মাত্র ১২৪ রানের মামুলি টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দুইওভারেই নেই দুই উইকেট। তখনই ২২ গজে আবির্ভূত হন তাওহীদ হৃদয়। ক্রিজে এসেই রাকিম কর্নওয়ালের বলটা তুলে মারলেন ডিপ মিড উইকেটের উপর দিয়ে বাউন্ডারি লাইনের ওপারে। পরের বলটা থার্ডমান দিয়ে গড়িয়ে গড়িয়ে চলে গেল সীমানার বাইরে। এভাবেই চাপে না পড়ে কাউন্টার অ্যার্টাকে ২৭ বলে ৪৮ রানের ঝড়ো ইনিংস খেললেন তাওহীদ হৃদয়। চিরচেনা ছন্দেই যেন ফিরে এলেন দেশের ক্রিকেটের ‘দ্য স্টারবয়’। আট বাউন্ডারি আর দুই ওভারবাউন্ডারির ইনিংসটা সেটার পক্ষেই সাক্ষ্য দেয়।
ব্যাটে রান নেই, শট সিলেকশনেও যাচাই-বাছাইয়ের বালাই নেই। হৃদয়কে নিয়ে এমন কানাঘুষা ক্রিকেট মহলে চলছিল বেশ কিছুদিন থেকেই। দীর্ঘদিন পর ইনজুরি থেকে ফিরে এনসিএল টি-টোয়েন্টি লিগে একটা দারুণ ইনিংস খেলেছিলেন তিনি।
এরপর থেকেই যেন নিজেই নিজের ছায়া হয়েছিলেন। মারকাটারি তাওহীদ যেন হারিয়েই গেছে, এমন হায় হায় রবও উঠেছিল অনেকের মনে। সমালোচনার তীরটাও আসছিল বেশ।
তবে হৃদয় তো স্টারবয়। সে যানে কিভাবে ফিরে আসতে হয়, ঘুরে দাঁড়াতে হয়। ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য সেরা একটা মঞ্চকেই বেছে নিলেন তিনি। চাপে পড়া দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান রীতিমতো তান্ডব তুলে। কর্নওয়ালের পরে তানজিম হাসান সাকিব কিংবা রিচ টপলি কেওই পাত্তা পাননি এদিন হৃদয়ের সামনে।
উইকেটের চারপাশে বাউন্ডারি, ওভার বাউন্ডারির পসরা সাজিয়েছিলেন তিনি এদিন। পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে আল আমিন হোসেনকে চারটি চার মেরে সিলেটকে ম্যাচ থেকেই ছিটকে দেন তিনি। শেষ বেলায় তার থেকে রক্ষা পাননি রুয়েল মিয়াও। যদিও ফিফটি তুলে নিতে পারেননি তিনি।
তানজিম সাকিবের বলে যখন বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরছেন ততক্ষণে বরিশালের জয় সুনিশ্চিত। এমন আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে মাত্র ১০ ওভারেই ম্যাচ জিতে যায় তার দল বরিশাল ফরচুন। এমন চিরচেনা ছন্দে আগ্রাসী তাওহীদ হৃদয় ঝলক দেখে তৃপ্ত দেশের আপামর ক্রিকেট প্রেমি দর্শকরাও।