মুশফিকুর রহিমের আউট নিয়ে সরগরম মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম। মোহামেডানের নাঈম হাসানের বোলিংয়ে বাউন্ডারি লাইনে মুশফিকুর রহিমের দারুণ একটা ক্যাচ ধরেছিলেন আবু হায়দার রনি।
প্রাইম ব্যাংকের ইনিংসের ৩৪ তম ওভারের কথা। খালি চোখে দুর্দান্ত একটা ক্যাচ। যেন এক উড়ন্ত বাজপাখি। কিন্তু, ব্যাপার হল, ক্যাচ ধরে ফলথ্রুতে শরীরকে নিয়ন্ত্রনে রাখতে গিয়ে তাঁর একটা পা ছুঁয়ে যায় বাউন্ডারি লাইনে।
মুশফিকুর রহিম যখন মাথা নিচু করে ফিরছিলেন বাউন্ডারি লাইনে তখনই প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব প্রতিবাদ করে। অবশ্যই নেতৃত্বে ছিলেন তামিম ইকবাল। আম্পায়াররা আবারও কয়েক দফা রিপ্লেও চেক করেন।
উত্তপ্ত হয়ে চতুর্থ আম্পায়ার শাহীন আল আসাদ আলভির সাথে কথা বলতে দেখা যায় প্রাইম ব্যাংকের কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন ও সিনিয়র ক্রিকেটার তামিম ইকবালকে।
সমস্যা হল, ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের ম্যাচ গুলোতে কোনো থার্ড আম্পায়ার নেই। ফলে, অনফিল্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই শেষ কথা।
মাঠে থাকা মোহামেডানের অধিনায়ক ইমরুল কায়েস অহেতুক কালক্ষেপণ নিয়ে অসন্তোষ জানান। মুশফিকুর রহিম বাউন্ডারি লাইন থেকে এগিয়ে এসে কথা বলেন অনফিল্ড আম্পায়ারদের সাথে।
আলাপের ধরণে বোঝা যায়, তিনি সিন্ধান্তটা মেনে নিয়েছেন বটে। তবে, মন থেকে মানেননি। মুশফিক ফিরে আসেন ডাগ আউটের দিকে।
মুশফিক চলে যাওয়ার পর ক্রিজে থাকা অপর ব্যাটার জাকির হাসানের সাথে কথা বলতে দেখা যায় দর্শনীয় ক্যাচ নেওয়া আবু হায়দার রনিকে। তাঁর অঙ্গভঙ্গিতে মনে হচ্ছিল যে তিনি বোঝাতে চাইছেন যে ঠিকভাবেই ক্যাচটা ধরেছেন তিনি।
মোহামেডান দল বারবারই এটাকে বৈধ ক্যাচ বলে দাবি করে। মোহামেডান নিজেদের দাবি ফিরিয়ে নেবে বলেও সাফ জানিয়ে দেয়।
বর্ষিয়ান ক্রিকেটার মুশফিক রহিম আউট হওয়ার আগে করেন ১২ বলে ১০ রান। তৃতীয় আম্পায়ার না থাকায় আউট হয়েছিল কি হয়নি – সেটা বোঝার কোনো উপায় শেষ অবধি ছিল না।
এরপরও মুশফিক বারবার ফিরে এসে সমাধান চাইতে থাকেন। অনফিল্ড আম্পায়ার মনিরুজ্জামানের সাথে লম্বা সময় তর্ক করেন তামিম ইকবাল। তবে, শেষ রক্ষা হয়নি।
প্রাইম ব্যাংকের ডাগ আউট অবশ্য মোহামেডানকে দোষারোপ করতে ছাড়েনি। ডাগ আউট থেকে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেটাররা তাচ্ছিল্য করে বলতে থাকেন, ‘শাবাস মোহামেডান।’