এরকম একটা ইনিংস আসলে আক্ষেপটাই বাড়ায়। সাব্বির রহমান আসলে কত বড় পাওয়ার হিটার হতে পারতেন – সেটা নিজেও কতটা বুঝেছেন সেটাতে সন্দেহ আছে। কি নিখুঁত হিটিং! বল কি দারুণ ভাবে ব্যাটে বলে হচ্ছে, বোলাররা কোথায় বল ফেলবেন – বুঝে উঠছেন না। এক ঝলক সাব্বির রহমান তো একেই বলে।
পুরনো সেই আগ্রাসনটা ফিরে এসেছে। সাব্বির রহমানের ব্যাট হাতে চিরচেনা সোয়াগ জেগে উঠেছে। হারানো দিনের সেই গান আবারও গেয়ে উঠলেন তিনি, ঠিক সেই সময় যখন আবারও শৃঙ্খলাজনিত কারণে খবরের শিরোনামে ছিলেন সাব্বির।
এতদিন কোথায় ছিলেন তিনি? ব্যাট হাতে রান ছিল না, দলে জায়গা ছিল না। মাঠের চেয়ে মাঠের বাইরেই তিনি খবরের শিরোনাম হয়েছেন বারবার। এবার তো খোদ ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচ খালেদ মাহমুদ সুজনই তাঁর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ তোলেন।
সেজন্য তিনি একাদশেও ছিলেন না বেশ কয়েকটা ম্যাচে। জায়গা পেয়ে শুরুটাতে তেমন একটা ছন্দেও ছিলেন না। চিটাগং কিংসের বিপক্ষেও তাঁকে ঘিরে আশা ছিল সামান্যই। কিন্তু, সাব্বির নেমেছিলেন নতুন এক জীবনীশক্তি নিয়ে। তাই তো একের পর এক ছক্কা গিয়ে পড়লে সিলেটের সবুজ গ্যালারিতে।
ম্যাচটা নিতান্ত নিরুত্তাপই ছিল। দর্শকদেরও একঘেয়েমি পেয়ে বসেছিল নিশ্চয়ই। সাব্বির এসে যেন বললেন, ‘ওয়েট! আমি এসে গেছি।’ এরপর যা করলেন তার পুরোটাই ইতিহাস।
সাব্বির রহমান আসলে সিরিয়াস লেভেলের ফ্যান ফেবারিট। একেকটা ছক্কা হাকালেন, চার মারলেন – গ্যালারিতে গর্জন উঠল। অপর প্রান্তে তানজিদ হাসান তামিম ছিলেন, তারপরও সাব্বির স্ট্রাইকে আসলেই গর্জে উঠছিল সিলেটের সবুজ গ্যালারি। হাফ সেঞ্চুরি করে সাব্বির নিজেও সেই উত্তাল গর্জনের জবাব দিলেন ব্যাট তুলে। এসব দিনে ভাগ্যও সহায় হয়। এই যেমন ৬৬ রানের মাথায় ক্যাচ ছেড়ে দিলেন শরিফুল ইসলাম। পরে একটা হাফ চান্সও মিস হয়।
একটা ইনিংস দিয়ে অবশ্য ধারাবাহিকতার প্রমাণ হয় না। একটা ইনিংস দিয়েই হয়তো তিনি জাতীয় দলে ফিরে আসবেন না। কিন্তু, একবার মাইডাস টাচটা ফিরে পেলে কি হতে পারে! ইউ নেভার নো!