দুই ছক্কায় ভেসে যাক সব অন্যায়

স্যোশাল মিডিয়ার বিদ্বেষী করচা, ব্যক্তিগত জীবনের হাজারো ঝড় - সব কিছুকেই যেন বাইশ গজের লড়াইয়ে এক নিমিষে উড়িয়ে দিতে জানেন হার্দিক পান্ডিয়া। তিনি জানেন, শক্ত উইকেটে কিভাবে আরও শক্ত হয়ে লড়ে যেতে হয়, রান করতে হয়।

স্যোশাল মিডিয়ার বিদ্বেষী করচা, ব্যক্তিগত জীবনের হাজারো ঝড় – সব কিছুকেই যেন বাইশ গজের লড়াইয়ে এক নিমিষে উড়িয়ে দিতে জানেন হার্দিক পান্ডিয়া। তিনি জানেন, শক্ত উইকেটে কিভাবে আরও শক্ত হয়ে লড়ে যেতে হয়, রান করতে হয়।

বড় কোনো ইনিংস তিনি খেলেননি। কিন্তু, এমন নিচু হতে থাকা উইকেটে সর্বোচ্চ যেটা করা সম্ভব সেটা করেই মাঠ ছেড়েছেন পান্ডিয়া। মাত্র ১৩ টা বল ক্রিজে ছিলেন ভারতীয় এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার। সেখানে ২৩ রান করেছেন তিনি দু’টি ওভার বাউন্ডারি আর একটা বাউন্ডারির সুবাদে। গায়ানার উইকেটে এই রানটা খুবই জরুরী ছিল ভারতের জন্য।

গোটা বিশ্বকাপজুড়েই এমন ছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। প্রচণ্ড কার্যকর। যখন যেভাবে প্রয়োজন – সেই সময়ের চাহিদা মিটিয়ে বোলিং করেছেন, ব্যাট চালিয়েছেন। দলের যখন যেখানে যেভাবে প্রয়োজন সেভাবে তিনি সার্ভিস দিয়ে গেছেন।

এই সার্ভিসটা দিতে জানেন বলেই ভারতীয় দলে তিনি বিকল্পহীন এক চরিত্র। যে রোহিত শর্মাকে সরিয়ে তিনি মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়কত্ব পেয়েছেন, সেই রোহিতের তুরুপের অন্যতম সেরা তাস এই হার্দিক পান্ডিয়া।

অথচ, বিশ্বকাপের আগে জাতীয় দলে তাঁর জায়গা নিয়ে ভয়াবহ রকমের প্রশ্ন উঠেছিল। তাঁর চেয়ে রিঙ্কু সিং ভাল ফিনিশার – এমন কথা বলার লোকের অভাব ছিল না। হ্যাঁ, ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) পান্ডিয়ার পারফরম্যান্স এমনই ছিল।

সেই সব সমালোচনার জবাব দিতে পেরেছেন হার্দিক। অফ ফর্ম আর ব্যক্তিগত সাংসারিক ঝামেলার ঊর্ধ্বে গিয়ে তিনি বাইশ গজে খুঁজে পেয়েছেন নিজের মনের শান্তি। আর সেই শান্তিতেই ভারতের আস্থা বেড়েছে তাঁর উপর। ফিরে আসার এর চেয়ে ভাল উপায় আর কোনো ভাবেই হতে পারে না।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...