টেপ টেনিস থেকে বিপিএল, হঠাৎ আলোর বিচ্ছুরণ। স্ট্রোকের ফুলঝুড়ি আর ভয়ডরহীন ব্যাটিংয়ের সুবাদে লাইম লাইটে আসেন হাবিবুর রহমান সোহান। তবে, একটু ছন্দপতন। আবারও তিনি এসেছেন আলোচনায়, আবারও আলোচনায় সোহানের ঝড়।
চলতি জাতীয় ক্রিকেট লিগ টি-টোয়েন্টিতে যেন চলছে রান উৎসব। সেই তালিকায় এবার নাম লেখালেন হাবিবুর রহমান সোহান। সাজঘরে ফেরার আগে খেললেন ৩৮ বলে ৬৬ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। যাতে আটটা বাউন্ডারির সাথে আছে চারটা চোখ ধাঁধানোর ছক্কার মার।
খুলনার দেওয়া ১৭৩ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ঝড়ো শুরু করেন তিনি। ৪১ মিনিটের মত ক্রিজে ছিলেন, যতক্ষন ছিলেন প্রতিপক্ষের বোলারদের কচুকাটা করতে একবারও হয়ত ভাবেননি। প্রথম ওভারেই নাহিদুলকে দুই চার মেরে ইনিংস শুরু। পরের ওভারে আল আমিন হোসেনকে এক ছক্কা, এক চার। মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরি আর মেহেদি হাসান রানার উপরে ঝড়টা গেল বেশি। মৃত্যুঞ্জয়কে ব্যাক টু ব্যাক দুই ছক্কা আর এক চারে যেন ছত্রভঙ্গই করে দিলেন। রানার ওভারে মারলেন টানা দুই বাউন্ডারি আর এক ছক্কা।
১৭৩ রানের টার্গেটটা মামুলই করে ফেরেছিলেন তিনি অনেকটা। যদিও ব্যক্তিগত ৬৫ রানের মাথায় আল আমিনের বলে সহজ ক্যাচ তুলে দেন তিনি। তবে হেলায় সে সুযোগ হাতছাড়া করে খুলনা।
তবে ইনিংসটা বড় করতে পারেননি তিনি। আর মাত্র এক রান যোগ করেই আবারও ক্যাচ তুলে সাজঘরে ফিরেছেন তিনি। তাকে আউট করে দায়মুক্তিই যেন করলেন মৃৃত্যুঞ্জয়। তবে প্রায় ১৭৫ স্ট্রাইকরেটের ইনিংসটা একদম খাসা টি-টোয়েন্টি ইনিংস।
পিউর হিটার বলতে যা বুঝায় হাবিবুর যেন তাই। বুলেটের গতিতে ব্যাট চালিয়ে যেন রণক্ষেত্রে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন হাবিবুর রহমান সোহান। হালকা পাতলা গড়নের শরীর, কিন্তু ব্যাটে যেন বজ্রের তেজ। পাওয়ার হিটিং বলতে সবাই হয়তো গায়ের জোর বোঝে, কিন্তু সোহান দেখালেন—এটা এক কাব্যের মতো; যেখানে প্রয়োজন কৌশল আর নিখুঁত টাইমিং।