বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করতে চলেছেন নাজমুল হাসান পাপন। প্রায় এক যুগ নিজের অবস্থান আকড়ে পড়ে থাকার পর দেশের সাম্প্রতিক পালাবদলের মঞ্চে এসে দ্রুতই নিজের আনুষ্ঠানিক বিদায় ঘোষণা করবেন তিনি।
২০১২ সালের ১৭ অক্টোবর তিনি বিসিবি সভাপতির পদে এসেছিলেন। এরপর আরও তিনবার একই পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন। চতুর্থবারের মেয়াদে তিনি দায়িত্ব পালন করছিলেন। তবে, এখানেই থামতে হচ্ছে তাকে। বিসিবি সভাপতির পদটা ছেড়ে দিচ্ছেন তিনি।
বোর্ডের সূত্রের খবর, সাবেক ক্রীড়ামন্ত্রী নিজের পদ দেওয়ার ইচ্ছা অনানুষ্ঠানিক ভাবে জানিয়েছেন। একই সাথে বোর্ডের প্রয়োজনে যেকোনো ধরণের সহায়তা করতেও তিনি রাজি আছেন।
গেল পাঁচ আগস্ট ছাত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। নাজমুল হাসান পাপন সাবেক সরকারের ক্রীড়ামন্ত্রী এবং সংসদ সদস্য। সরকার পতনের পর থেকে তিনি আত্মগোপনে আছেন।
কিছু সূত্রের দাবি তিনি বর্তমানে নিজের স্ত্রীর সাথে লন্ডনে অবস্থা করছেন। তাঁর সঙ্গে বিসিবির কিছু প্রভাবশালী কর্তাও সেখানে আছেন বলে শোনা যাচ্ছে। ফলে, বোর্ডে কার্যত কোনো সভাপতি এখন নেই।
সামনেই নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, যেটা আয়োজিত হওয়ার কথা বাংলাদেশেই। এটাই বিসিবির সাংগঠনিক দক্ষতা দেখানোর আদর্শ সময়। এই সময় সভাপতি ছাড়া বোর্ড চালানো মুশকিল। শুধু পাপনই নন, নাইমুর রহমান দূর্জয়-সহ বোর্ডের প্রভাবশালী কয়েকজন পরিচালকও এই মুহূর্তে ‘অনুপস্থিত’।
তবে, আইসিসির নীতি বলে, এখানে সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ চলবে না। সরকার বিসিবিতে নিজেদের এখতিয়ারের বাইরে কিছু করলেই নেমে আসবে নিষেধাজ্ঞার খড়গ। তবে, সভাপতি নিজে থেকে পদত্যাগের সুযোগ পাবেন। নাজমুল হাসান পদ ছেড়ে দিলে কোনো নিয়ম ভঙ্গ হবে না। চলমান পরিস্থিতিতে এটাই সবচেয়ে আদর্শ সমাধান!