ব্রিল এম্বোলোর উদ্দেশ্যে আসা থ্রু বলটা আটকাতে ব্যর্থ হন রবিন লি নরম্যান্ড, এম্বোলো বলের দখল নিয়েই ভোঁ-দৌড়। রক্ষণের শেষ সেনানী হিসেবে বাধ্য হয়েই তাই নরম্যান্ড ফেলে দেন তাঁকে, লাল কার্ড বের করতে রেফারির দুই মুহুর্ত ভাবতে হয়নি – ম্যাচের তখন মাত্র বিশ মিনিট। ম্যাচের বাকিটা সময় স্পেনকে তাই খেলতে হয়েছে একজন কম নিয়ে।
এতটুকুতে মনে হতেই পারে সুইজারল্যান্ড তাহলে বোধহয় স্পেনের কঠিন পরীক্ষা নিয়েছে। কিন্তু স্কোরবোর্ড দেখলেই ভুল ভাঙ্গবে আপনার। ম্যাচটা আসলে হয়েছে এক তরফা, দশজন নিয়েই প্রতিপক্ষকে ঘোল খাইয়ে ছেড়েছে ইউরো চ্যাম্পিয়নরা।
আগের ম্যাচে তুলনামূলক খর্ব শক্তির সার্বিয়ার বিপক্ষে ড্র করে বসেছিল দলটি, সে জন্যই বোধহয় সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে একাদশে একাধিক পরিবর্তন করেছেন কোচ লা ফুয়েন্তে। আর সেটাই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দিয়েছে। এদিন শুরুর একাদশে জায়গা পাওয়া জোসেলু স্রেফ চার মিনিটের মাথায় এগিয়ে দিয়েছিলেন স্পেনকে।
এর দশ মিনিট পার হবার আগেই পুনরায় সুইসদের জালে বলে; এবার গোল আসে মিডফিল্ডার ফ্যাবিয়ান রুইজের পা থেকে। রেড কার্ডের সুবাদে খানিকটা মোমেন্টাম অবশ্য পায় সুইসরা, বিরতির আগে তাই এক গোল শোধ করে ফেলে দলটি। দ্বিতীয়ার্ধে সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখার চেষ্টা তাঁরা করেছিল ঠিকই কিন্তু ধোপে টেকেনি।
ফেরান তোরেসের সহায়তার দ্বিতীয় গোলের দেখা পান রুইজ, ততক্ষণে স্পেনের জয় নিশ্চিত প্রায়। তবু তুষ্ট হয়নি তাঁরা, যার গোলে শুরু সেই জোসেলু শেষটা করেছেন অ্যাসিস্ট দিয়ে। তাঁর অ্যাসিস্টে গোল করে সুইজারল্যান্ডের কফিনে চতুর্থ পেরেক ঠুকে দেন তোরেস।
আগের ম্যাচে হোঁচট খাওয়ার পর দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ালো স্পেন, একজন কম নিয়েও তাঁরা যেভাবে আক্রমণাত্মক হয়ে খেলেছে তাতে ফুটবলার আর কোচের সাহসের গুণগান গাইতে হবেই। গত কয়েক মাস আগে স্পেনে যে ফুটবল বসন্ত শুরু হয়েছে সেই বসন্তের সৌরভ এখনও ভাসছে বাতাসে; সম্ভাবনার অংক বলছে সামনেও আরও অনেকদিন ভাসবে।