অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়ার পর এখন পর্যন্ত তিনটা ম্যাচ খেলে রোহিত শর্মার দল। প্রথম ম্যাচে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার সাথে জিতলেও পরের ম্যাচে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে বসে। রাজ্য দলের কাছে হারার পর এবার অস্ট্রেলিয়া জাতীয় দলকে হারালো তেরঙ্গা বাহিনী।
আজ আইসিসি বিশ্বকাপের অফিশিয়াল ওয়ার্মআপ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ৬ রানে হারালো ভারত। জয়ের নায়ক মোহাম্মদ শামি, হ্যাটট্রিক করে বিশ্বকাপ একাদশে জায়গাটা প্রায় পাঁকা করে ফেললেন তিনি।
ব্রিসবেনের গ্যাবায় টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ভারতীয় দুই ওপেনারের ব্যাটিংয়ের ধরন ছিলো দুই মেরুতে। লোকেশ রাহুল শুরু থেকেই মারমুখী ব্যাটিংয়ে ২৭ বলে নিজের ফিফটি পূরণ করলেও রোহিত শর্মা ১৩ বলে ১৫ রানের ঘরে বন্দী থাকেন।
এরপর দলীয় ৮০ রানের মধ্যে দুই ওপেনার ফিরে গেলে বিরাট কোহলি ও সুরিয়াকুমার যাদব দলের হাল ধরেন। বিরাট কোহলি ১৩ বলে ১৯ ও হার্দিক পান্ডিয়া ৫ বলে ২ করে এক ওভারের ব্যবধানে সাজঘরে ফিরে গেলে ভারতীয় ব্যাটিংয়ের পথ হারানোর আশঙ্কা জেগে ওঠে।
তবে, এরপর সূর্যকুমারের ৩৩ বলে ৫০ আর দীনেশ কার্তিকের ১৪ বলে ২০ রানের উইলোতে ভর করে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৮৬ রানের স্কোর গড়ে আকাশি নীলরা। অস্ট্রেলিয়ার কেইন রিচার্ডসন ৩০ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ভারতকে ২০০ এর মধ্যে বেঁধে রাখেন।
১৮৬ রানের জবাব দিতে নেমে শুরুর দুই ওভারে ৯ রান নিয়ে ধীর শুরু করলেও হার্দিক পান্ডিয়ার ইনিংসের তৃতীয় ওভার থেকেই রুদ্রমূর্তি ধারণ করেন। ওই ওভারে ১৮ রান নেন অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার মিচেল মার্শ ও অ্যারন ফিঞ্চ।
এরপর থেকেই রানের গতি ছুটতে থাকে। পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে মার্শ ভুবনেশ্বর কুমারের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ১৮ বলে ৩৫ রানের আগুনে ইনিংস খেলেন। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে স্টিভেন স্মিথকে নিয়ে ৫৬ রানের জুটি গড়েন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক। চাহালের বলে স্মিথ বোল্ড হলে উইকেটে আসেন টি-টোয়েন্টির ফেরিওয়ালা গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।
ম্যাক্সওয়েল ১৬ বলে ২৩ করে ফিরে গেলে শেষ দিকে ফিঞ্চকে কেউ সঙ্গ দিতে না পারায় ১৮০ রানেই অলআউট হয় অস্ট্রেলিয়া। ফিঞ্চ ৫৪ বলে ৭৬ রান করেন। অস্ট্রেলিয়ার শেষ ছয় উইকেটের পতন ঘটে মাত্র নয় রানে।
মোহাম্মদ শামির করা শেষ ওভারে জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার ১১ রান প্রয়োজন হলেও ওই ওভারে মাত্র চার রান সংগ্ৰহ করতেই নিজেদের শেষ চার উইকেট হারায়। ভারতের হয়ে শামি তিনটি ও ভুবনেশ্বর কুমার দুইটি উইকেট নেন।