‘মোমেন্টাম এখন আমাদের সাথে থাকবে’

মিরপুরে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হবে আর সেখানে ব্যাটাররা ভুগবেন না সেটা তো হতেই পারে না। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) এর নবম আসরের প্রথম ম্যাচেও দেখা গেলো সেই চিরচেনা দৃশ্য। ধীর গতির উইকেটে যথারীতি বিপিএলের মিরপুর পর্বে রান খরা দিয়েই শুরু হলো এবারের আসর। প্রথম ম্যাচে সিলেটের পেসারের তোপে দাড়াতেই পারলো না চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ব্যাটাররা। চট্টগ্রামকে ৮৯ রানে আটকে রেখে ৮ উইকেটের বড় জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে মাশরাফির সিলেট স্ট্রাইকার্স।

মিরপুরে টস জিতে প্রত্যাশিত ভাবেই বোলিং নেন বিপিএলের সফলতম অধিনায়ক মাশরাফি মোর্তজা। প্রথম ওভার থেকেই ভুগতে থাকেন চট্টগ্রাম ব্যাটাররা। সিলেটের দুই পেসার মাশরাফি আর মোহাম্মদ আমির প্রথম দুই ওভারে দেন মোটে দুই রান।

তৃতীয় ওভারেই ব্রেক থ্রু পায় সিলেট। জাকির হাসানের দারুণ থ্রোতে রান আউট হন একই ওভারে মাশরাফিকে ছক্কা হাঁকানো মারুফ।
এরপর চট্রগ্রাম ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিল শুরু হয়। মাশরাফি, আমিরদের দারুণ বোলিং এ পাওয়ার প্লেতে চট্টগ্রাম তুলতে পারে মোটে ২১ রান। প্রথম ছয় ওভারেই তারা হারায় ৩ উইকেট।


এরপর আল আমিন জুনিয়র আর আফিফ হোসেন ধ্রুব কিছুটা প্রতিরোধের চেষ্টা চালালেও দশম ওভারেই ভাঙে সে জুটি। সপ্তম ওভারে বোলিং এ এসে দারুণ বোলিং করতে থাকেন সিলেটেরই পেসার রাজা। প্রথমবারের মত বিপিএল খেলতে আসা ভারতের অনুর্ধ্ব ১৯ দলের সাবেক অধিনায়ক উন্মুক্ত চাঁদকে ফেরান রাজা।

একপ্রান্ত কিছুক্ষন আগলে রাখলেও বেশিদূর আগাতে পারেননি আফিফ। চটগ্রামের ইনিংস সর্বোচ্চ ২৩ বলে ২৫ রান করে আউট হন তিনি মোহাম্মদ আমিরের বলে।

৪ ওভারে ১৪ রান দিয়ে ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ফিগারে ৪ উইকেট পান রাজা। দীর্ঘদিন পর মাঠের ক্রিকেটে ফেরা মাশরাফি ১৮ রানে নেন এক উইকেট। ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বেশি বেগ পেতে হয়নি সিলেটকে।ডাচ ব্যাটার কলিন আকারম্যান তৃতীয় ওভারেই সাজঘরে ফিরলেও দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে নাজমুল হোসেন শান্ত আর জাকির হাসানই জয় নিশ্চিত করে ফেলেন সিলেটের। ৬৩ রানের জুটি গড়ে জাকির হাসান ফিরে গেলেও মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে বাকি কাজটুকু করতে কোনো সমস্যা হয়নি শান্তর।

৪১ বলে ৪৩ রান করে অপরাজিত থেকেই দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান জাতীয় দলের এই ওপেনার। আট উইকেটের সহজ জয় পায় সিলেট।
দারুণ বোলিংয়ে ম্যাচ সেরা হন সিলেটের পেসার রেজাউর রহমান রাজা।

ম্যাচ সেরার পুরষ্কার পেয়ে রাজা কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন সিলেটের দুই অভিজ্ঞ খেলোয়াড় মাশরাফি আর মুশফিককে,’প্রসেসটা মানতে চেয়েছি, সঠিক জায়গায় বোলিং করার চেষ্টা করেছি, উইকেট সহায়তা করায় কিছু ভেরিয়েশনেরও চেষ্টা করেছি, ভাগ্যক্রমে সেগুলো কাজে লেগেছে, মাশরাফি ও  মুশফিকুর রহিম ভাইদের তাদের অবদানের জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই’।

মাশরাফিও জানান প্রথম ম্যাচ জেতাটা গুরুত্বপূর্ণ এমন টুর্নামেন্ট শুরু করতে, ‘আমরা ভালো শুরু করেছি। টস জেতাটা গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। মোমেন্টাম এখন আমাদের সাথে থাকবে। আমরা ম্যাচ ধরে ধরে এগোতে চাই। আজকে আমাদের বোলিং দারুণ ছিলো, ব্যাটাররাও তাদের কাজ ঠিকঠাক করেছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link