প্রায় এক বছর হতে চলল, মাঠের বাইরে জাসপ্রিত বুমরাহ। ইনজুরিতে পড়ে মিস করেছেন গত বছরের এশিয়া কাপ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। নিউজিল্যান্ড থেকে অস্ত্রোপচার করিয়ে আনার পরেও শঙ্কা ছিল এবছর ঘরের মাঠের বিশ্বকাপে বুমরাহর মাঠে নামতে পারা নিয়ে। তবে ব্যাঙ্গালুরুর ন্যাশনাল ক্রিকেট একাডেমিতে দ্রুত বুমরাহকে ফিট করে বিশ্বকাপে মাঠে নামানো যায় কিনা সেই চেষ্টা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
তবে এমন তাড়াহুড়ো করে বুমরাহকে মাঠে নামানোর বিষয়ে সবাইকে সতর্ক করে দিলেন ভারতের সাবেক কোচ রবি শাস্ত্রী। মনে করিয়ে দিলেন পাকিস্তান পেসার শাহীন শাহ আফ্রিদির উদাহরণ। গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইনজুরি ফেরত আফ্রিদিকে ফেরানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে উল্টো তাকে আরো বেশিদিনের জন্য মাঠের বাইরে ছিটকে যেতে হয়।
শাস্ত্রী বলেন, ‘এটাই চিন্তার বিষয়, যে আপনি তাকে চাচ্ছেন। সে একজন বিশ্বমানের খেলোয়াড় এবং আপনি তাকে পূর্ণ ফিট হিসেবে চাচ্ছেন। সে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একজন খেলোয়াড়, আপনি তাকে দ্রুত মাঠে পেতে চাইছেন বিশ্বকাপের জন্য। এটা করবেন তাহলে বিশ্বকাপের পর আরো মাস চারেকের জন্য তাকে হারাতে হবে। একই ভাবে শাহীন আফ্রিদিকে ফেরানো হয়েছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে এবং সে এরপর আর মাঠে ফিরতে পারেনি। চার মাসের জন্য মাঠের বাইরে ছিটকে গেল।’
বুমরাহকে এত দ্রুত জোর করে দলে ফেরানোর কারণ দেখেন না শাস্ত্রী। জোর দিতে বললেন স্পিন আক্রমণে,’আপনাকে একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে হবে আপনি তাকে পাবার লোভ করবেন মাঠে খেলানোর জন্য নাকি সেই খেলোয়াড়কে নিজে ভাবতে দেবেন। মাঝেমাঝে একজন খেলোয়াড়কে দ্রুত মাঠে ফিরে পাবার ইচ্ছেটা উল্টো ক্ষতি করে দেয়। এই বিষয়টা আপনাকে মাথায় রাখতেই হবে।
শাস্ত্রী আরো বলেন, ‘আমার মনে হয় দলে শামি এবং সিরাজ আছে,মানে দলে অভিজ্ঞতা আছে। ভারতে খেলার জন্য আপনার অনেক বেশি পেস বোলার দরকার নেই। স্পিন ডিপার্টমেন্টটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সেই জায়গাটাতেও জাদেজা, অক্ষর প্যাটেলরা আছে এবং কিছু লেগ স্পিনার যেমন চাহাল,কুলদীপ, বিশ্নয়রা আছে। এখানে যথেষ্ঠ গভীরতা আছে ভারতের।’
গত বছর এশিয়া কাপের আগেই ইনজুরিতে পড়েন বুমরাহ। এরপর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ,আইপিএল ও ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালও মিস করেন তিনি। বুমরাহকে বেশ কঠিন সময়ই যাচ্ছে ভারতের পেস ডিপার্টমেন্টের। তাই ঘরের মাটিতে বিশ্বকাপ দিয়ে এক দশকের ট্রফি খড়া কাটাতে বুমরাহকে খুব করে দলে চাইছে টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে শুরু করে ক্রিকেট বোর্ডও।