তামিম ইকবালের জন্য এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা খুবই কঠিন। তিনি নিজেও ফিরতে চান না। তবে, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সংশ্লিষ্ট একাধিক ব্যক্তিবর্গের সাথে তামিমের বৈঠক ইঙ্গিত করছে, তামিমকে ফেরানোর মঞ্চ প্রস্তুত করা হচ্ছে।
গেল মার্চের গোড়ায় তিনি বোর্ডকে সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন চান্দিকা হাতুরুসিংকে কোচ থাকলে তাঁর পক্ষে জাতীয় দলে ফেরা সম্ভব হবে না। তবে, এবার তামিম তুলনামূলক ‘সহনশীল’ আচরণ করেছেন।
বিসিবি সূত্রে জানা গেছেন দলের কোচিং স্টাফ ও জুনিয়র ক্রিকেটারদের কাছ থেকে অভিজ্ঞ ও সিনিয়র ক্রিকেটার হিসেবে যথাযথ সম্মান নাকি তামিম পান না। আর এটাই তাঁর সকল ক্ষোভের কারণ। জাতীয় দল থেকেও একারণেই নিজেকে দূরে সরিয়ে রেখেছেন।
বোর্ড মনে করে, এই সংকট কেটে গেলে আরও কিছুদিন ওয়ানডে ক্রিকেটে তামিম ইকবালের সার্ভিস পাওয়া সম্ভব। অন্তত আগামী বছরের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত।
আর ফিটনেস ইস্যু বিবেচনা করে, তামিম ইকবালের টেস্ট ক্যারিয়ারের ইতি টেনে দেওয়া যায় এখানেই। তামিম ও বিসিবি – কেউই মনে করে না – তামিমের পক্ষে আর টেস্ট আর খেলা সম্ভব।
ঈদের পর তামিম জাতীয় দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুসের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। তবে, সেই সাক্ষাতের আদ্যোপান্ত জানা যায়নি।
বিসিবির আরেক পরিচালক এনায়েত হোসেন সিরাজও তামিমের সঙ্গে কথা বলেছেন। ২২ এপ্রিল ঢাকায় ফিরবেন কোচ হাতুরুসিংহে। তখনও তাঁরও বসার কথা তামিমের। এরপর আবারও ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যানের সাথে বসবেন জিম্বাবুয়ে সিরিজের পর।
সেই বৈঠকের ফলাফল যাবে বোর্ড সভাপতি ও মাননীয় ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপনের টেবিলে। সেখান থেকে আসবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। যদিও, এর আগেও বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) শেষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানোর কথা ছিল তামিমের। সেই কথা সাবেক এই অধিনায়ক রাখেননি।
এখন এই অবস্থায় চলমান ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগকে ডেডলাইন ধরা হচ্ছে। এখন তামিম এর মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাবেন, নাকি বিসিবি নিজেদের অবস্থান চূড়ান্ত করবে – কোনো কিছুই নিশ্চিত নয়। সব মিলিয়ে তামিমকে ঘিরে ক্রিকেটমহলে এখন ঘোরতর অনিশ্চয়তা।