এশিয়া কাপে পাকিস্তানের কাণ্ডারি যারা

সর্বশেষ দুইটি শিরোপাই পঞ্চাশ ওভারের সংস্করণে জেতার পর আরেকবার এশিয়া কাপ জিততে মরিয়া দলটি, কেননা এবারও মহাদেশীয় লড়াইটা হবে পরিচিত ফরম্যাটে।

২০১২ সালে যখন পাকিস্তান এশিয়া কাপের শিরোপা জিতেছিল, তখন ফরম্যাট ছিল ওয়ানডে; ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও জিতেছিল পাকিস্তান ওয়ানডে দল। সর্বশেষ দুইটি শিরোপাই পঞ্চাশ ওভারের সংস্করণে জেতার পর আরেকবার এশিয়া কাপ জিততে মরিয়া দলটি, কেননা এবারও মহাদেশীয় লড়াইটা হবে পরিচিত ফরম্যাটে।

শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের এই মিশনে পাকিস্তানের হয়ে সামনে থেকে লড়বেন কারা, এক্স ফ্যাক্টর হয়ে উঠবেন কে – সেসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছে খেলা ৭১।

  • বাবর আজম 

পাকিস্তান তো বটেই, পুরো বিশ্বেই সবচেয়ে ইনফর্ম ব্যাটসম্যাদের একজন বাবর আজম। ২০২২ সালে আশির বেশি গড়ে ৬৭৯ রান করেছিলেন তিনি, চলতি বছরও করেছেন ৪২৫ রান, যেখানে গড় ৪৭.২২। পরিচিত কন্ডিশনে তাই বোলারদের শাসন করা সহজ কাজ হওয়ার কথা এই ডানহাতির জন্য। এছাড়া পাকিস্তান দলের অধিনায়কও তিনি, ফলে দায়িত্বটা একটু বেশি।

  • শাহীন শাহ আফ্রিদি 

নতুন বলে হাতে ভয়ঙ্করতম পেসারদের একজন শাহীন শাহ আফ্রিদি। যেকোনো দলের টপ অর্ডার গুড়িয়ে দিতে তাঁর একটি স্পেলই যথেষ্ট; ইনসুইং আর টো ক্র্যাশিং ইয়র্কারে ব্যাটিং লাইনআপ ধ্বসিয়ে দিতে জুড়ি নেই এই পেসারের। এশিয়ার সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ ভারতের বিপক্ষেও রেকর্ড দারুণ শাহীনের। সেজন্যই এশিয়ান মঞ্চেও তাঁর উপর প্রত্যাশা থাকবে একটু বেশিই।

  • হারিস রউফ

আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে দেখলে হারিস রউফের সামর্থ্য নিয়ে নূন্যতম সংশয় থাকার কথা নয়। স্রেফ গতির জোরেই আফগান ব্যাটারদের কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন তিনি; এশিয়া কাপেও রউফের এমন বিধ্বংসী মূর্তি দেখতে চাইবে পাক ভক্তরা। একই সাথে যদি নাসিম শাহ জ্বলে উঠতে পারেন, তাহলে তো কথাই নেই।

  • শাদাব খান 

আধুনিক ক্রিকেটে লেগ স্পিনার মানেই ব্যতিক্রমী কিছু; কবজির মোচড়েই তাঁরা বদলে দিতে পারেন ম্যাচের গতিপথ৷ আর এই লেগিদের মাঝেই শাদাব খান অন্যতম সেরা। মিডল ওভারগুলোতে উইকেট তুলতে বাবর আজমের বড় অস্ত্র হতে পারেন তিনি। এছাড়া লোয়ার মিডল অর্ডারে ব্যাটসম্যান হিসেবেও কার্যকরী শাদাব; আবার ম্যাচের পরিস্থিতি বিবেচনায় চাইলে উপরের দিকে খেলানো যেতে পারে।

  • মোহাম্মদ হারিস

পাওয়ার প্লে কাজে লাগিয়ে বাউন্ডারি আদায়, দ্রুত গতিতে রান তোলা মোহাম্মদ হারিসের শক্তির জায়গা। তবে ওয়ানডে দলে তিনি মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান হিসেবেই খেলবেন, সে লক্ষ্যে ইমার্জিং এশিয়া কাপে খেলেছেন পাঁচ ছয় নম্বরে। নির্বাচকদের চাহিদা মত পারফর্মও করেছেন, দলকে জিতিয়েছেন শিরোপা। এবার জাতীয় দলের হয়ে তেমন কিছুই করতে চাইবেন এই তরুণ।

এরা ছাড়াও ইমাম উল হক, ফখর জামান, ফাহিম আশরাফ, মোহাম্মদ নওয়াজদের পারফরম্যান্স পাকিস্তানের ভাগ্য গড়ে দিবে এশিয়া কাপে। তরুণ সৌধ শাকিল, ওয়াসিম জুনিয়ররা হতে পারেন এক্স ফ্যাক্টর।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...