মানসম্মত বিদেশি খেলোয়াড় ভিড়িয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স

এখন পর্যন্ত বিদেশি ক্রিকেটার পাওয়া নিয়ে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে দলগুলোকে। তবে ভিন্নতা দেখিয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। বেশ পরীক্ষিত বিদেশি খেলোয়াড়দেরই দলে অন্তর্ভুক্ত করেছে ফ্রাঞ্চাইজিটি। এমনকি টুর্নামেন্ট শুরুর আগেভাগেই অধিকাংশ 'ফরেন রিক্রুট' যুক্ত হয়েছেন দলের সাথে।

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের সবচেয়ে বড় ক্রাইসিস সম্ভবত মানসম্মত বিদেশি খেলোয়াড়দের অভাব। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স দল প্রতিবারই বেশ প্রসিদ্ধ খেলোয়াড়দের দলে ভিড়িয়ে তাক লাগিয়েছে সবাইকে। তবে এ দফা তারা পড়েছে বিপাকে। বিদেশি খেলোয়াড়দের মধ্যে স্রেফ দুইজন ক্রিকেটারের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে পেরেছে দলটি।

বাকি দলগুলোর অবস্থাও প্রায় একই। তবে এসবের মাঝেও ভিন্নতা দেখিয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। বেশ পরীক্ষিত বিদেশি খেলোয়াড়দেরই দলে অন্তর্ভুক্ত করেছে ফ্রাঞ্চাইজিটি। এমনকি টুর্নামেন্ট শুরুর আগেভাগেই অধিকাংশ ‘ফরেন রিক্রুট’ যুক্ত হয়েছেন দলের সাথে।

বেন কাটিং, রায়ান বার্ল, হ্যারি টেক্টরদের মত খেলোয়াড় দিয়ে শিবির পূর্ণ করেছে সিলেট। এছাড়াও ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটের ফেরিওয়ালা খ্যাত বেনি হাওয়েলকেও নিজেদের ডেরায় ভিড়িয়েছে ফ্রাঞ্চাইজিটি। শুধু তাই নয়, জিম্বাবুয়ের রিচার্ড এনগারাভা, ওয়েস্ট ইন্ডিজের শ্যানন গ্যাবিয়েলকে দেখা যাবে চায়ের দেশের প্রতিনিধি হিসেবে।

শ্রীলঙ্কার লেগ স্পিনিং অলরাউন্ডার দুশান হেমান্থাও মাঠে নামবেন সিলেটের জার্সি গায়ে চাপিয়ে। জিম্বাবুয়ের রায়ান বার্ল ও রিচার্ড এনগারাভা সেই সাথে ক্যারিবিয়ান শ্যানন গ্যাবরিয়াল ছাড়া প্রায় প্রত্যেকেই উপস্থিত ছিলেন দলগত অনুশীলনে।

দেশীয় খেলোয়াড় আর মানসম্মত বিদেশিদের মেলবন্ধনে বেশ ভারসাম্যপূর্ণ এক দল নিয়েই বিপিএলের দশম আসর শুরু করতে যাচ্ছে গেলবারের রানার্সআপ দল। গেল আসরে রীতিমত চমক দেখিয়েছিল সিলেট। মাঝারি মানের এক দলকে নেতৃত্ব দিয়ে ফাইনাল অবধি নিয়ে গিয়েছিলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা।

এবার সে তুলনায় দল বেশ গোছানো। প্রায় প্রতিটা বিভাগেই পরীক্ষিত পারফরমাররা রয়েছেন। মাশরাফি ঠিক কবে নাগদ দলের সাথে যুক্ত হবেন সেটা অনিশ্চিত। সেদিক বিবেচনায় নাজমুল হোসেন শান্তর হাতেই উঠতে পারে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব।

শান্ত ছাড়াও দলের ব্যাটিং সামলানোর দায়িত্ব থাকবে তরুণ জাকির হাসান ও অভিজ্ঞ শামসুর রহমান শুভর উপর। রায়ান বার্ল, বেন কাটিং, বেনি হাওয়েলরা যেকোন দিন ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়ার সক্ষমতা রাখেন। তাছাড়া বোলিং ডিপার্টমেন্টও বেশ সমৃদ্ধই বলা চলে সিলেটের।

মাশরাফি যদি নাও খেলেন তবুও খুব একটা সমস্যা হওয়ার কথা নয় সিলেটের। তরুণ পেসার তানজিম হাসান সাকিবকে সঙ্গ দেবেন রেজাউর রহমান রাজা। তাছাড়া রিচার্ড এনগারাভা, শ্যানন গ্যাবরিয়ালরা অনায়াসে সামলে নেবেন পেস আক্রমণ।

অন্যদিকে নাজমুল ইসলাম অপু, নাঈম হাসান ও দুশান হেমন্থা ঘূর্ণি যাদুতে কাবু করবেন প্রতিপক্ষকে। মোদ্দা কথা দেশি ও বিদেশি খেলোয়াড়দের সংমিশ্রণে বেশ ভারসাম্যপূর্ণ এক দল এবারের সিলেট স্ট্রাইকারস। স্বাভাবিকভাবেই চ্যাম্পিয়ন হওয়া প্রত্যয় নিয়েই এবার খেলতে নামবে গেলবারের রানার্সআপ দল।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...