প্রেমের খুব গভীর ম্যাপে যেমন লুকিয়ে থাকে ভালোবাসা

১৬১ টেস্টে ৩৩ টা সেঞ্চুরি, পাঁচটা ডাবল সেঞ্চুরি। ৪৫.৩৫ গড়ে ১২,৪৭২ রান। ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ আর সব মিলিয়ে টেস্ট ক্রিকেটের পঞ্চম সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। শুধু তাই নয়, টেস্টে ‘ওপেনার’ এবং ‘বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান’ এই দুই ক্যাটাগরিতে সবচেয়ে বেশি রানের মালিকও তিনিই। যার রয়েছে অভিষেক ও শেষ টেস্টে সেঞ্চুরি হাঁকানোর ‘বিরল’ কীর্তি। বলছিলাম ইংল্যান্ডের ইতিহাসে সফলতম টেস্ট ওপেনার ও সাবেক অধিনায়ক অ্যালিস্টেয়ার কুকের কথা।

ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন ২০০৬ সালে। ২০০৬ থেকে ২০১৮ — দীর্ঘ এক যুগ ধরে কুক ছিলেন ইংরেজ টেস্ট দলের অন্যতম প্রধান ব্যাটিং স্তম্ভ। ওপেনিংয়ে সবচেয়ে বড় নির্ভরতার নাম। অভিষেকের পর থেকে প্রায় ছয় বছর তিনি ইনিংস উদ্বোধন করেছেন সাবেক বাঁ-হাতি অ্যান্ড্রু স্ট্রাউসের সাথে। ১১৭ বার ইনিংস উদ্বোধন করতে নেমে এই জুটির মিলিত সংগ্রহ ৪০.৯৬ গড়ে ৪৭১১ রান। শতরানের জুটি আছে ১২টি। স্ট্রাউস অবসরে যাওয়ার আগ পর্যন্ত তাই ইংল্যান্ডকে টেস্ট ওপেনার নিয়ে একদমই ভাবতে হয়নি।

তবে ঝামেলার সূত্রপাত ২০১২ সালে অ্যান্ড্রু স্ট্রাউসের বিদায়ের পর। একটা নির্ভরযোগ্য ওপেনিং পেয়ার খুঁজে পেতে কম ঝক্কি পোহাতে হয়নি ইংল্যান্ডকে। কম্পটন, রবসন, লিথ, কারবেরি, হেলস, ডাকেট, হামিদ, জেনিংস, স্টোনম্যানদের ব্যর্থতার মিছিলে অবিচল ছিলেন কেবল কুক।

টেস্ট ইতিহাসের ‘প্রথম’ এবং ‘একমাত্র’ ওপেনার হিসেবে ২৫০ বা তার বেশি ইনিংসে ওপেন করার কীর্তিটি কুকের দখলে। টেস্ট ক্রিকেটে ওপেনার হিসেবে সবচেয়ে বেশি রানের মালিকও অ্যালিস্টেয়ার কুক। সর্বমোট ২৭৮ বার ইনিংস উদ্বোধন করেছেন তিনি। ৪৪.৮৭ গড়ে করেছেন ১১,৮৪৫ রান। হাঁকিয়েছেন ৩১টি সেঞ্চুরি এবং ৫৫ টি হাফ সেঞ্চুরি।

দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন ভারতের সুনীল গাভাস্কার। ২০৩ ইনিংসে ওপেন করতে নেমে তিনি করেছেন ৯৬০৭ রান, ৫০.৩০ গড়ে।

কুক ছিলেন একজন ধ্রুপদী ঘরানার টেস্ট ওপেনার। একপ্রান্ত আগলে রেখে ধীরেসুস্থে ইনিংস বিল্ডআপ করতে পছন্দ করতেন। তাঁর ব্যাটিং স্টাইল যে খুব আকর্ষণীয় কিংবা দৃষ্টিসুখকর ছিল তা বলা যাবে না। তিনি মোটেই কোন শিল্পী প্রজাতির ব্যাটসম্যান ছিলেন না।

লারা, সৌরভ কিংবা সাঙ্গাকারার ব্যাটিংয়ে যে সহজাত ‘লেফট হ্যান্ডার্স এলিগেন্স’ ব্যাপারটা পাওয়া যেত সেটা কুকের মধ্যে অনুপস্থিত ছিল। বাঁ-হাতি হয়েও কাভার ড্রাইভে খুব একটা স্বচ্ছন্দ ছিলেন না। কুকের হাতে স্ট্রোক ছিল সীমিত; কাট, পুল আর ফ্লিক এই তিনটা শটেই করেছেন বেশিরভাগ রান।

আসলে সৌন্দর্য কিংবা নান্দনিকতা নয়, কুককে সবাই মনে রাখবে তাঁর লড়াকু ব্যাটসম্যানশিপের কারণে, তাঁর নিবিড় মনোসংযোগ, মানসিক দৃঢ়তা আর জমাট রক্ষণাত্মক টেকনিকের কারণে।

ধারাভাষ্যকার ও সাবেক ইংলিশ নাসের হুসেইনের ভাষায়, ‘What set Cook apart wasn’t his style or his technique, but his almost-limitless self-belief, in his method and in his ability to make it fit to an ever-changing modern world.’

কুক শুধুমাত্র একজন অসাধারণ ব্যাটসম্যানই নন; একজন অসাধারণ স্পোর্টসম্যান, একজন ট্রু জেন্টলম্যান, একজন সফল কাপ্তান এবং একজন চমৎকার স্লিপ ফিল্ডারও বটে। ১৬১ ম্যাচে তাঁর রয়েছে ১৭৫টি ক্যাচ যা টেস্ট ইতিহাসে ষষ্ঠ সর্বোচ্চ।

খেলোয়াড় হিসেবে সর্বাধিক ৫৭টি টেস্ট জিতেছেন অ্যালিস্টেয়ার কুক যা ইংলিশ ক্রিকেটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ। ক্যারিয়ারে মোট ৭টি অ্যাশেজে খেলেছেন; এর মধ্যে জিতেছেন চারটিতেই। অধিনায়ক হিসেবে জিতেছেন ২টি অ্যাশেজ।

কুকের নেতৃত্বে ৫৯টি টেস্ট খেলে ২৪টিতে জিতেছে ইংল্যান্ড। একমাত্র মাইকেল ভনের নেতৃত্বেই এর চাইতে বেশি (২৬টি) ম্যাচ জিতেছে দলটি। তবুও কুককে অধিনায়ক হিসেবে ঠিক ‘দুর্দান্ত’ বলা যাবে না। টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে ২২টি হারও লেখা আছে কুকের নামের পাশে।

কুকের ক্যাপ্টেন্সি সম্পর্কে উইজডেন বলছে, ‘Cook’s leadership was, in many ways, like his record-breaking batting: unyielding, determined and deliberate, but lacking the spark of tactical genius to win him ultimate approval.’

২০০৬ সালের মার্চে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক। সিরিজের প্রথম দুই টেস্ট খেললেও পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হয়ে তৃতীয় টেস্টটি খেলতে পারেন নি। এরপর থেকে টানা খেলেছেন, মিস করেন নি একটা ম্যাচও। গড়েছেন টানা ১৫৯ টেস্টে অংশগ্রহণের বিশ্বরেকর্ড!

নাগপুরে অভিষেক টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৬০ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসেই পেয়ে যান কাঙ্খিত তিন অঙ্কের (১০৪) দেখা। ইতিহাসের ৫ম ইংলিশ ব্যাটসম্যান হিসেবে গড়েন অভিষেকের দু’ইনিংসে ফিফটি এবং সেঞ্চুরি হাঁকানোর কীর্তি।

২০০৭ সালের মে মাসে টেস্ট ইতিহাসের মাত্র ‘দ্বিতীয়’ ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেকের প্রথম বছরেই ১০০০ রানের মাইলফলক অতিক্রম করেন কুক। এর আগের জন হলেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক মার্ক টেলর।

২০০৭ সালের আগস্টে সাউদাম্পটনের রোজবোলে ভারতের বিপক্ষে হাঁকান ক্যারিয়ারের প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরি (১০২)। একই বছর ডিসেম্বরে ‘প্রথম’ ইংলিশ ব্যাটসম্যান হিসেবে গড়েন ২৩ বছর পেরোনোর আগেই সাতটি টেস্ট সেঞ্চুরি হাঁকানোর কীর্তি।

২০০৯ সালে বাংলাদেশ সফরের জন্য ‘ভারপ্রাপ্ত’ অধিনায়ক মনোনীত হন অ্যালিস্টেয়ার কুক। বাংলাদেশের বিপক্ষে সেবার টেস্ট (২-০) এবং ওডিয়াই (৩-০) দুটো সিরিজই হেসেখেলে জিতেছিল ইংল্যান্ড। টেস্ট সিরিজে কুকের অবদান ছিল দুই সেঞ্চুরিসহ ৩৪২ রান। আর তিন ওয়ানডে খেলে করেছিলেন ৫২.০০ গড়ে ১৫৬ রান।

২০১০-১১ মৌসুমে দীর্ঘ ২৪ বছর পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অ্যাশেজ জয়ের (৩-১) গৌরব অর্জন করে ইংল্যান্ড। ব্যাট হাতে ৩ সেঞ্চুরি আর ২ ফিফটিতে ৭৬৬ রান করে যে জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছিলেন কুক! ব্যাটিং গড় ১২৭.৬৬! ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির (২৩৫*) দেখাও পেয়েছিলেন ওই সিরিজেই। যথারীতি তাঁর মাথায় উঠেছিল সিরিজ সেরার মুকুট।

উল্লেখ্য, ২০১০-১১ অ্যাশেজে কুকের ক্রিজে অতিবাহিত সময়ের পরিমাণ ছিল ২১৭১ মিনিট অর্থাৎ ৩৬ ঘন্টা ১১ মিনিট! যা এক সিরিজে মিনিটের হিসেবে সবচেয়ে বেশি সময় ক্রিজে অবস্থানের বিশ্ব রেকর্ড।

২০১১ সালে এজবাস্টনে ভারতের বিপক্ষে উপহার দেন টেস্টে নিজের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস। ‘ট্রিপল সেঞ্চুরি’ থেকে মাত্র ৬ রান (২৯৪) দূরে থাকতে ইশান্ত শর্মার একটি আপাত নিরীহদর্শন বলে পয়েন্টে ক্যাচ তুলে দেন সুরেশ রায়নার হাতে ৷

২০১২ সালে দুবাইতে আয়োজিত ওয়ানডে সিরিজে পাকিস্তানকে ৪-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করে ইংল্যান্ড। সবাইকে অবাক করে দিয়ে দুই সেঞ্চুরি ও এক হাফ সেঞ্চুরিতে ৩২৩ রান করে সিরিজ সেরা হন ‘টেস্ট স্পেশালিষ্ট’ অ্যালিস্টেয়ার কুক!

২০১২ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বরে ‘ঐতিহাসিক’ ভারত সফরে অধিনায়ক হিসেবে পাকাপোক্তভাবে এন্ড্রু স্ট্রাউসের স্থলাভিষিক্ত হন কুক। কুকের নেতৃত্বেই দীর্ঘ ২৭ বছর পর ভারতের মাটিতে টেস্ট সিরিজ জয়ের কীর্তি গড়ে ইংল্যান্ড। ৩ সেঞ্চুরিতে ৮০.২৯ গড়ে ৫৬২ রান করে ব্যাট হাতেও অসামান্য অবদান রাখেন ‘ক্যাপ্টেন কুক’! টেস্ট ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মত জিতে নেন সিরিজ সেরার পুরস্কার।

ওই সিরিজেই ইংল্যান্ডের পক্ষে টেস্টে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির (২৩) রেকর্ড গড়েন অ্যালিস্টেয়ার কুক। কলকাতার ইডেন গার্ডেনে ১৯০ রানের ইনিংস খেলার পথে তিনি ভেঙে দেন ওয়ালি হ্যামন্ড, কলিন কাউড্রে, জিওফ্রে বয়কট এবং কেভিন পিটারসেনের ২২ সেঞ্চুরির রেকর্ড।

উল্লেখ্য, ডগলাস জার্ডিন (১৯৩৩-৩৪ সালে ২-০), টনি গ্রেগ (১৯৭৬-৭৭ সালে ৩-১) ও ডেভিড গাওয়ারের (১৯৮৪-৮৫ সালে ২-১) পর ভারতের মাটিতে টেস্ট সিরিজ জয়ী চতুর্থ ইংরেজ অধিনায়ক হলেন অ্যালিস্টার কুক (২০১২-১৩ সালে ২-১)।

টেস্ট ইতিহাসের ‘একমাত্র’ অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম পাঁচ টেস্টের সবকটিতেই সেঞ্চুরি হাঁকানোর বিরল রেকর্ডের অধিকারী হলেন অ্যালিস্টেয়ার কুক। পাঁচ টেস্টের ভেন্যু ছিল যথাক্রমে চট্টগ্রাম, ঢাকা, আহমেদাবাদ, মুম্বাই ও কলকাতা।

২০১৫ সালের মে মাসে টেস্টে ইংল্যান্ডের পক্ষে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের রেকর্ডটাও নিজের করে নেন অ্যালিস্টেয়ার কুক। এর আগের রেকর্ডটি ছিল গ্রাহাম গুচের ৮৯০১ রান।

একই বছর অক্টোবরে আবুধাবিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে উপহার দেন ৫২৮ বলে ২৬৩ রানের আরো একটি ‘ম্যারাথন’ ইনিংস। যেটি ছিল সময়ের হিসেবে ইংল্যান্ডের পক্ষে দীর্ঘতম টেস্ট ইনিংস (৮৩৬ মিনিট; টেস্ট ইতিহাসে তৃতীয় দীর্ঘতম)।

২০১৬ সালের অক্টোবরে ইংল্যান্ডের পক্ষে সর্বাধিক টেস্ট ম্যাচ খেলার রেকর্ড গড়েন অ্যালিস্টেয়ার কুক। এর মাসখানেক পরই গড়েন ‘অধিনায়ক’ হিসেবে সর্বোচ্চ টেস্ট খেলার ‘ইংলিশ’ রেকর্ড। এর আগের রেকর্ডটি ছিল মাইক আথারটনের ৫৪ টেস্ট। পাশাপাশি অধিনায়ক হিসেবে সর্বোচ্চ টেস্ট সেঞ্চুরির ইংলিশ রেকর্ডটিও নিজের করে নেন তিনি। ভেঙে দেন গ্রাহাম গুচের ১১ সেঞ্চুরির পুরনো রেকর্ড।

২০১৭ সালের ডিসেম্বরে ইতিহাসের ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টে ১২,০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন অ্যালিস্টার কুক। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মেলবোর্নের ‘বক্সিং ডে’ টেস্টে ইনিংসের আদ্যোপান্ত ব্যাট করে অপরাজিত থাকেন ২৪৪ রানে ৷ টেস্ট ইতিহাসে ব্যাট ‘ক্যারি’ করেছেন এমন ইনিংসগুলোর মাঝে এটাই সর্বোচ্চ ৷ এর আগের রেকর্ডটি ছিল নিউজিল্যান্ডও গ্লেন টার্নারের ২২৩, উইন্ডিজের বিপক্ষে ১৯৭২ সালে ৷

উল্লেখ্য, টেস্টে সবচেয়ে কম বয়সে ছয় হাজার, সাত হাজার, আট হাজার, নয় হাজার, ১০ হাজার, ১১ হাজার এবং ১২ হাজার রানের মাইলফলক অর্জনকারী ব্যাটসম্যান হলেন অ্যালিস্টার কুক।

২০১৮ সালের জুনে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক অ্যালান বোর্ডারের টানা ১৫৩ টেস্ট খেলার রেকর্ডটি ভেঙে দিয়ে নতুন রেকর্ড গড়েন কুক।

২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে টেস্ট ইতিহাসের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের তালিকায় পাঁচ নম্বরে উঠে আসেন কুক। বর্তমানে তাঁর ওপরে আছেন শুধুমাত্র শচীন টেন্ডুলকার, রিকি পন্টিং, জ্যাক ক্যালিস এবং রাহুল দ্রাবিড়।

ভারতের বিপক্ষে শুরু, আর সেই ভারতের বিপক্ষেই ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট খেলেন কুক। অভিষেকের মত বিদায়ী টেস্টেও দুই ইনিংসে হাঁকান সেঞ্চুরি ও ফিফটি!

প্রায় এক যুগ আগের স্মৃতিটাই যেন আবার ফিরিয়ে আনেন তিনি। ওভাল টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৭১ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে খেলেন ১৪৭ রানের অনবদ্য এক ইনিংস। বিদায়বেলার এমন গৌরবময় চিত্রনাট্য হয়ত বিধাতা নিজের হাতেই লিখে রেখেছিলেন।

এরই সাথে ক্যারিয়ারের প্রথম ও শেষ টেস্টে সেঞ্চুরির এক বিরল রেকর্ড বুকে নাম উঠে যায় কুকের। ১৪২ বছরের টেস্ট ইতিহাসে কুকসহ এই কীর্তি আছে মাত্র ৫ জনের!

তাঁরা হলেন যথাক্রমে রেজিনাল্ড ডাফ (অস্ট্রেলিয়া), বিল পন্সফোর্ড (অস্ট্রেলিয়া), গ্রেগ চ্যাপেল (অস্ট্রেলিয়া), মোহাম্মদ আজহারউদ্দীন (ভারত) এবং অ্যালিস্টেয়ার কুক (ইংল্যান্ড)।

একটা সময় অবধি মনে করা হত, শচীন টেন্ডুলকারের সর্বাধিক টেস্ট রান আর সেঞ্চুরির রেকর্ডটা যদি কেউ ভাঙতে পারেন, তবে সেটা কুকই পারবেন, অন্য কেউ নয়! প্রথমদিকে সেভাবেই খেলছিলেন। তবে ক্যারিয়ার জুড়ে অনেক চড়াই-উৎরাই পেরোনোর পর শেষদিকে আর ছন্দটা ধরে রাখতে পারেন নি। তাই বলে ক্যারিয়ার নিয়ে তাঁর কোন আক্ষেপ কিংবা অতৃপ্তি থাকার কথা নয়। ইংল্যান্ডের হয়ে টেস্ট ক্রিকেটে সর্বকালের সেরা রান সংগ্রাহক, সর্বাধিক সেঞ্চুরির মালিক হওয়ার তৃপ্তি নিয়েই অবসরে গেছেন, এটাই বা কম কিসে?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link