পজিশন বদলেছে, কিন্তু ফলাফল? একদম একই! ওপেনিংয়ে নয়, এবার খেলছেন নিচে, তবু স্কোরবোর্ডের দিকে তাকালে প্রথম নামটাই থাকে মালানের। নিজের পছন্দের জায়গাটা ছেড়ে দিয়েছেন দলের স্বার্থে, কিন্তু খেলাটা তো আগের মতোই করছেন— আগ্রাসী, ধ্রুপদী, ভয়ডরহীন! ম্যাচ বের করতে পারেননি চিটাগং কিংসের বিপক্ষে। কিন্তু, তিনিই যে কোয়ালিফায়ারে ফরচুন বরিশালের তুরুপের তাস হবেন – সেটা চোখ বন্ধ করেই বলা যায়।
২০৭ রানের পাহাড় সামনে, প্রতিপক্ষের ফিল্ডাররা ছুটছে এখানে-ওখানে, কিন্তু মাঝখানে দাঁড়িয়ে নির্ভরতার প্রতীক একটাই— ডেভিড মালান! একা হাতে প্রতিরোধ গড়ে তুললেন, ছক্কা হাঁকালেন ছয়টা, চারের সংখ্যা পাঁচ। মাত্র ৩৪ বলে ৬৭ রান! বরিশালের জয় আসেনি, কিন্তু মালানের ইনিংস প্রতিপক্ষের বুক কাঁপিয়েছে ঠিকই!
৩৮-বছর বয়সেও তরুণ মালান! এই বয়সে এসে নতুন ভূমিকায় নিজেকে মানিয়ে নেওয়া কতটা কঠিন? মালান যেন বলে দিলেন — বয়স নয়, মানসিকতা বদলায় সবকিছু! চলতি বিপিএলে ৭০.২৫ গড়ে ২৮১ রান, স্ট্রাইক রেট ১৬০-এর কাছাকাছি! কীভাবে এতটা ধারাবাহিক? কারণ, তিনি জানেন কীভাবে মানিয়ে নিতে হয়, কীভাবে নিজেকে দলের প্রয়োজনে উজাড় করে দিতে হয়!
ইচ্ছা থাকলে উপায় আসবেই! প্রমাণ করলেন মালান। বিশ্বমানের ক্রিকেটার মানেই তো এমন! যেকোনো পরিস্থিতিতে, যেকোনো জায়গায়, যেকোনো ভূমিকায়— তিনি হাল ধরবেন, সামনে থেকে নেতৃত্ব দেবেন! মালান ঠিক সেটাই করে দেখালেন। আরও একবার প্রমাণ করলেন, ধারাবাহিকতাই তার আসল পরিচয়। ডেভিড ‘কনসিসটেন্ট’ মালান, তিনি অপ্রতিরোধ্য, ফরচুন বরিশালের ট্রাম্পকার্ড।