বরাবরই স্রোতের বিপরীতে দৌড়াতে পছন্দ করেন তাসকিন আহমেদ। অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশি বোলাররা রান বিলানোর উৎসবে মেতেছিলেন। সেই উৎসবে যোগ দেননি তাসকিন। বরং কৃপণতার পরিচয় দিয়েছেন ডান-হাতি পেসার।
চার ওভার বোলিং করেছেন তাসকিন। রান দিয়েছেন মাত্র ১৬। চার ইকোনমি রেট তাসকিনের। দিল্লীর ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে ভারতীয় ব্যাটাররা দেখিয়েছেন নিজেদের আসল রূপ। যদিও শুরুতে খানিক বিপাকে পড়েছিল ভারত। পাওয়ার প্লে-তে দারুণ বোলিং করেছিলেন তাসকিনরা।
নিজের প্রথম ওভারেই উইকেট তুলে নিয়েছিলেন তাসকিন। পিচে খানিক হোল্ড করা বলটা দেরীতে পৌঁছায় সাঞ্জু স্যামসনের কাছে। তাতে করে ক্যাচ ওঠে মিড অফে। সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা নাজমুল হোসেন শান্তর সহজ ক্যাচ তালু-বন্দী করেন।
এরপর দুর্দান্ত খেলতে থাকা রিঙ্কু সিংকেও নিজের উইকেটের পরিণত করেছেন তাসকিন। দলের অভিজ্ঞ এই বোলার অর্ধ-শতক করা রিঙ্কুকেও ফেলেছেন দোটানায়। দু’টো স্লোয়ার বলের পর, আরও একটি স্লোয়ার বাউন্সার ছোড়েন রিঙ্কুর দিকে। আপন ছন্দে ব্যাট চালানো রিঙ্কু পুল শট খেললেন। ক্যাচ জমা পড়ে লেগ সাইডে থাকা জাকের আলীর হাতে।
এই দুই উইকেটেই বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছেন তাসকিন। তাছাড়া গোটা ইনিংস জুড়েই মস্তিষ্কের ব্যবহারটা করেছেন। তাসকিনের বিপক্ষে ভারতীয় ব্যাটাররা হাত খুলে খেলার সুযোগই তেমন একটা পায়নি। বরং বলা যেতে পারে তাসকিন সেই সুযোগ দেননি।
মাত্র ১টি বাউন্ডারি হজম করেছেন টাইগার পেসার। দুর্দিনেও বাংলাদেশের জন্য একাই লড়াই চালিয়েছেন তাসকিন। যতটা সম্ভব কম রান দেওয়ার কাজটা করেছেন। ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ দু’টো উইকেট তুলে নিয়ে রানের চাকায় খানিক লাগাম টেনেছেন। নিজের কাজটা দারুণ করেছেন তাসকিন। কিন্তু তবুও দিনশেষে রান পাহাড়ে পিষ্ট বাংলাদেশ।