশের লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেট ইতিহাসে যা তৃতীয় দ্রুততম। শেষ পর্যন্ত ২৬ বল খেলে ৫৯ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে গিয়েছেন এই অলরাউন্ডার।

সাকিবের চেয়ে কম বল খেলে লিস্ট ‘এ; ক্রিকেটে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন আরো দু’জন। সবচেয়ে কম বল খেলে হাফ সেঞ্চুরি করার রেকর্ডটা আছে ফরহাদ রেজার ঝুলিতে। ২০১৯ সালে শেখ জামালের বিপক্ষে মাত্র ১৮ বল খেলেই হাফ সেঞ্চুরি করে ফেলেছিলেন অলরাউন্ডার ফরহাদ রেজা।

এর পরের রেকর্ড বেশ আগের। ২০০৭ সালে ধানমন্ডির আবাহনী মাঠে খুলনা বিভাগের বিপক্ষে ১৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন নাজমুল হোসেন মিলন কিংবা ছক্কা মিলন। ফলে দেশের লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে দ্বিতীয় দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরির রেকর্ডটা তাঁর।

সাকিবের সামনে আজ এই দুজনকেই ছাড়িয়ে যাবার সুযোগ ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত আর পারেননি। তবে সাকিবের এই ইনিংস বাংলাদেশের ক্রিকেটকে বেশ স্বস্তি দিচ্ছে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে হলেও এমন ইনিংস নি:সন্দেহে সাকিবকে বাড়তি আত্মবিশ্বাস জোগাবে।

এমনকি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও এর প্রতিফলন দেখা যেতে পারে। কিংবা তিনি যে ঠিক পক্রিয়াতেই আছেন সেটার অন্তত একটা প্রমাণ পাওয়া গেল। এছাড়া এবছরই রঙিন পোশাকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ আছে বাংলাদেশের। আবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও অনুষ্ঠিত হবে এ বছর। ফলে এই সময়ে সাকিবের এমন ব্যাটিং ভরসা জোগায়। অন্য ক্রিকেটাররা চাইলে সাকিবের দেখানো পথটায় হেঁটে দেখতে পারেন।

ওদিকে এবার সাকিবের ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে খেলার কথা ছিল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে। তবে মোহামেডান সুপার লিগে খেলতে পারেনি বলে পরে দল বদলে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের হয়ে সুপার লিগ খেলছেন সাকিব। আর মাশরাফি বিন মুর্তজার দলের হয়েই আজ এমন ইনিংস খেলে ফেললেন সাকিব। সব মিলিয়ে ব্যাটিং কিংবা বোলিং মিলিয়ে দারুণ সময়ই কাটাচ্ছেন সাকিব।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...