হ্যাটট্রিকের পরও বিদায় রাবাদাদের

ইংল্যান্ডকে ১০ রানে হারিয়ে জয় দিয়ে টুর্নামেন্ট শেষ করলো দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ ওভারে কাগিসো রাবাদার দুর্দান্ত হ্যাটট্রিকে নাটকীয় জয় পেলো প্রোটিয়ারা। যদিও, এমন বোলিং আর জয়ের পরও সেমিফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হল তাঁরা। বরং ‘এ’ গ্রুপ থেকে সেমি নিশ্চিত করলো অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড।

১৯০ রানের বিশাল লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে ইংলিশরা। ১৩০ রানের আগে ইংলিশদের থামাতে পারলে জয় তবেই সেমিতে যাবে দক্ষিণ আফ্রিকা সমীকরণটা ছিলো এমন। তবে সেটি আর সম্ভব হয়নি। বাটলার, মঈন, লিভিংস্টোনের ব্যাটে সেই সম্ভাবনা উঁড়িয়ে দেয় ইংলিশরা। শুরুটা ভালোই করে দুই ইংলিশ ওপেনার। এরপর ব্যক্তিগত ২০ রানে হ্যামস্ট্রিংয়ের ইনজুরিতে প্যাভিলিয়ানে ফেরত যান রয়। আরেকপ্রান্তে বাটলার খেলতে থাকেন মারমুখি হয়ে। দলীয় ৫৮ রানে ১৫ বলে ২৬ রানে বাটলার ফিরলে প্রথম উইকেটের পতন ঘটে।

এরপর দ্রুতই ফিরেন জনি বেয়ারস্টো! ৫৯ রানে ২ উইকেট হারায় ইংলিশরা। তৃতীয় উইকেটে মঈন ও ডেভিড মালান মিলে গড়েন অসাধারণ এক জুটি। দু’জনের ৩৬ বলের ৫১ রানের জুটি দলের মধ্যে জয়ের স্বপ্ন জাগায়। দলীয় ১১০ রানে ২৭ বলে ২ ছক্কা ও ৩ চারে আউট হন মঈন।

এরপর লিভিংস্টোন ঝড়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে উঁড়িয়ে দিয়ে সেমি নিশ্চিত করে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। ২৬ বলে ৩৩ রানে মালান ফিরলেও দাপট দেখান লিভিংস্টোন। শেষ ৩ ওভারে দরকার ছিলো ৩৫ রান। লিভিংস্টোন ফিরলেও মরগ্যান-ওকসের দাপটে শেষ ওভারে ইংলিশদের দরকার ছিলো ১৪ রানের!

কিন্তু শেষ ওভারের প্রথম তিন বলেই তিন উইকেট নিয়ে রাবাদার হ্যাটট্রিকে ইংলিশরা ম্যাচ থেকে ছিটকে যায়! ওকস, মরগ্যান, জর্ডানরা ফিরেন তিন বলের ব্যবধানেই। ১০ রানের জয়ে শেষ টা রাবাদার সাথে সাথে রঙিন করে রাখলো প্রোটিয়ারা।

টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে খুব ভালো শুরু করতে পারেনি প্রোটিয়ারা। দলীয় ১৫ রানেই ফিরেন রিজা হেন্ড্রিক্স। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে ডি ককের সাথে জুটি গড়েন ভ্যান ডার ডুসেন। দু’জনের ব্যাটে বেশ ভালোই এগোতে থাকে প্রোটিয়ারা। দ্বিতীয় উইকেটে দু’জনে মিলে গড়েন ৭১ রান। এরপর দলীয় ৮৬ রানে ব্যক্তিগত ২৭ বলে ৩৪ রানে ডি কক আউট হন। ডুসেনের সাথে জুটি বাঁধেন এইডেন মার্করাম। দুই প্রান্তে দু’জনেই খেলতে থাকেন দুর্দান্ত গতিতে।

বাকি পথটা পাড়ি দেন দু’জনে। দুই প্রান্তে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে দু’জনেই দেখা পান ফিফটির। তবে ডুসেন ছুটছিলেন আরো দ্রুত! কিন্তু অল্পের জন্য ধরতে পারেননি সেঞ্চুরির মাইলফলক। ডুসেন ও মার্করামের জোড়া ফিফটিতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ২ উইকেটে ১৮৯ রান সংগ্রহ করে দক্ষিণ আফ্রিকা। মাত্র ৬ রানের জন্য ডুসেন দেখা পাননি সেঞ্চুরির। মার্করাম ২৫ বলে ৪ ছক্কা ও ২ চারে ৫২ এবং ডুসেন ৬০ বলে ৬ ছক্কা ও ৫ চারে ৯৪ রানে অপরাজিত থাকেন। ইংল্যান্ডের পক্ষে আদিল রশিদ ও মঈন আলি শিকার করেন একটি করে উইকেট।

  • সংক্ষিপ্ত স্কোর

দক্ষিণ আফ্রিকা – ১৮৯/২ (২০ ওভার); ডুসেন ৯৪(৬০),* মার্করাম ৫২(২৫)*, ডি কক ৩৪(২৭);
মঈন ৪-০-২৭-১, রশিদ ৪-০-৩২-১।

ইংল্যান্ড – ১৭৯/৮ (২০ ওভার); মঈন ৩৭(২৭), মালান ৩৩(২৬), লিভিংস্টোন ২৮(১৭), বাটলার ২৬(১৫); শামসি ৪-০-২৪-২, নর্কে ৪-০-৩৪-১, প্রিটোরিয়াস ৩-০-৩০-২।

ফলাফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ১০ রানে জয়ী।

ম্যাচ সেরা: রসি ভ্যান ডার ডুসেন (দক্ষিণ আফ্রিকা)।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link