দেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগ থেকে কেউ তাঁকে ডাকেনি। এরপরও জাতীয় দলের স্বপ্ন দেখতে ভুলে যাননি আহমেদ শেহজাদ। পাকিস্তান দলে ফিরতে তিনি যেকোনো কিছু করতে প্রস্তুত বলে দাবি করেছেন
তিনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) নবম আসরে তিনি খেলার সুযোগ পাননি। তবুও, তাঁর জন্য জাতীয় দলের দরজা বন্ধ হয়নি বলেই মানছেন তিনি।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) প্রধান নির্বাচক ওয়াহাব রিয়াজ দিয়েছেন সেই আশার আলো। তিনি জানান, শেহজাদের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি ম্যাচের পারফরম্যান্স বিবেচনায় আনা হবে।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সর্বশেষ আসরে খেলেন শেহজাদ। আট ম্যাচ খেলে করেন ১৭৩ রান। মোটামুটি সাদামাটা পারফরম্যান্সই বলা যায়।
ফরচুন বরিশালে ওপেন করতে নামেন তামিম ইকবালের সাথে। বিপিএলে প্রত্যাবর্তন ছিল তাঁর দারুণ। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে অভিষেকেই মাত্র ১৭ বলে ৩৯ রানের বিস্ফোরক এক ইনিংস খেলেন।
এই ডানহাতি ব্যাটারের ব্যাট পরের ম্যাচেও ছিল সরব। ৪১ বলে নয়টি চার ও দু’টি ছক্কায় ৬৬ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে। যেখানে মাত্র ৩০ বলেই হাফ সেঞ্চুরি পূরণ হয় তাঁর।
এরপরেই খেই হারান তিনি। যদিও, বিপিএলের শুরুটা মনে রাখতে চান তিনি। এর জন্যই লাহোরে বসে তিনি এখন পাকিস্তান দলে ফেরার স্বপ্ন দেখছেন।
তাঁর দাবি, গত আড়াই বছর যাবৎ ধারাবাহিকভাবে ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো পারফরম করে আসছেন। আর এই পারফরম্যান্সের ভিত্তিতেই একটি সুযোগের প্রত্যাশা করছেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘গত কয়েক বছর ধরে আমি ঘরোয়া ক্রিকেটে অংশ নিচ্ছি। দেশের জন্য আমার অবদান সম্পর্কে সবাই জানে। তবুও আমাকে জাতীয় দলে কিংবা পিএসএলে ডাকা হয়নি। তারপরও আমি কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছি। আমার বর্তমান পারফরম্যান্সই সব কথা বলবে আমার হয়ে।’
গত বছর ডিসেম্বরে পিসিবি থেবে বিশেষ প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে ডাকা হয়েছিল শেহজাদকে। আর সেটাকে ফেরার ব্যাপারে ইতিবাচক লক্ষণ হিসেবেই দেখছেন পাকিস্তানি এই ব্যাটার। ভবিষ্যতে আরো সুযোগের অপেক্ষায় আছেন তিনি।
আর দলের প্রয়োজনে টপ অর্ডারে নিজের পছন্দের জায়গাও ছাড়তে রাজি আছেন তিনি। বললেন, ‘আমি উপরের দিকে ব্যাটিং করে আসছি। আর সেটাতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। মিডল অর্ডারে ব্যাটিংয়ের করতে বলা হলেও আমি প্রস্তুত। আমি পাকিস্তানের জন্য সব করতে রাজি আছি। তবে তার আগে বসে যথাযথ পরিকল্পনা করতে হবে।’