অভাগা তাসকিন তবুও বাংলাদেশকে বাঁচাল

চেন্নাই টেস্টের দ্বিতীয় দিনের সকালটা তাসকিন আহমেদের। প্রথম দিনে দুর্ভাগা তাসকিন থেকেছিলেন উইকেট শূন্য। কিন্তু দ্বিতীয় দিনের প্রথম ঘন্টায় তার কল্যাণেই গুটিয়ে দেওয়া গেছে ভারতকে। ৪০০ রানের একটা মানসিক পীড়া থেকে অন্তত মুক্তি পেয়েছে বাংলাদেশ।

চেন্নাই টেস্টের দ্বিতীয় দিনের সকালটা তাসকিন আহমেদের। প্রথম দিনে দুর্ভাগা তাসকিন থেকেছিলেন উইকেট শূন্য। কিন্তু দ্বিতীয় দিনের প্রথম ঘন্টায় তার কল্যাণেই গুটিয়ে দেওয়া গেছে ভারতকে। ৪০০ রানের একটা মানসিক পীড়া থেকে অন্তত মুক্তি পেয়েছে বাংলাদেশ।

তাসকিন আহমেদের বলে ক্যাচ মিস হওয়া যেন অবধারিত। হাজার চেষ্টা করে ব্যাটারকে ফাঁদে ফেলবেন তাসকিন, কিন্তু সতীর্থরা ক্যাচ তালু-বন্দী করতে হবে ব্যর্থ। এমন ঘটনা তাসকিনের ক্যারিয়ারের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। প্রথম দিনও তাসকিনের বলে ক্যাচ ছুটেছে। দ্বিতীয় দিনেও সাকিব আল হাসান ক্যাচ ফেলেছেন তাসকিনের বলে।

এ কারণেও মাঝে মধ্যে উইকেট সংখ্যা তাসকিনের দেওয়া প্রচেষ্টার প্রতিফলন ঘটায় না। তবুও গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট তুলে নেওয়ার ক্ষেত্রে তাসকিনের জুড়ি মেলা ভার। ১৪৪ রানে ভারতের ৬টি উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। যার সিংহভাগ কৃতিত্ব হাসান মাহমুদের। কিন্তু এরপর দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়ায় ভারত।

রবীন্দ্র জাদেজা ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন বেঁধে ফেলেন জোট। তাদের যুগলবন্দীতে বিপর্যয় কাটিয়ে উঠল ভারত। দুইজনে মিলে স্কোরবোর্ডে জমা করেন ১৯৯ রান। তাতে করে বড় সংগ্রহের দিকে এগিয়েছে টিম ইন্ডিয়া। দ্বিতীয় দিনের সকাল বেলায় এই জুটিতে আঘাত হানা ছিল ভীষণ প্রয়োজন। সেই প্রয়োজনের মুহূর্তে বাংলাদেশের রক্ষাকর্তা হয়ে হাত বাড়ালেন তাসকিন।

তুলে নেন রবীন্দ্র জাদেজার উইকেট। অফ স্ট্যাম্পের বাইরে দিয়ে বেড়িয়ে যাওয়া বলে ব্যাট এগিয়ে দিলেন জাদেজ। ব্যাটের সামান্য স্পর্শ পেয়ে বল জমা হয় লিটনের হাতে। নামের পাশে কোন রান যুক্ত করার আগেই আউট হন জাদেজা। ৮৬ রানের অসাধারণ একটা ইনিংসে সমাপ্তি ঘটে। শতক বঞ্চিত হওয়ার দুঃখ নিয়ে মাঠ ছাড়েন জাদেজা।

এরপর অবশ্য আক্রমণ চালিয়ে দ্রুত কিছু রান তুলে নিতে চায় অশ্বিন ও ভারতের টেল এন্ডার। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েছেন তাসকিন। প্রলোভন দেখিয়েছেন বড় শট খেলতে দেওয়ার। তেমন প্রলোভনের ফাঁদেও পড়েছিলেন অশ্বিন। মিড অফ অঞ্চলের আশেপাশে ক্যাচ তুলে দেন অশ্বিন। নাজমুল হোসেন শান্ত সেই ক্যাচ ধরতে অবশ্য ভুল করেননি।

প্রায় একই কায়দায় আউট হয়েছেন আকাশ দ্বীপ। তিনিও তাসকিনের বলে শান্তকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। তাতে করে ইনিংস শেষে তিন উইকেট জমা হয় তাসকিনের নামের পাশে। কিন্তু উইকেটের সংখ্যা থেকেও বড় বিষয়, সঠিক সময়ে আঘাত হানা। সেই কাজটা করতে পেরেছেন তাসকিন। জাদেজা ও অশ্বিনের যুগলবন্দী আরও খানিকটা লম্বা হলে, বাংলাদেশকে পিষ্ঠ হতে হতো রান পাহাড়ের চাপে।

Share via
Copy link