অবশেষে জ্বলে উঠলেন শুভমান গিল
আগের তিন ম্যাচে ভাল করতে না পারলেও এবার রান পেয়েছেন এই ব্যাটার। ঘরের মাঠে এদিন মাত্র ৪৫ বলে অপরাজিত ৮৯ রান করেছেন তিনি।
অসম্ভব প্রতিভা নিয়ে জাতীয় দলে এসেছিলেন নিজের জায়গাটাও তৈরি করে ফেলেছিলেন শুভমান গিল। তবে যশস্বী জয়সওয়ালের আগমনের পর কিছুটা হলেও লাইমলাইটের বাইরে চলে যান তিনি; তাই আইপিএলে পুনরায় জ্বলে উঠতেই হতো তাঁকে। সেটাই করেছেন এবার; পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে অনবদ্য এক ইনিংস।
ঘরের মাঠে এদিন মাত্র ৪৫ বলে অপরাজিত ৮৯ রান করেছেন এই তারকা। ছয়টি চার ও চারটি ছক্কায় সাজানো ইনিংসটিতে তাঁর স্ট্রাইক রেট ছিল ১৮৫.৪২! চলতি আইপিএলে এখন পর্যন্ত এটিই সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের রেকর্ড।
ওপেনিংয়ে নেমে শুরু থেকেই আগ্রাসী হয়ে উঠছিলেন এই ডানহাতি। হারপ্রীত ব্রারকে একেবারে সোজা ছক্কা হাঁকিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন আজকের দিনটা শুধুই তাঁর। পাওয়ার প্লের বাকিটা সময় খুব একটা ঝুঁকি নেননি তিনি; তবে নিয়মিত বাউন্ডারি আদায় করে রানের চাকা সচল রেখেছিলেন। সময়ের সাথে সাথে অবশ্য এরপর রান তোলার গতি বেড়েছিল।
মাত্র ৩১ বলেই ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন এই ব্যাটার। চলতি আইপিএলে এটিই তাঁর প্রথম অর্ধশতক – তাই তো সন্তুষ্ট হতে পারেননি তিনি, গত তিন ম্যাচের ব্যর্থতা পুষিয়ে দেয়ার জন্য আরো আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছিলেন। পঞ্চাশের মাইলফলক স্পর্শ করার পর ১৪ বলে আদায় করেছিলেন ৩৭ রান। তাতেই ১৯৯ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করাতে পেরেছে গুজরাট।
এদিন অবশ্য বাকিদের মধ্যে কেবল সাই সুদর্শন ত্রিশের গন্ডির পেরুতে পেরেছিলেন। অর্থাৎ দলকে প্রায় একাই টেনে নিয়েছেন অধিনায়ক নিজে। শট খেলায় তাঁর সাবলীলতা আর আত্মবিশ্বাস দেখে বোঝাই যায়নি সতীর্থদের ব্যাটিং ব্যর্থতা বরং মনে হয়েছিল ভিন্ন কোন পিচে ব্যাট করছেন তিনি। যদিও আহমেদাবাদের উইকেট বরাবরই তাঁকে দু’হাত ভরে দেয়, ব্যতিক্রম হয়নি পাঞ্জাবের বিপক্ষেও।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে গিলের জায়গা এখনো পাকা নয়। তাই তো বিশ্বকাপের দলে জায়গা পেতে আইপিএলে ভাল করার কোন বিকল্প নেই তাঁর সামনে। আগের তিন ম্যাচে ভাল করতে না পারলেও এবার রান পেয়েছেন তিনি। আগামী ম্যাচগুলোতেও তাঁকে এমন ধারালো রূপে দেখতে চাইবে ভক্ত-সমর্থকেরা; তবেই মিলবে বিশ্বকাপের টিকিট।