শোয়েব মালিক, এক সুদীর্ঘ ক্যারিয়ারের সমাপ্তি

২৫ বছর। দীর্ঘ দুই যুগের বেশি সময় ধরে শোয়েব মালিক ছিলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের এক পরিচিত মুখ। সেই বদনে এখন আর উঠবে না পাকিস্তানের সবুজ জার্সি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলেছেন মালিক। বেশ নিরবেই তিনি সমাপ্তি ঘটালেন নিজের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের।

গত শতকের একেবারে শেষবেলায় ক্রিকেটের রঙিন দুনিয়াতে পদার্পণ করেছিলেন। সারা বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তে পড়েছে তার পদচিহ্ন। পাকিস্তান ক্রিকেটের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়েই বিচরণ করেছেন। কিংবদন্তিদের কাতারে নিজের নামটি তুলে দিয়ে, এবার তুলে রাখলেন সবুজ জার্সিখানা।

সুদীর্ঘ এই পথচলায় কতকিছুই তো দেখেছেন। পাকিস্তানের সুদিন থেকে শুরু করে দুর্দিন, সবকিছুর সাক্ষী থেকেছেন। ২০২৪ সালে এসে পাকিস্তান ক্রিকেট যখন দিশেহারা, ঠিক সে সময় তিনি বিদায়ের ঘন্টা বাজালেন। পাকিস্তান ক্রিকেট ভক্তরা যখন পুরনো দিনের ‘নস্টালজিয়া’-তে আচ্ছন্ন, ঠিক তখন সেই নস্টালজিয়াতেও জায়গা করে নিলেন শোয়েব মালিক।

২৫টা বছর তো আর কম নয়। মাঝে অবশ্য বেশ কিছুদিন ছিলেন দলের বাইরে। দলের প্রয়োজনে ফিরেছিলেন, খেলেছিলেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও। একটা সময় তো তিনি ছিলেন পাকিস্তান দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আঙ্গিনায় ৪৪৬ ম্যাচে পাকিস্তানকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ঘরোয়া ক্রিকেট ও ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট মিলিয়ে সংখ্যাটা অনায়াসে হাজার ছাড়িয়েছে।

স্রেফ সব ধরণের টি-টোয়েন্টি ম্যাচই তিনি খেলেছেন ৫৪২টি ম্যাচ। প্রায় অধিকাংশ ম্যাচেই তিনি পারফর্ম করবার চেষ্টা করেছেন। ব্যাট কিংবা বল হাতে, প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই দলের জন্য অবদান রাখবার প্রয়াস ছিল তার। তাইতো ১৯৯৭ সালে শুরু হওয়া ক্যারিয়ারে কখনোই দলের বোঝা মনে হয়নি তাকে। বরং সানন্দে তাকে অন্তর্ভুক্ত করেছে প্রতিটি দল।

ক্রিকেটের প্রতি তার কখনোই নিবেদনের ছিল না অভাব। তাইতো ৪২ বছর বয়সেই নিজের ফিটনেস দারুণভাবে বজায় রাখতে পেরেছেন শোয়েব মালিক। এমন কি তিনি হয়ত আরও কিছুদিন ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলাটা চালিয়ে যাবেন। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার দেখা মিলবে না আর। একটা বর্ণিল অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি ঘটে গেল। সেটাই যে গোটা পৃথিবীর চিরায়ত নিয়ম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link