আজ বাংলাদেশ দলের অনুশীলনে হঠাৎ করেই হাজির হয়ে যান মাশরাফি বিন মর্তুজা। মাঠে নেমেই বোলিংয়ের বিভিন্ন বিষয়ে তাসকিন আহমেদকে পরামর্শ দিচ্ছিলেন জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক। অনুশীলন শেষে তাসকিন জানিয়েছেন স্লোয়ার ডেলিভারিতে উন্নতি করার জন্যই মাশরাফিকে মাঠে আসতে অনুরোধ করেছিলেন তিনি।
বল হাতে গতির ঝড় তোলার জন্যই পরিচিত তাসকিন আহমেদ। কিন্তু গতির সাথে স্লোয়ার এবং কাটারও শিখতে চান এই পেসার। এই ডেলিভারি শেখাতেই বেশ কিছু দিন ধরে মাশরাফিকে মাঠে আসতে বলছিলেন তাসকিন। আজ (৩০ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে তাসকিন জানিয়েছেন মাশরাফি আজ তাকে স্লোয়ার বল করার গ্রিপ দেখিয়ে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘অনেক দিন ধরেই ভাইকে বলতেছিলাম একটা দিন সময় দেওয়ার জন্য। কারণ আমার পেস সুইং সব কিছুতেই উন্নতি হচ্ছে। কিন্তু আমি স্লোয়ারের দিক থেকে একটু পিছানো। স্লোয়ারে উন্নতি করতে চাই, এজন্য ভাইকে সব সময় বলতাম। ভাই এসে কিছু গ্রিপ দেখাইলো, বললো একেক জনের অ্যাকশন একেক রকম হয়। এগুলো একটু চেষ্টা করে দেখতে পারো। আশা করি এগুলো নিয়ে কাজ করলে ভবিষৎয়ে ভালো হবে।’
আজকের অনুশীলনে তাসকিনকে একটা গ্রিপই দেখিয়েছেন মাশরাফি। এটা নিয়ন্ত্রণে আসলে অন্য গুলো নিয়ে কাজ করার কথা বলেছেন মাশরাফি। তাসকিন জানিয়েছেন মাশরাফির দেখানো গ্রিপটা তাঁর আগের গ্রিপের থেকে আলাদা হলেও এটা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলে বোলিং করতে অনেক সুবিধা হবে তাঁর।
তাসকিন বলেন, ‘দুই তিনটা গ্রুিপের কথা ভাই বলছিল, এক সাথে এতো কিছু শেখা যাবে না হঠাৎ করে। আপাদত তুমি এটা নিয়ে কাজ করো একটু, যেহেতু সামনেই অনেক খেলা। ওটাই দেখালো, বললো যদি ভালো লাগে এটাই কন্টিনিউ করতে। বললো এটা যখন নিয়ন্ত্রণে আসবে তখন আরেকটা। আসলে ব্যস্ততার মাঝে যে মাশরাফি ভাই আমাকে সময় দিয়েছে এটাই তো অনেক। অনেক দিন ধরেই বলছিলাম। যেহেতু অন্যদের থেকে স্লোয়ারে পিছিয়ে তাই একটু সময় দিলেন। যে গ্রিপটা দেখিয়েছে সেটা আমার আগের গ্রিপের থেকে একটু ভিন্ন। জিনিসটা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলে আমার জন্য সহায়ক হবে।’
তবে অন্য কিছু শিখলেও গতির সাথে আপোষ করতে নারাজ তাসকিন আহমেদ। তিনি মনে করেন গতি কমে গেলেই দল থেকে বাদ পড়বেন তিনি। তাসকিন জানিয়েছেন বাড়তি চাপ না নিয়ে তিনি শুধু গতির পাশাপাশি যেন স্লোয়ার বা কাটার দিতে পারেন এটা নিয়েই কাজ করছেন।
তিনি বলেন, ‘পেসের সাথে তো আমার কোন আপোষ নেই। কারণ পেস কমে গেলে তো আমি দল থেকে বাদ পড়ে যাবো। আমি তো মুস্তাফিজের মত কাটার মাস্টার হতে পারবো না। আমার পেসের সাথে যেন কাটারে উন্নতি করতে পারি এটাই।
আসলে বাড়তি চাপের কিছুই নেই। আমি অফ কাটার আগেও করতাম। কিন্তু আমারটা সোজা যেত বা একটু কম ঘুড়তো।’