প্রথম টেস্টে নেই সাকিব!

আজই সাকিবের পরীক্ষা নিরীক্ষা হয়েছে। এরপর তাঁকে পরীক্ষার ফল জানালে তিনি আর দলের সাথে চট্টগ্রাম জাননি। দলের একটি সূত্র বলেছে, ‘প্রথম টেস্ট সে খেলছে না, এটা মোটামুটি নিশ্চিত। তবে দ্বিতীয় টেস্টে তাকে পাওয়া যাবে।’

পুরো টেস্ট সিরিজ খেলবেন বলেই যুক্তরাষ্ট্র থেকে তড়িঘরি করে ফিরে এসেছিলেন। তাকে প্রথম টেস্টের দলেও রাখা হয়েছিলো। কিন্তু শর্ত ছিলো, ফিটনেস টেস্ট পাশ করতে হবে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কিছু সূত্র জানাচ্ছে, সেই ফিটনেস টেস্ট পাশ করতে পারেননি সাকিব আল হাসান। ফলে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে খেলা হচ্ছে না তার।

আজই সাকিবের পরীক্ষা নিরীক্ষা হয়েছে। এরপর তাঁকে পরীক্ষার ফল জানালে তিনি আর দলের সাথে চট্টগ্রাম জাননি। দলের একটি সূত্র বলেছে, ‘প্রথম টেস্ট সে খেলছে না, এটা মোটামুটি নিশ্চিত। তবে দ্বিতীয় টেস্টে তাকে পাওয়া যাবে।’

সাকিবের ফিটনেসের অবস্থা নিয়ে অবশ্য বিসিবির চিকিৎসা বিভাগ মন্তব্য করতে রাজী হয়নি। তারা বলেছেন, তারা তাদের পর্যবেক্ষন নির্বাচক কমিটি ও টিম ডিরেক্টরকে জানিয়ে দিয়েছেন। তাঁরাই সিদ্ধান্ত নেবেন।

জানিয়ে রাখা ভাল, বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ভরাডুবি হয়। সুপার টুয়েলভের টিকেট বাংলাদেশ কোনোক্রমে পেলেও সেমিফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হয়। সুপার টুয়েলভের সবগুলো ম্যাচই হারে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। আর হ্যামস্ট্রিং ইনজুরির কারণে বিশ্বকাপের শেষ দু’টি ম্যাচ খেলা হয়নি আগের ছয়টি ম্যাচে ১১ উইকেট পাওয়া সাকিবের।

সেই বিশ্বকাপের ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচে বোলিং, ফিল্ডিং কিংবা ব্যাটিং – সব সময়ই কিছু সময়ের জন্য খোড়াতে দেখা গেছে সাকিব আল হাসানকে। শারজাহ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সেই ম্যাচে ফিল্ডিংয়ের সময় হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পান সাকিব। কিন্তু, সেই ব্যাথা নিয়েই ফিল্ডিংয়ের পর বোলিংও করেন। এরপর ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের যেকোনো ফরম্যাটে ব্যাট হাতে ইনিংসের উদ্বোধনও করেন।

আর এর চেয়েও বড় ব্যাপার হল সাকিব টানা ক্রিকেটের মধ্যে আছেন অনেকদিন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়াও এই সময়ে তিনি ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ কিংবা ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) মত আসর খেলেছেন। ক’দিন আগে নিজেই বলেছিলেন, তিনি একটু ক্লান্ত।

ইনজুরি থেকে বেশ সেরে ওঠায় দেশে ফিরে আসেন তিনি। সাকিবের ইচ্ছে ছিলো চট্টগ্রাম টেস্টেই খেলা। তবে এখানে শুরু থেকেই একটু কিন্তু ছিলো। এক নির্বাচক বলেছিলেন, ‘সাকিব খেলতে চায়। আমরা ওকে এখনই অ্যাভেইলেবল বা আনেভেইলেবল বলতে পারছি না। কারণ, ও দেশে ফেরার পর ওর একটু অ্যাসেসমেন্ট করবেন চিকিৎসকরা। ও ফাইন থাকলে তো চট্টগ্রাম টেস্টই খেলবে। নইলে ঢাকা টেস্ট যে খেলবে, তা নিয়ে সন্দেহ নেই।’

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...