সেই জুলাই মাসে বাংলাদেশ দলের হয়ে হারারেতে টেস্ট খেলেছিলেন। এরপর থেকে একটার পর একটা ইনজুরি, ইনজুরির ফিরে আসা মিলিয়ে ক্রিকেট থেকে শতহস্ত দূরে আছেন তামিম ইকবাল খান। মাঝে নেপালে অনুষ্ঠিত এভারেস্ট প্রিমিয়ার লিগে কয়েকটা ম্যাচ খেলে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফেরার চেষ্টায় ছিলেন। তা হয়নি।
অবশেষে দীর্ঘ বিরতির পর ভালোভাবে ক্রিকেটে ফেরার ইঙ্গিত দিচ্ছেন বাংলাদেশের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যান। গতকালই নেটে অনুশীলন শুরু করেছেন। শুরুতে স্পিনারদের বল খেলে পুনর্বাসন প্রক্রিয়া চালালেও খুব দ্রুত তিনি আরও কঠিন অনুশীলন শুরু করার আশা শুনিয়েছেন। সেই সাথে ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজকে বলেছেন, বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের ওয়ানডে ভার্শন দিয়ে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরতে চান তিনি।
গত মাস ছয়েক সময় ইনজুরির সাথে লড়াই করছেন তামিম। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শেষে সেখানে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি সিরিজে আর অংশ নেননি এই ওপেনার। এর মধ্যে ইনজুরিতে পড়েন তিনি। সেখান থেকে সেরে উঠতে না পেরে কয়েকটা টি-টোয়েন্টি সিরিজ মিস করেন। এরপর পুরোপুরি ইনজুরি থেকে সেরে না ওঠায় এবং নতুনদের সুযোগ দিতে বিশ্বকাপ থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেন।
এর মধ্যে তামিম চেষ্টা করেছিলেন এভারেস্ট প্রিমিয়ার লিগে খেলে ফেরার। সেখানে ৫টা ম্যাচও খেলেছিলেন। কিন্তু নতুন এক চোট তাকে সেই ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে দেয়নি। এরপর তামিম লক্ষ্য ঠিক করেন যে, জাতীয় ক্রিকেট লিগের প্রথম শ্রেনীর অংশ দিয়েই খেলায় ফিরবেন এবং পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ খেলবেন। কিন্তু তামিমকে আরেক দফা ধাক্কা হজম করতে হয়।
নেটে ব্যাটিং শুরু করার পর অস্বস্তিতে ভুগতে শুরু করলে আবার স্ক্যান করানো হয়। দেখা যায় যে, আগের আহত বুড়ো আঙুলে নতুন করে একটা চিড় ধরেছে। এতে তামিম খুবই হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। পরে তিনি দেশের বাইরে গিয়েও পরীক্ষা নীরিক্ষা করান। চিকিৎসকরা মত দেন যে, তামিমকে আরও ৬ থেকে ৮ সপ্তাহ বিশ্রাম নিতে হবে। এই ধাক্কার ফলে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টের পাশাপাশি নিউজিল্যান্ড সফরও মিস করেন তিনি।
অবশেষে এইসব সময় পেছনে ফেলে গতকাল নেটে ব্যাটিং শুরু করেছেন তামিম। প্রায় আধা ঘন্টা স্পিনারদের বিপক্ষে ব্যাটিং করেন। এরপর থ্রো ডাউনের বিপক্ষেও একটু ব্যাট করেন তিনি। এরপর তিনি ক্রিকবাজকে বলেন যে, বিসিএলের ওয়ানডে ফরম্যাটে ফেরার ব্যাপারে তিনি আশাবাদী, ‘আমি লম্বা সমসয় পর ব্যাটিং করছি। কিছুটা ব্যাথা এখনও আছে। তবে সময়ের সাথে সাথে পুরো সেরে যাবে। আমাকে এর ভেতর দিয়েই যেতে হবে। আর কিছুদিন পর আরও আরও নিবিঢ় ট্রেনিং শুরু করবো, পেস বোলারদের বিপক্ষে ব্যাট করবো। আর ওই সময়ে আমি বুঝতে পারবো যে, আমার অবস্থা আসলে ঠিক কী। দেখা যাক, আমি বিসিএলের ওয়ানডে টুর্নামেন্টটা খেলতে পারি কি না।’