Social Media

Light
Dark

কান্না চেপে অবসরের ঘোষণা তামিমের

জল্পনা-কল্পনার অবসান হল। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিলেন তামিম ইকবাল খান। টি-টোয়েন্টিকে বিদায় জানিয়েছিলেন আগেই, এবার বিদায় বলে দিলেন বাকি দুই ফরম্যাটকেও।

তামিমকে আর কখনওই বাংলাদেশের জার্সি পরতে দেখা যাবে না। এমনকি আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের বাকি ‍দু’টি ম্যাচেও তিনি খেলবেন না। মানে, এই দুই ম্যাচ তো বটেই আসছে ওয়ানডে বিশ্বকাপেও নতুন অধিনায়কের নেতৃত্বে খেলবে বাংলাদেশ দল।

এরই মধ্য দিয়ে ১৬ বছরের বর্ণাঢ্য এক ক্যারিয়ারের ইতি ঘটল। ২০০৭ থেকে ২০১৯ – চারটি বিশ্বকাপ তিনি খেলেছেন বাংলাদেশ দলের হয়ে। তবে, এখানেই শেষ। এবার বিদায় নেওয়ার পালা। ফিটনেস আর অফফর্ম মিলিয়ে নিজেকে আর টেনে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয় – জানিয়ে  দিলেন খান সাহেব।

বৃহস্পতিবার নিজ শহর চট্টগ্রামেই অবসরের বার্তাটা জানিয়ে দিলেন গণমাধ্যমের কাছে।  অবসরের ঘোষণা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। কান্না ভেজা কন্ঠে বলেন, ‘আফগানিস্তানের বিপক্ষে গতকালকের ম্যাচটিই আমার ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ। এই মুহূর্ত থেকে আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানাচ্ছি।’

বাবা ইকবাল খানের স্বপ্ন ছিল ছেলে তামিম বড় ক্রিকেটার হবে। সেই স্বপ্ন পূরণ করতে পেরেছেন তামিম। তিনি বলেন, ‘আমি সব সময় বলেছি ক্রিকেট খেলেই বাবার স্বপ্ন পূরণ করেছি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে গিয়ে অনেক পরিস্থিতির মুখে পড়েছি, সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমার ছোট চাচার হাত ধরেই ক্রিকেটে এসেছি। যারা আমাকে এই পর্যায়ে আনতে ভূমকিা রেখেছেন, তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’

কয়েকদিন ধরেই অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়ে ভাবছিলেন তামিম। তিনি বলেন, ‘আমি গত কিছুদিন ধরেই সিদ্ধান্তটা নিয়ে রেখেছি। এমন না যে সিদ্ধান্তটা হুট করে নেওয়া। পরিবার, বন্ধুদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করেছি। সবকিছু মিলিয়েই আমার এই সিদ্ধান্ত।’

এর অর্থ হল বুধবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের ম্যাচটাই তামিমের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ। চলতি বছরের বিশ্বকাপটা খেলার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু, সেই স্বপ্ন পূরণ হল না। এখন, তামিমকে ছাড়াই পরিকল্পনা সাজাতে হবে বাংলাদেশকে।

অবশ্য, বাংলাদেশ দলও সম্ভবত প্রস্তুত। ফিটনেস ইস্যুতে কোচ চান্দিকা হাতুরুসিংহে ও বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও তো তামিমের বিরুদ্ধেই অবস্থান নিয়েছেন। ফলে, তামিমকে সরে দাঁড়াতেই হত। আর সম্ভাব্য বিকল্পও তো প্রস্তুত। ফলে, এখন কেবলই সামনে তাকানোর পালা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link