খেলাধুলার ভক্ত ছিলেন বঙ্গবন্ধু

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ২২৮ দিন কারাভোগ করেন তিনি। দেশ স্বাধীন হবার ২২ দিন পর কারাগার থেকে মুক্তি পান। নিজের সোনার বাংলাদেশের ফেরেন স্বাধীন বাংলার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যার নেতৃত্বে বাংলার মাটিকে পাক হানাদার বাহিনীর কবল থেকে রক্ষা করেছিল এদেশের মুক্তিকামী জনগণ সেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কারাগার থেকে বের হয়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত এই দেশটাকে সঠিকভাবে পুনর্গঠনের এক নতুন যুদ্ধে অবতীর্ণ হন।

যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটাকে সোজা করে দাঁড় করানোর সেই যুদ্ধ তিনি করে গেছেন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করার আগ পর্যন্ত। ১৯৭২ সালের ১০ই জানুয়ারি কারাগার থেকে দেশে ফেরার পরপরই ‘সোনার বাংলা’ গড়ার যে স্বপ্ন তিনি দেখতেন তা বাস্তবায়নে হাত লাগান। রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে ঢালাওভাবে সাজানোর সেই পদক্ষেপে বাদ যায়নি দেশের ক্রীড়াঙ্গনও। কাবাডিকে তিনিই দেশের জাতীয় খেলা হিসেবে ঘোষণা করেন।

যার ফলশ্রুতিতে ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ সংস্থা গঠন করেন বঙ্গবন্ধু যা বর্তমানে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ নামে পরিচিত। ওই সময় এটি শিক্ষা-সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীনে ছিল। বর্তমানে এই সংস্থাটি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয়ের অধীনস্থ। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ  সরকারের  পৃষ্ঠপোষকতায় চলা দেশের ৪৩টি ভিন্ন ভিন্ন ক্রীড়া নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করছে এখন। একই বছর অর্থাৎ ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু গঠন করেন দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। এর দুবছর পরেই বাফুফে পেয়ে যায় ফিফা ও এএফসির সদস্যপদ।

তাছাড়া ১৯৭২ সালে শেখ মুজিবের হাত ধরেই যাত্রা শুরু করে দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিবি) যা বর্তমানে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) নামে পরিচিত। ফুটবল, ক্রিকেটের পাশাপাশি হকি,ভলিবল, বাস্কেটবল, দাবা, কাবাডি, জুডো-কারাতেসহ সকল খেলাকে সমান প্রাধান্য দিতেন বঙ্গবন্ধু। তখন বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনকে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা দেয়ার পরিকল্পনাও ছিলো তাঁর। পরবর্তীতে ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি) প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তাঁর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হয়।

এভাবেই দেশ স্বাধীন হবার পর বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে অনবদ্য ভূমিকা রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এর পেছনে হয়ত কাজ করেছিল পারিবারিক আবহ ও খেলোয়াড় হিসেবে বিভিন্ন খেলার সাথে তাঁর সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার বিষয়টি।

বঙ্গবন্ধুর বাবা শেখ মৌলবী লুৎফর রহমান ছিলেন একজন ফুটবলার। পেশাগতভাবে তিনি গোপালগঞ্জ দায়রা আদালতের সেরেস্তাদার হলেও গোপালগঞ্জের প্রতিযোগিতামূলক টুর্নামেন্টগুলোতে নিয়মিত ফুটবল খেলতেন। তিনি খেলতেন গোপালগঞ্জ অফিসার্স ক্লাবের হয়ে এবং দলটির অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পালন করতেন। দীর্ঘদিন অফিসার্স ক্লাবের সেক্রেটারির দায়িত্বও পালন করেন ক্লাবটির হয়ে খেলে খ্যাতি অর্জন করা এই ফুটবলার।

লুৎফর রহমানের ছেলে শেখ মুজিবুর রহমান স্কুল পড়ুয়া অবস্থায় ফুটবল খেলা শুরু করেন। মিশন স্কুলে পড়া অবস্থায় তিনি ফুটবল পায়ে মাঠ দাপিয়ে বেড়াতেন। মিশন স্কুলের অধিনায়ক ছিলেন তিনি। এই স্কুলের হয়ে বাবার বিপক্ষে বেশকয়েকবার ফুটবল খেলেছেন বঙ্গবন্ধু। নিজের লেখা ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ গ্রন্থে তিনি উল্লেখ করেছেন যে বাবার বিপক্ষে তাঁর খেলা বেশ উপভোগ করতেন উৎসুক জনসাধারণ।

শেখ লুৎফুর রহমানের গোপালগঞ্জ অফিসার্স ক্লাবের বিপক্ষে ৫টি ড্র আছে শেখ মুজিবুরের দল মিশন স্কুলের। ১৯৩৭ সালে শেখ মুজিবুরের হাত ধরেই গড়ে উঠেছিল মিশন স্কুলের ফুটবল দল। ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে একসময় মিশন স্কুলের সেরা ফুটবলার হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেন বঙ্গবন্ধু।

বঙ্গবন্ধুর সবচেয়ে প্রিয় খেলা ছিল ফুটবল। তবে তিনি যে শুধু ফুটবলই খেলতেন এমনটি নয়। ফুটবলের পাশাপাশি তিনি খেলতেন হকি, ভলিবল ও বাস্কেটবল। ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলার সাথে যুক্ত ছিলেন বঙ্গবন্ধু। বয়স বাড়ার সাথে সাথে তাঁর খেলার মান আরো উন্নত হতে থাকে। চল্লিশের দশকের দিকে দক্ষ ফুটবলার হিসেবে ঢাকার ক্লাব ফুটবলে যাত্রা শুরু করেন শেখ মুজিবুর রহমান। ওয়ান্ডারার্সের জার্সি গায়ে স্ট্রাইকার হিসেবে তখন মাঠ মাতাতেন তিনি।

১৯৪৩-৪৪ মৌসুমে বগুড়ায় আয়োজিত একটি গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে তাঁর নেতৃত্বে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে  চ্যাম্পিয়ন হয় ওয়ান্ডারার্স ক্লাব। ফুটবলের পাশাপাশি ওয়ান্ডারার্সের হয়ে ভলিবল, বাস্কেটবল এবং হকি খেলেছেন তিনি। খেলার পাশাপাশি সেসময় ক্লাবটির সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করেন তিনি। তাছাড়া ধানমন্ডি ক্লাবের প্রধান পৃষ্ঠপোষকও ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকার কারণে ওয়ান্ডারার্সের হয়ে নিয়মিত খেলতে না পারলেও জীবদ্দশায় ক্লাবটির সংগঠক হিসেবে কাজ করে গেছেন তিনি। ১৯৪২ সালে পড়াশোনার জন্য কলকাতা যাবার পর খেলাধুলা থেকে কিছুটা দূরে সরে যেতে হয় তাঁকে।

স্বাধীনতার পর পর বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গন সমৃদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা শেখ মুজিবুর রহমান সবসময় খেলোয়াড়দের উৎসাহ জোগাতেন। তাঁর সাংগঠনিক দক্ষতায় দেশ স্বাধীন হবার মাত্র দু’মাসের মধ্যে অর্থাৎ ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মাঠে প্রতিযোগিতামূলক ফুটবল খেলা শুরু হয়। একই বছরের মে মাসে ঢাকা একাদশের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলতে বাংলাদেশে পা রাখে কলকাতার ঐতিহ্যবাহী ফুটবল ক্লাব মোহনবাগান। এই প্রীতি ম্যাচে তখন মাঠে উপস্থিত থেকে খেলোয়াড়দের অনুপ্রাণিত করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতই খেলাধুলার সাথে সক্রিয় ছিলেন তাঁর দুই পুত্র শেখ কামাল ও শেখ জামাল। তবে খেলাধুলার প্রতি শেখ জামালের চেয়ে শেখ কামালের আগ্রহ তুলনামূলক বেশি ছিল।

শেখ কামাল বাবার মতই ছিলেন খেলোয়াড় ও ক্রীড়া সংগঠক। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী শেখ কামাল ক্রিকেট, ফুটবল, বাস্কেটবল, ব্যাডমিন্টন ও অ্যাথলেটিকসে পারদর্শী ছিলেন। শাহীন স্কুলে পড়ার সময় স্কুলের হয়ে নিয়মিত ক্রিকেট, ফুটবল ও বাস্কেটবল খেলতেন তিনি। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়ে তিনি নিয়মিত ক্রিকেট খেলেন।  ক্রিকেটের পাশাপাশি ফুটবল এবং বাস্কেটবলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়ে অবদান রাখেন শেখ কামাল।

বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী ও সবচেয়ে সফল ক্লাব আবাহনী ক্রীড়া চক্রের প্রতিষ্ঠাতা তিনি। ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় ক্লাবটি। ক্লাব প্রতিষ্ঠার পর বিদেশি কোচ এনে দল গঠন করে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে এক অনন্য নজির স্থাপন করেন শেখ কামাল।

অনুষ্ঠানিকভাবে ফুটবল না খেললেও ক্রিকেট এবং বাস্কেটবলে সমান পারদর্শী ছিলেন বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ পু্ত্র শেখ কামাল। আজাদ বয়েজের হয়ে প্রথম বিভাগ ক্রিকেটে নিয়মিত খেলতেন তিনি। তারপর  ঢাকার ক্রিকেটে তিনি নিজ ক্লাব আবাহনী ক্রীড়া চক্রের হয়ে খেলা শুরু করেন। দুর্দান্ত বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাটটাও খারাপ চালাতেন না তিনি। বল হাতে দলের হয়ে ইনিংস ওপেন করতেন দীর্ঘকায় এই বোলার এবং ওপেনিং বল করছেন জাহাঙ্গীর শাহ বাদশার সঙ্গে।

শেখ কামাল বাস্কেটবল খেলতেন ঢাকা ওয়ান্ডারার্সে। ১৯৭৫ সালে ঢাকা ক্রিকেট লিগ চ্যাম্পিয়ন আবাহনী ও বাস্কেটবল লিগ চ্যাম্পিয়ন ঢাকা ওয়ান্ডারার্সের নিয়মিত সদস্য ছিলেন তিনি। তাঁর নেতৃত্বে ১৯৭৩ ও ১৯৭৪ সালে বাস্কেটবল লিগ চ্যাম্পিয়ন হয় ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাব। ১৯৭৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় দ্বৈত ব্যাডমিন্টনের ফাইনালে রানার্স-আপ  এবং স্যার সলিমুল্লাহ হলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় দ্রুততম মানব হওয়ার গৌরব অর্জন করেন তিনি। ক্রিকেট মত ফুটবলেও আবাহনীর হয়ে মাঠ মাতাতেন শেখ কামাল।

প্রতিযোগিতামূলক খেলাধুলায় সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর আরেক পুত্র শেখ জামাল। শেখ জামাল ছিলেন  একই সাথে ফুটবলার,  ক্রিকেটার ও হকি খেলোয়াড়। তবে হকিতে তিনি বেশি পারদর্শী ছিলেন। খেলোয়াড়ি জীবনে আবাহনী ও আজাদ বয়েজের হয়ে ফুটবল খেলেছেন শেখ জামাল। ১৯৭২ সালে আবাহনীর হয়ে খেলার পর ১৯৭৩ সালে তিনি যোগ দেন আজাদ বয়েজে। তাছাড়া আবাহনী ক্রীড়া চক্রের হয়ে ক্রিকেটও খেলতেন তিনি। ১৯৭২ সালে আবাহনী ক্লাব প্রতিষ্ঠায় বড় ভাই শেখ কামালের সাথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন শেখ জামাল।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের একমাত্র নারী ক্রীড়াবিদ ছিলেন শেখ কামালের স্ত্রী সুলতানা কামাল খুকি। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ অ্যাথলেটদের মধ্যে একজন। তিনিই স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পদকজয়ী অ্যাথলেট। ১৯৭৩ সালে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লীতে অনুষ্ঠিত নিখিল ভারত গ্রামীণ ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় লংজাম্প ইভেন্টে অংশ নিয়ে রৌপ্য জিতেন তিনি।

ছাত্রীবস্থায় খেলাধুলার জগতে পা রাখেন সুলতানা কামাল খুকি। ১৯৬৬ সালে স্কুলে পড়া অবস্থায় জাতীয় অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপে রেকর্ড করে লংজাম্প ইভেন্টে স্বর্ণপদক জিতেন তিনি। তার দু’বছর পর পাকিস্তান অলিম্পিক গেমসে লংজাম্পে আবারো রেকর্ড গড়ে চ্যাম্পিয়ন হন খুকি। ১৯৭০ সালে অল পাকিস্তান উইমেন্স অ্যাথলেটিকসের সেরা নারী অ্যাথলেট হন তিনি। তারপর ১৯৭৩ সালে ১০০ মিটার হার্ডলসে জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হন সুলতানা কামাল। ১৯৭৫ সালে মৃত্যুর কিছুদিন আগেও ১০০ মিটার হার্ডলসে স্বর্ণপদক জিতেন তিনি। সুলতানা কামাল খুকি একজন সফল অ্যাথলেটের পাশাপাশি দক্ষ সংগঠকও ছিলেন। খেলাধুলায় অংশ নিতে তিনি নারীদের সবচেয়ে বেশি উৎসাহ জোগাতেন এবং খেলাধুলার সাথে যুক্ত নারীদের সবসময় পরামর্শ দিতেন।

সবচেয়ে পরিতাপের বিষয় হলো ১৯৭৫ সালের এই দিনে দেশি ঘাতকদের বুলেটের বৃষ্টিতে প্রাণ হারাতে হয় বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডি বাসভাবনে থাকা পরিবারের সবাইকে। সেদিন আমরা শুধু আমাদের জাতির পিতাকেই হারাইনি, হারিয়েছিলাম একজন আপাদমস্তক ক্রীড়াপ্রাণ ব্যক্তিকে। বলাই বাহুল্য, ‘৭৫ এর ১৫ই আগস্ট নৃশংস হত্যার শিকার হওয়া বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা আজ বেঁচে থাকলে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গন আরো অনেক ভালো অবস্থানে থাকত।

ভূটানের মত দলের বিপক্ষে হেরে আজ আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে নির্বাসিত বাংলাদেশ, একসময় যেই মালদ্বীপকে বলে কয়ে হালি খাইয়ে লজ্জাজনকভাবে হারাতো বাংলাদেশ সেই মালদ্বীপ এখন ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে ঢের এগিয়ে। দূর থেকে হয়ত এসব দেখে আজ ব্যথিত হচ্ছেন শেখ কামাল নিজেই। দক্ষ সংগঠকদের অভাবে বাংলাদেশের ফুটবল আজ লাইফ সাপোর্টে।

শেখ কামালের মত ক্রীড়া সংগঠক যদি আজ আমাদের মাঝে বেঁচে থাকতেন তাহলে আমাদের ফুটবল দলের এই দৃশ্য দেখতে হতো না, সত্তর বা আশির দশকের ঢাকার ফুটবলের রমরমা দিনগুলোও আজ হারিয়ে যেত না, পর্যাপ্ত স্টেডিয়ামের অভাবে শুধু বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে খেলা হওয়ায় মাঠের যে বিচ্ছিরি অবস্থা তাও দেখতে হতো না। কারণ আজ আমাদের মাঝে থাকলে এসব ক্ষেত্রে নিজের সাংগঠনিক দক্ষতায় সবার আগে এগিয়ে আসতেন বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য পুত্র শেখ কামাল।

আজ দেশের অ্যাথলেটিকসের যে দৈন্যদশা তা নিরসনে, একসময় দেশ কাপানো কিছু অ্যাথলেটদের বর্তমানে করুণ জীবনযাপনের চিত্র দেখে তাদেরকে সাহায্য করতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারতেন সুলতানা কামাল খুকি।

কারণ তিনিও ছিলেন একজন সফল অ্যাথলেট ও সংগঠক। তাই অ্যাথলেটদের দুঃখ তাঁর চেয়ে ভাল আর কে বুঝত!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link