টেস্ট ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন রোহিত-কোহলি

গুঞ্জন ছিল নেতৃত্ব হারাতে পারেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তরুণদের হয়তো ভবিষ্যতে জন্য বাজিয়ে দেখা হতে পারে। কিন্তু টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে হারের মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যে ঘোষিত ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের জন্য ঘোষিত দলে দেখা গেল না তেমন কিছুই।

ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ফাইনালে হারের পর লাল বলের ক্রিকেটে ভারতকে ঢেলে সাজানো হবে এমনটাই ভেবেছিলেন সবাই। গুঞ্জন ছিল নেতৃত্ব হারাতে পারেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তরুণদের হয়তো ভবিষ্যতে জন্য বাজিয়ে দেখা হতে পারে। কিন্তু টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে হারের মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যে ঘোষিত ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের জন্য ঘোষিত দলে দেখা গেল না তেমন কিছুই।

শুধুমাত্র চেতেশ্বর পূজারা ও উমেশ যাদবের বাদ পড়া ছাড়া তেমন বড় কোনো চমক নেই ভারতীয় দলে। আইপিএলে পারফর্ম করা যশস্বী জয়সওয়াল ও গায়কোগাদদের সুযোগ দিলেও উপেক্ষা করা হয়েছে রঞ্জি ট্রফির গত দুই বছরের সেরা ব্যাটার সরফরাজ খানকে।

ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট ও নির্বাচকদের এমন সিদ্ধান্তে বেশ চটেছেন ভারতীয় কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার। গাভাস্কার মনে করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরই সামনের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ আসরের জন্য তরুণদের বাজিয়ে দেখার সেরা সুযোগ ছিল।

গাভাস্কার বলেন, ‘বিরাট একটা সুযোগ ছিল ভবিষ্যতের ক্রিকেটারদের বাজিয়ে দেখার। কারণ যদি কোনো সফরে আপনার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার সুযোগ থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই সেটা ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর। তারা আর আগের মত শক্তিশালী নেই ৷ তাই তরুণ খেলোয়াড়দের সুযোগ দেয়াটাই সবচেয়ে ভালো হতো।’

গাভাস্কার মনে করেন বিশ্বকাপের বছরে দলের অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের বিশ্রাম দেয়াটাও দলের জন্য ভালো হতো। কোনো খেলোয়াড়ের নাম উল্লেখ না করলেও গাভাস্কার ইঙ্গিতে এটাই জানালেন যে, টানা ক্রিকেটের মধ্যে থাকা বিরাট -রোহিতদের বিশ্রামে পাঠানো উচিত ছিলো ভারতের।

সুনীল বলেন, ‘ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শেষ। আমরা সেখানি পেরে উঠিনি। কিন্তু সামনে আছে বিশ্বকাপ। আমার মতে, বড় খেলোয়াড়দের টেস্ট ক্রিকেট থেকে পুরোপুরি বিশ্রামে পাঠানো উচিত। তাদের শুধুমাত্র ওয়ানডে আর খুব বেশি হলে টি-টোয়েন্টি খেলানো যায় যেহেতু এটাই ওয়ানডের একটা সংক্ষিপ্ত রূপ। আমি চাই তারা শুরু সাদা বলের ক্রিকেটে মনযোগ দিক।’

গত বছরের অক্টোবর-নভেম্বরের পর থেকেই টানা ক্রিকেটের মধ্যে আছেন কোহলি-রোহিতরা। গাভাস্কার তাই চিন্তিত তাদের ওয়ার্ক লোড নিয়ে, ‘তারা অবিরত ক্রিকেট খেলে যাচ্ছে গত বছরের অক্টোবর-নভেম্বর থেকে। ইনজুরি ছাড়া তারা এমনিতে কোনো বিশ্রাম পায়ও না। তাই লাল বলের ক্রিকেট থেকে তাদের পূর্ণ বিশ্রামে পাঠানো হোক। শামিকে বিশ্রাম দেয়া হয়েছে বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে তাই অন্যদের ক্ষেত্রেও এটাই করা যেত।’

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ শুরুর বেশ খানিকটা আগেই ক্যারিবিয়ানে যাচ্ছে ভারত। সেখানে গিয়ে একাধিক প্রস্তুতি ম্যাচও খেলবে কোহলি-রোহিতরা। এত আগে আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যাবার মানেও খুঁজে পাচ্ছেন না গাভাস্কার। সিনিয়র ক্রিকেটারদের বিশ্রামের সময় কমে যাওয়ায় বিশ্বকাপের বছরে তাদের নিয়ে শঙ্কায় তিনি।

সুনীল বলেন, ‘জুলাইয়ের শেষ পর্যন্ত তাদের বিশ্রাম দেয়া উচিত। কিন্তু দল এখন প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে দল এক বা দুই জুলাই সেখানে যাবে। সুতরাং, তারা ২০ দিনের মত ছুটি পাবে। কেন তাদের ৪০ দিনের মত ছুটি দেয়া হবে না যেন তারা সাদা বলের ক্রিকেটে একদম পুরো দলে সতেজ অবস্থায় খেলতে পারে?’

টিম ম্যানেজমেন্টের এমন অদূরদর্শী পরিকল্পনায় বেশ অসন্তুষ্ট ভারতের বিশ্বকাপজয়ী এই ক্রিকেটার, ‘এই ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর প্রতিষ্ঠিত ক্রিকেটার সম্পর্কে নতুন কিছু জানাবে না আমাদের। তারা কি দুই বছর পরের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে থাকবে কিনা আমি জানি না। তাই বলা যায়, বড় একটা সুযোগ হাত ছাড়া হয়ে গেছে।’

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...