এই ব্রাজিলকে সমীহ করতেই হয়, এই ব্রাজিলের সামনে মাথা নোয়াতে হবেই। দক্ষিণ কোরিয়া সেটা টের পেল হাড়েহাড়ে। একেবারে গুণে গুণে পাঁচ গোল হজম করেছে নিজেদের জালে।
সিউল ওয়ার্ল্ডকাপ স্টেডিয়াম তখন বৃষ্টির মোহনীয় ছোঁয়ায় মেতে উঠেছে। তবে প্রকৃতির নান্দনিকতায় ভাগ বসাল ব্রাজিল, দৃষ্টিনন্দন ফুটবল দিয়ে মাতিয়ে রাখলো গোটা স্টেডিয়াম। শুরু থেকেই সেই ব্রাজিলের নির্মম মাধুর্যতা দেখল কোরিয়া। আক্রমণের পশরা সাজিয়েছে বসেছিলেন ভিনি-রোদ্রিগোরা। দলের মধ্যে সুর তাল-লয়ের চিরচেনা সেই সম্বনয়। ফলস্বরূপ প্রথম গোল আসল ১৩ মিনিটের মাথায়।
গিমারেসের বাড়ানো নিখুঁত বল খুঁজে নেয় এস্তেভাওর পা। কোন ভুল করলেন না তিনি, কোরিয়াকে প্রথম আঘাত উপহার দিলেন। এরপর যদিও সুযোগ আসে-যায় তবে বল ঠিকানা পায় না।
অবশেষে ৪০ মিনিটের মাথায় নীরবতা ভাঙেন রদ্রিগো। কাসেমিরোর বাড়ানো বলকে গোলে রূপান্তর করেন এই রিয়াল মাদ্রিদ তারকা। মধ্যবিরতিতে যাওয়ার আগে ২-০ তেই শেষ হয় গল্পটা।
বিরতি থেকে ফিরে যেন আরও ধংসাত্মক হয়ে ওঠে ব্রাজিল। ৪৭ মিনিটেই এস্তেভাও নিজের দ্বিতীয় গোল পূরণ করেন। এরপরই আবার চমক দেখান রদ্রিগো, চতুর্থ নম্বর গোলটা আসে তাঁর পা থেকে। নাস্তানাবুদ হয়ে যায় কোরিয়া।
তবে একটা আক্ষেপ বুঝি থেকেই যাচ্ছিল। হালি পূরণ হলেও যে গোলের দেখা পাননি ভিনিসিয়াস। তবে সে আক্ষেপে প্রলেপ এটে দিলেন তিনি ৭৭ মিনিটের মাথায়। প্রতি আক্রমণে গতিময় ভিনির নিখুঁত ফিনিশ। ব্যস শেষ বাশি বাজার আগে ষোলকলা পূর্ণ হয় ব্রাজিলের। দক্ষিণ কোরিয়া ৫-০ গোলের ব্যবধানে অসহায় হয়ে মাঠ ছাড়ে।
এই ম্যাচ যেন ব্রাজিলের নান্দনিকতার পূর্ণজাগরণ ঘটাল। সবকিছু একেবারে নিখুঁত, সুন্দর অথচ প্রতিপক্ষের জন্য ভয়ঙ্কর। সেলেসাওদের ফিরে পাওয়া পুরোনো সুর।