ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) পারফরম্যান্সের সুবাদে বিশ্বকাপ দলে জায়গা পেয়েছিলেন শিভাম দুবে। কিন্তু প্রথম দিকে একটু ছন্দহীন ছিলেন তিনি, ব্যর্থ হয়েছিলেন টানা কয়েক ম্যাচে। স্বাভাবিকভাবেই শুরু হয়েছিল সমালোচনা, ‘কোটা’ প্রসঙ্গ তুলে খোঁটা দিয়েছেন কেউ কেউ। তবে সবচেয়ে বড় ম্যাচেই সেরা ছন্দে দেখা গেলো তাঁকে।
টুর্নামেন্টের মাঝপথে টিম ম্যানেজম্যান্ট চাইলেই বাদ দিতে পারতো এই ব্যাটারকে; ফর্ম বিবেচনায় সেটা যৌক্তিকও হতো। যদিও তাঁর ওপর ভরসা করেছিল দল, আর সেটার প্রতিদান সেরা উপায়েই দিলেন তিনি।
ফাইনালের মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ১৬ বলে ২৭ রানের ক্যামিও উপহার দিয়েছেন এই বাঁ-হাতি। তিন চারের সঙ্গে এক ছয়ে সাজানো ইনিংসের কল্যাণেই প্রত্যাশের চেয়ে বেশি রান যোগ হয়েছে ভারতের স্কোরবোর্ডে। মাঝের ওভারে মোমেন্টাম হারানো ভারতীয় দল পুনরায় আধিপত্য বিস্তার করতে পেরেছে তাঁর আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিংয়ের কল্যাণে।
দারুণ একটি জুটি গড়ার পর অক্ষর প্যাটেল যখন প্যাভিলিয়নে ফিরেছিলেন তখন উইকেটে আসেন দুবে। নিজের খেলা তৃতীয় বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে ভাল কিছুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, তারপর হাত খুলেই খেলেছেন বাকিটা সময়। বিরাট কোহলির সঙ্গে মাত্র ৩৩ বলে ৫৭ রানের জুটি গড়েছিলেন তিনি, যেখানে তাঁর রয়েছে উল্লেখযোগ্য অবদান।
সুপার এইট থেকেই অবশ্য ব্যাটে ‘ইম্প্যাক্টফুল’ রানের দেখা পেয়েছিলেন এই হার্ডহিটার। অস্ট্রেলিয়া এবং বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই ম্যাচেই ফিনিশিংয়ে কার্যকরী ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। ইংল্যান্ডের সাথে কিছু করতে পারেননি ঠিকই, তবে শিরোপার লড়াইয়ে ঠিকই জ্বলে উঠেছেন।
মহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাই সুপার কিংসে যোগ দেয়ার পরেই বদলে গিয়েছিলেন এই তারকা। ফিনিশার হিসেবে খ্যাতি কুড়িয়েছিলেন আইপিএলে, এবার সেই খ্যাতির সুফল পেলো ভারতও। সব সমালোচনার সমাপ্তি ঘটিয়ে সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছেন তিনি – এখন জাতীয় দলের নির্ভরযোগ্য সদস্য হয়ে ওঠার পালা তাঁর সামনে।