শেষ মুহূর্তের গোলে আবারও হারল বাংলাদেশ

ঘরের মাঠেও ফিলিস্তিনের কাছে পরাজয় বরণ করতে হয়েছে। তবে এবার অন্তত ব্যবধান কমানো গেছে।

আবারও শেষ মুহূর্তের গোল। আবার পণ্ডশ্রম। দিনের সমস্ত ভাল কাজের শেষটায় হতাশাই সঙ্গী বাংলাদেশের। ঘরের মাঠেও ফিলিস্তিনের কাছে পরাজয় বরণ করতে হয়েছে। তবে এবার অন্তত ব্যবধান কমানো গেছে। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে ১-০ গোলে হেরেছে জামাল ভুঁইয়ার দল।

প্রথম লেগের ম্যাচে রীতিমত বিদ্ধস্ত হয়েছিল বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে অন্তত এবার গোল বন্যায় ভেসে যেতে চায়নি বাংলাদেশ। যদিও প্রথমার্ধের শুরুতে বাংলাদেশ বেশ অগোছালো ফুটবলই খেলেছে। নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়ার অভাবটা ছিল স্পষ্ট।

সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েছে ফিলিস্তিন। প্রথম লেগের মতই আক্রমণে ব্যতিব্যস্ত করে রাখে বাংলাদেশকে। একেবারে ম্যাচের শুরু থেকেই ফিলিস্তিনের খেলোয়াড়দের দাপটের ঝাপটা সহ্য করতে হয়েছে বাংলাদেশের রক্ষণকে। যদিও এদিন তপু বর্মণ রীতিমত ঢালে পরিণত হয়েছিলেন। বেশ কিছু ক্লিয়ারেন্সে গোল বার অক্ষত রাখার কাজটা করে গেছেন তিনি প্রথমার্ধ জুড়ে।

অন্যদিকে মিতুল মারমাও ফিলিস্তিনের গোলের আশা করে দিয়েছেন নস্যাৎ। বাংলাদেশ কাউন্টার অ্যাটাক নির্ভর পরিকল্পনা নিয়েই মাঠে নেমেছিল। ফিলিস্তিনের একের পর এক অ্যাটাকের ফাঁক গলে পাওয়া একটি সুযোগই কাজে লাগানোর চেষ্টায় ছিল রাকিব হোসেনরা।

তেমন একটি সুযোগ ম্যাচের ৪৩ মিনিটের মাথায় চলেও আসে। জামাল ভুঁইয়ার এক চোখ ধাঁধানো থ্রু-বল। মোহাম্মদ ফাহিম সেই বল খুঁজেও নেন দুই ফিলিস্তিনি ডিফেন্ডারদের মাঝ থেকেও। আলতো চিপ করার সুযোগ পেয়েছিলেন বটে। কিন্তু তা ঠেকিয়ে দেন প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক রামি হামাদা।

তবে সেই আক্রমণই যেন বাংলাদেশকে আরও খানিকটা উজ্জীবিত করে তোলে। দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম ১৫ মিনিট গোছানো ফুটবলের দারুণ প্রদর্শনের দেখা মেলে বাংলাদেশের কাছ থেকে। অসাধারণ দক্ষতায় বল সাজায় বাংলাদেশ। তবে সেই এটাকিং থার্ডে গিয়ে খেই হারিয়েছে। ফিলিস্তিনের রক্ষণের ধাক্কায় বারেবারে থমকে দাড়িয়েছে বাংলাদেশের আক্রমণ।

তবে এদিন ফিলিস্তিনের গোলের নেশায় ভাটা পড়েছিল। গোল অন্বেষণ করেও যেন হিসেব মিলছিলো না। মিতুল মারমার একটা ভুল থেকে ডি-বক্সে বল পেয়ে যান ওদেয় দাবাগ। তবে একেবারে ফাকায় পাওয়া বলটাও জালে জড়াতে পারেননি আগের ম্যাচের হ্যাট্রিক স্কোরার।

তাতে করে ম্যাচের নির্ধারিত ৯০ মিনিটেও গোলের দেখা পায়নি কোন দলই। বাংলাদেশের সামনে সুযোগ ছিল ম্যাচ জিতে নেওয়ার। রাকিবকে টেনে বাইরে নিয়ে যাওয়া ডিফেন্ডার আমিদ মাহাজনা লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন ইনজুরি টাইমের প্রথম মিনিটে। দশ জনের দলকে চেপে ধরতে পারেনি বাংলাদেশ।

উলটো পুরনো সেই বদঅভ্যাসের পুনরাবৃত্তি ঘটে। ম্যাচের অন্তিম লগ্নে গোল হজম করে বসে বাংলাদেশ। জয় পাওয়ার সুযোগ ধূলিসাৎ হয় বাংলাদেশের। পরাজয়ের বৃত্ত থেকে বেড়িয়ে আসা আর হয় না বাংলাদেশের।

 

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...