১২ বলে ৩০ রান। তিনটা চার আর দুই ছক্কার ছোট্ট অথচ মহাগুরুত্বপূর্ণ ক্যামিও। এটাই তো একজন নিখুঁত ফিনিশারের কাজ। নিজের কাজে শামিম হোসেন পাটোয়ারি থেকে বেশি সিদ্ধহস্ত এই মুহুর্তে বোধহয় খুব কম মানুষই আছেন।
আসেন, ঝড় তুলেন, দলকে এক ভালো অবস্থানে নিয়ে সাজঘরে ফিরে যান। এটাই যেন নিজের নিয়মিত রুটিন বানিয়ে ফেলেছেন তিনি। ফরচুন বরিশালের বিপক্ষেও বাইশগজে একটা টর্নেডো ইনিংস উপহার দিয়ে গেলেন।
১৯ তম ওভারে বল করতে এসে রীতিমতো বিপদেই পড়লেন জেমস ফুলার। দুই ছক্কা আর দুই চারে দলীয় সংগ্রহ নিয়ে গেলেন ২০০ এর গণ্ডি ছাড়িয়ে। পুল করে মিড অনের উপর দিয়ে চার কিংবা রিভার্স হিটে থার্ডম্যান দিয়ে চোখ জুড়ানো ছক্কা কিছুই বাদ রাখেননি এদিন শামীম।
শেষ ওভারে খেলা দুইটা বলের একটাতেও সেই রির্ভাস হিটে মারলেন দৃষ্টিনন্দন আরেক চার। ১৭ আর ১৮ এই দুই ওভারে রান এসেছিল মোটে ছয় আর তিন রান।
শেষ দুই ওভারে এসেছে ওভারেও যথাক্রমে ২২ এবং ১৪। এতেই বিশাল রানের সংগ্রহ পেয়েছে চিটাগাং কিংস। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট তো এমন ইমপ্যাক্টই ডিমান্ড করে। এই ২০-২৫ রানেই তো ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দেয়।
শামীম নতুন করে ফিরে এসেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ থেকেই। শুধু এক সাইডেই মারতে পারে এমন ট্যাগ দূর করে উইকেটের চারপাশেই চার ছক্কার বন্যায় ভাসাচ্ছেন প্রতিপক্ষ বোলারদের। ইউটিউবে এবিডি ভিলিয়ার্সের ভিডিও দেখেই নিজের টেকনিকে পরিবর্তন এনেছেন শামিম। নিরবে নির্ভতে নিজের কাজটা করে যাচ্ছেন তিনি আপন মনেই।