শেষটা রঙিন শ্রীলঙ্কার

সেমির আশা লঙ্কানদের আগেই শেষ।

ক্যারিবিয়ানদের সেই সম্ভাবনা থাকলেও সেটি ছিলো বেশ ক্ষীণ। বাকি দুই ম্যাচে বড় জয় পেলেও তাকিয়ে থাকতে হতো বাকিদলের দিকে। কিন্তু শ্রীলঙ্কার কাছে ২০ রানের ব্যবধানে হেরে অফিসিয়ালি টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেই সাথে শেষ ম্যাচে জয় দিয়ে এবারের আসর শেষ করলো লঙ্কানরা।

জবাবে ১৯০ রানের বিশাল লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ক্যারিবিয়ানরা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ক্রিস গেইল ও এভিন লুইসকে ফিরিয়ে জোড়া আঘাত হানেন বিনুরা ফার্নান্দো। তৃতীয় উইকেটে রস্টন চেজ ও নিকোলাস পুরানের ৩৭ রানের জুটি ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিলেও চামিকা করুণারত্নের শিকার হয়ে ফিরেন যান চেজ। এরপর একপ্রান্তে কিছুটা মারমুখি হয়ে খেলার চেষ্টা করেন পুরান। ভালো ইনিংস খেললেও থিতু হতে পারেননি লম্বা সময়। দলীয় ৭৭ রানে ৩৪ বলে ৪৬ রানের অসাধারণ এক ইনিংসের পথে আউট হন তিনি।

৭৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে অনেকটাই ছিটকে যায় ক্যারিবিয়ানরা। এরপর আন্দ্রে রাসেল ফেরেন দ্রুতই। খালি হাতেই ফেরেন কাইরেন পোলার্ডও। একপ্রান্তে হেটমায়ার রান তুলতে থাকলেও আরেক প্রান্তে বাকিরা ছিলেন আসা যাওয়ার মিছিলে। জেসন হোল্ডারও দ্রুত ফিরলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ১১৭ রান। ম্যাচে ক্যারিবিয়ানদের হারটা তখন সময়ের ব্যাপার। একপ্রান্তে বাকিরা ব্যর্থ হলেও আরেকপ্রান্তে ৩৯ বলে ফিফটি তুলে নেন হেটমায়ার।

হেটমায়ারের তাণ্ডবের পর শেষ ওভারে ক্যারিবিয়ানদের প্রয়োজন ছিলো ৩৪ রান! মাত্র ১৩ রান নিতে সক্ষম হন হেটমায়ার। তার অনবদ্য ৮১ রানের ইনিংসের পরেও ২০ রানের হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে ক্যারিবিয়ানরা।

টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে লঙ্কানরা। কুশল পেরেরার দাপটে ওপেনিং জুটিতেই আসে ৪২ রান। এরপর দলীয় ৪২ রানে ২১ বলে ১ ছক্কা ও ২ চারে ২৯ রানে আউট হন কুশল। দ্বিতীয় উইকেটে পাথুম নিসাঙ্কার সাথে জুটি বাঁধেন চারিথ আসালাঙ্কা। দুজনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে ক্যারিবিয়ানদের বোলিং শিবির। আসালাঙ্কার ঝড়ো ব্যাটিং আর নিসাঙ্কার যোগ্য সাপোর্টে ক্যারিবিয়ানদের সামনে রুদ্রমূর্তি ধারণ করে এই দুই লঙ্কান ব্যাটার।

দ্বিতীয় উইকেটে দু’জনে মিলে গড়েন ৬১ বলে ৯১ রানের দুর্দান্ত এক জুটি। দুই প্রান্তে দু’জনেই দেখা পান অসাধারণ ফিফটির। এরপর দলীয় ১৩৩ রানে ব্যক্তিগত ৪১ বলে ৫১ রানে আউট হন নিসাঙ্কা। তৃতীয় উইকেটে আসালাঙ্কার সাথে যোগ দেন দাসুন শানাকা। দুই প্রান্তে দু’জনেই আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন। তৃতীয় উইকেটে দু’জনে মিলে গড়েন ৪৬ রানের জুটি! শেষদিকে ১৯ তম ওভারে দলীয় ১৭৯ রানে ব্যক্তিগত ৪১ বলে ৬৮ রানে আউট হন আসালাঙ্কা।

তবে শানাকার অপরাজিত ১৪ বলে ২৫ রানের ক্যামিওতে শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ১৮৯ রান সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্দ্রে রাসেল ২ ও ব্রাভো নেন এক উইকেট।

  • সংক্ষিপ্ত স্কোর

শ্রীলঙ্কা – ১৮৯/৩ (২০ ওভার); আসালাঙ্কা ৬৮ (৪১), নিসাঙ্কা ৫১ (৪১), শানাকা ২৫ (১৪)*, কুশল ২৯ (২১); রাসেল ৪-০-৩৩-২, ব্রাভো ৪-০-৪২-১।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ – ১৬৯/৮ (২০ ওভার); হেটমায়ার ৮১ (৫৪)*, পুরান ৪৬ (৩৪); চামিকা ৪-০-৪৩-২, বিনুরা ২-০-২৪-২, হাসারাঙ্গা ৪-০-১৯-২।

ফলাফল: শ্রীলঙ্কা ২০ রানে জয়ী।

ম্যাচ সেরা: চারিথ আসালাঙ্কা (শ্রীলঙ্কা)।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link