সাদা পোশাকে বছর মাতানোর ফিরিস্তি

পুরনো বছরকে বিদায় দিয়ে নতুন ক্যালেন্ডারে নতুন করে শুরু হয়েছে ক্রিকেট। তবে বিদায়ী বছরকে এত তাড়াতাড়ি ভোলা যায় কি করে, তাই তো গত বারো মাসের সেরা পারফরমারদের স্বীকৃতি দিতে আইসিসি আয়োজন করেছে ‘ক্রিকেটার অব দ্য ইয়ার’ পুরষ্কার। আর টেস্ট ফরম্যাটের ক্ষেত্রে এই পুরষ্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন চারজন।

  • রবিচন্দন অশ্বিন (ভারত)

তৃতীয়বারের মত বর্ষসেরা টেস্ট ক্রিকেটারের সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন অশ্বিন। ২০২৩ সালে মাত্র সাত ম্যাচে ৪১ উইকেট শিকার করেছেন তিনি; এছাড়া একাধিক ম্যাচে ব্যাট হাতে রেখেছিলেন ছোট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ অবদান।

বর্ডার গাভাস্কার ট্রফিতে সবচেয়ে উজ্জ্বল ছিলেন এই অলরাউন্ডার। চার ম্যাচেই নিয়েছিলেন ২৫ উইকেট, সেই সাথে লো স্কোরিং সিরিজে ৮৬ রান এসেছিল তাঁর ব্যাট থেকে। ভারতকে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপের ফাইনালে তোলার পিছনেও অনস্বীকার্য ভূমিকা ছিল এই তারকার, যদিও ফাইনালে খেলার সৌভাগ্য হয়নি।

  • ট্রাভিস হেড (অস্ট্রেলিয়া)

ওয়ানডে বিশ্বকাপে পারফরম্যান্সের দরুণ বিশ্বজুড়েই হেডের খ্যাতি আড়াল করেছে বাকি সবকিছুকেই; এমনকি বছর জুড়ে টেস্টে তাঁর পারফরম্যান্সও ছায়ায় পড়ে গিয়েছে। অথচ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপের ফাইনালে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করে অস্ট্রেলিয়াকে শিরোপা জিতিয়েছেন তিনি, আবার অ্যাশেজেও টানা তিন ম্যাচে তিনটা হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন।

সবমিলিয়ে গত এক বছরে ১২ ম্যাচ খেলে ৯১৯ রান করেছেন এই ব্যাটার। সংখ্যা তত্ত্বে কিছুটা পিছিয়ে আছেন মনে হলেও ইম্প্যাক্ট বিবেচনায় তিনি পিছনে ফেলেছেন প্রায় সবাইকে।

  • উসমান খাজা (অস্ট্রেলিয়া)

২০২২ সালে বিস্ময়কর প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখেছিলেন উসমান খাজা। ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন পরের সময়টাতেও, ২০২৩ সালে ১৩ ম্যাচ খেলে করেছেন ১২১০ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলেছিলেন ১৯৫ রানের অতিমানবীয় এক ইনিংস, ভারতের বিপক্ষে সিরিজে হয়েছিলেন সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক।

তবে এই ওপেনার নিজের সেরাটা দিয়েছেন অ্যাশেজে, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মর্যাদার লড়াইয়ে ৪৯৬ রান এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে। সবমিলিয়ে ১২১০ রান করার মধ্য দিয়ে একমাত্র ব্যাটার হিসেবে গত বছর হাজারি ক্লাবে ঢুকতে পেরেছেন তিনি।

  • জো রুট (ইংল্যান্ড)

ইংল্যান্ডের জন্য ২০২৩ সাল ভাল কাটেনি, তবে জো রুট উজ্জ্বল ছিলেন বরাবরের মতই। বছরের শুরুতেই নিউজিল্যান্ড সফরে এক সেঞ্চুরি ও দুই ফিফটির দেখা পেয়েছিলেন তিনি। পরবর্তীতে অ্যাশেজ ড্র করার ক্ষেত্রেও অবদান রেখেছিলেন এই ডানহাতি। ধারাবাহিক রান করার পাশাপাশি উইকেটও তুলেছেন তিনি, সবমিলিয়ে আট উইকেট নিজের ঝুলিতে পুরেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link