তাসকিন কেন ছেঁড়া জুতো পরে বোলিং করেন?

তাসকিনের বোলিংয়ের সময় চোখ আটকে গেল অন্য একটা জায়গায়। দেখা গেল, তাসকিনের পরিহিত জুতো জোড়ার বাঁ-পায়ের জুতোটার সামনের অংশটা ছেঁড়া।

ধর্মশালায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করেছে বাংলাদেশ। টসে জিতে শুরুতে অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের বোলিং করার সিদ্ধান্ত। তাই বোলিং প্রান্তে দেখা মিলল তাসকিন আহমেদের। আগের বিশ্বকাপে ইনজুরির কারণে ছিটকে যাওয়া এ পেসারের বল হাতেই শুরু হলো বাংলাদেশের এবারের বিশ্বকাপ যাত্রা। তবে তাসকিনের বোলিংয়ের সময় চোখ আটকে গেল অন্য একটা জায়গায়। 

দেখা গেল, তাসকিনের পরিহিত জুতো জোড়ার বাঁ-পায়ের জুতোটার সামনের অংশটা ছেঁড়া। ছেঁড়া জুতো পরে বল করার কৌশলটা অবশ্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নতুন কিছু নয়। পেসারদের সুবিধার্থেই এই পন্থা অবলম্বন করেন অনেকে। 

মূলত, বোলিং করার সময় যখন পেসাররা ল্যান্ডিং করেন তখন পা স্লাইড করে। এতে ডান-হাতি পেসারদের ক্ষেত্রে বাঁ-পায়ের বুড়ো আঙুলে চোট লাগার প্রবল সম্ভাবনা থাকে। অনেক সময় নখও ভেঙ্গে যেতে পারে। এমন ইনজুরি শঙ্কা এড়ানোর লক্ষ্যেই মূলত অনেকে ছেঁড়া জুতো ব্যবহার করে থাকেন। অনেক পেসারদের আবার বাঁ-পায়ের বুড়ো আঙুলে টেপ পেঁচিয়ে রাখতেও দেখা যায়।  

আফগানিস্তানের বিপক্ষে বল করার সময় ল্যান্ডিংয়ে বাঁ-পায়ে যেন কোনো চাপ অনুভূত না হয়, সে জন্যই তাসকিন ছেঁড়া জুতো পরেছেন। ছেঁড়া জুতো পরার ফলে বোলিংয়ে ল্যান্ডিংয়ের সময় পা স্লাইড করলেও আঙুলে চোট লাগার সম্ভাবনা নেই। পায়ে চাপ পড়লেও আঙুল কোথাও ধাক্কা খায় না। সে কারণেই স্বস্তি নিয়ে বোলিং করতে পারেন তাসকিন। 

বিশ্ব ক্রিকেটে অবশ্য এমন ঘটনা সচরাচরই দেখা যায়। একটা সময় ওয়াকার ইউনুস, ওয়াসিম আকরামরা এই পন্থা অবলম্বন করতেন। এখনকার সময়ে এসে মোহাম্মদ শামি, পাকিস্তানের হারিস রউফদেরও এমন ছেঁড়া জুতো পরে খেলতে দেখা যায়। 

এ দিকে ধর্মশালায় নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানকে মাত্র ১৫৬ রানেই আটকে দিয়েছে বাংলাদেশ। দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে মোহাম্মদ নবীকে ফিরিয়েছেন তাসকিন। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ টি করে উইকেট নিয়েছেন সাকিব আর মিরাজ। শুরুতে ছন্দ খুঁজে ফিরলেও শেষ ভাবে দারুণ ভাবে ম্যাচে ফিরেছেন তাসকিন-সহ দলের বাকি পেসাররা।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...