এশিয়া কাপে রেকর্ড সাতবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত; তাই তো মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের এই টুর্নামেন্ট মাঠে গড়ালেই শিরোপা স্বপ্নে বিভোর হয় দেশটির ক্রিকেটভক্তরা। ব্যতিক্রম হয়নি এবারও, বিশেষ করে শ্রেয়াস আইয়ারের মত নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান দলে ফেরায় গত কয়েক মাসের তুলনায় প্রত্যাশা এখন অনেক বেশি।
ইনজুরি থেকে ফিরে ফিট হয়ে উঠলেই দলে ফিরবেন শ্রেয়াস আইয়ার সেটা নিশ্চিত ছিল। তবে তাঁর প্রত্যাবর্তন ত্বরান্বিত করেছে ১৯৯ রানের দুর্দান্ত একটি ইনিংস। না, কোন প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে এমন ব্যাটিং করেননি আইয়ার; ব্যাঙ্গালুরু ন্যাশনাল ক্রিকেট একাডেমি (এনসিএ) প্র্যাকটিস ম্যাচে বোলারদের এভাবে শাসন করেছেন তিনি।
এতেই টিম ম্যানেজমেন্ট শ্রেয়াস আইয়ারের ফিটনেস সম্পর্কে আস্বস্ত হন বলে জানিয়েছেন বিসিসিআইয়ের এক নির্ভরযোগ্য সূত্র। শুধু ব্যাট হাতেই নয়, পুরো পঞ্চাশ ওভার ফিল্ডিং করে নিজের ফিটনেসের প্রমাণ দেন আইয়ার। তাইতো ইন ফর্ম এই তরুণকে জাতীয় দলে ফেরাতে দেরি করেনি নির্বাচকরা।
অভিষেকের পর থেকেই তিন ফরম্যাটে নিজের জায়গা পাকা করে ফেলেছিলেন শ্রেয়াস আইয়ার; সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের সেরা মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানও ভাবা হয় তাঁকে। কিন্তু মার্চ মাসে পিঠের গুরুতর চোটে পড়তে হয় এই ডানহাতিকে; যেতে হয় ডাক্তারের ছুরি কাঁচির নিচেও – ফলে এশিয়া কাপ, বিশ্বকাপ দলে তিনি থাকবেন কি না তা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছিল সংশয়।
তবে সব সংশয় উড়িয়ে দিয়েই এশিয়া কাপের স্কোয়াডে ফিরেছেন শ্রেয়াস আইয়ার। এনসিএ-তে তাঁর পারফরম্যান্স নিয়ে বিসিসিআইয়ের এক সূত্র জানান, ‘তিনি(আইয়ার) ন্যাশনাল ক্রিকেট একাডেমিতে বোলারদের উপর আাধিপত্য দেখিয়ে ১৯৯ রানের ইনিংস খেলেছেন। আবার তাঁর ফিটনেসের প্রমাণ দিতে পঞ্চাশ ওভারের ম্যাচে পুরো ফিল্ডিং করেন তিনি, যা কয়েকদিন আগে জাস্ট ক্রিকেট একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে।’
নিয়মিত সোশ্যাল মিডিয়ায় জিম ও প্র্যাকটিস সেশনের ভিডিও আপলোড দেয়ায় লোকেশ রাহুলের উন্নতি সম্পর্কে অনেকে জানতে পারে; কিন্তু শ্রেয়াস খুব একটা সক্রিয় না হওয়ায় তাঁর ব্যাপারে স্পষ্ট ধারণা ছিল না অনেকেরই। যদিও জানা গিয়েছে, পূর্ণ ছন্দে ফিরতে শেষ দুই মাস এনসিএতে কঠোর পরিশ্রম করেছেন শ্রেয়াস আইয়ার, যা শেষপর্যন্ত তাঁকে সাফল্য এনে দিয়েছে।
নিজের পুনর্বাসনের শেষ দিকে এসে সংশ্লিষ্ট কোচ এবং ফিজিওদের কৃতজ্ঞতা জানিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি।
এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান লিখেন, এটি একটি দীর্ঘ যাত্রা ছিল; আমার সাথে থেকে যারা আমাকে সাফল্য পেতে সাহায্য করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। নিতিন ভাই, রজনী স্যার, এনসিএ-র সবাইকে ধন্যবাদ। এর বাইরেও অনেকে আমাকে সহযোগিতা করেছেন, সবাইকে অনেক ভালবাসা।’