বাংলাদেশকে সঙ্গে নিয়েই সুপার ফোরে শ্রীলঙ্কা!

বাংলাদেশকে সাথে নিয়েই সুপার ফোরে শ্রীলঙ্কা। ব্যাটারদের দৃঢ়তায় ছয় উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ল তারা। ব্যর্থ লড়াই শেষে বিদায় বললো আফগানরা।

বাংলাদেশকে সাথে নিয়েই সুপার ফোরে শ্রীলঙ্কা। ব্যাটারদের দৃঢ়তায় ছয় উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ল তারা। ব্যর্থ লড়াই শেষে বিদায় বললো আফগানরা।

শ্রীলঙ্কার হাতে দোদুল্যমান বাংলাদেশের ভাগ্য। এমন ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টস হারল লঙ্কানরা। আফগান কাপ্তান রশিদ খান নিলেন ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত।

প্রথম দুই ওভারে ২৬ রান তুলে আফগানদের শুরটা হলো উড়ন্ত। তবে নুয়ান থুসারার শিকার হয়ে ১৪ রান করে রাহমানউল্লাহ গুরবাজ ফিরলে ছন্দ পতন ঘটে। স্বল্প সময়ের ব্যবধানে আরও দুই উইকেট হারালে পাওয়ার প্লেতে আফগানদের রান দাঁড়ায় তিন উইকেট হারিয়ে ৪৫ রান।

দলের দায়িত্ব পড়ে ইব্রাহিম জাদরানের কাঁধে। রাসুলিকে নিয়ে জুটির গড়ার চেষ্টা চালাতে থাকেন। তবে কুশল পেরেরার দূর্দান্ত ক্যাচে রাসুলির বিদায় ঘটলে আবারও ভেঙে পড়ে আফগানদের সম্ভাবনা। আর যা একেবারেই নিঃশ্বেস হয়ে যায় চামিরার দূরন্ত ক্যাচে জাদরানের ফিরে যাওয়ায়। আফগানদের সংগ্রহ তখন ছয় উইকেট হারিয়ে ৭৯ রান।

অধিনায়ক রশিদ খান সেই মূহুর্তে স্কোরবোর্ডে কিছু রান এনে দেওয়ার চেষ্টা চালান। ২৪ রানে যদিও থামতে হয় তাঁকে। ১৭.১ ওভার শেষে দলের রান তখন ১১৪। পরের সবটুকু শুধু মোহাম্মদ নবির দখলে। ব্যাটিং ঝড় বইয়ে দেন আবুধাবির আকাশে। তাঁর ২২ বলে ৬০ রানের ইনিংসে ভর করে আফগানদের রান গিয়ে ঠেকে ১৬৯-এ। এদিন বল হাতে লঙ্কানদের হয়ে চার ওভারে ১৮ রান দিয়ে থুসারা নেন চার উইকেট।

আফগানদের স্পিন আক্রমণের বিপক্ষে এই রান তোলাটা সহজ ছিল না নিশাঙ্কা-মেন্ডিসদের জন্য। ব্যক্তিগত ছয় রানে নিশাঙ্কা বিদায় নিলে সঙ্কা জেগে লঙ্কান শিবিরে। কামিল মিশারা ব্যর্থ হলেন এদিন। তবে অবিচল ছিলেন কুশল মেন্ডিস। পাওয়ার প্লেতে লঙ্কানদের সংগ্রহ দাঁড়ায় দুই উইকেট হারিয়ে ৫৩ রান।

পেরেরাকে সাথে নিয়ে কুশল মেন্ডিস গড়ে তোলেন সম্ভাবনাময়ী জুটি। সেখান থেকে আসে ৪৫ রান। ২৮ রানে পেরেরা ফিরে গেলেও মেন্ডিস তুলে নেন ফিফটি। ততক্ষণে শ্রীলঙ্কা ম্যাচের লাগাম নিয়ে ফেলেছে। আর কোন বিপত্তি ঘটেনি, কুশল মেন্ডিসের ৫২ বলে ৭৪ আর কামিন্দুর দায়িত্বশীল ২৬ রানে ভর করে ছয় উইকেটের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে লঙ্কানরা। রশিদ-নবিদের সঙ্গী হলো একরাশ হতাশা।

শ্রীলঙ্কার জয়ে আফগানদের স্বপ্নভঙ্গ হলেও, স্বস্তি ফিরল বাংলাদেশের ডেরায়। তাই তো দিনশেষে লিটনরা আসালঙ্কাদের একটা ধন্যবাদ দিতেই পারেন।

লেখক পরিচিতি

প্রত্যয় হক কাব্য

স্বপ্ন লেখার কি-বোর্ড

Share via
Copy link