আইপিএল ২০২১, অভিষেক মৌসুম খেলতে এসেই সেবার হইচই ফেলে দিয়েছিলেন ভেঙ্কটেশ আইয়ার। চল্লিশের বেশি গড় আর ১৩০ ছুই ছুই স্ট্রাইক রেটে করেছিলেন ৩৭০ রান, ফলাফল জাতীয় দলে ডাক পেয়েছিলেন সেই বছরেই।
কিন্তু, ছন্দপতন ঘটে তাঁর, পরের দুই বছর কেবল নিজেকে হারিয়ে খুঁজেছেন। চলমান আইপিএলে অবশ্য আবারো চেনা ছন্দে ফিরলেন তিনি, করলেন ম্যাচ জেতানো পারফরম্যান্স।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে কেবল ৩০ বল খেলেই ৫০ রান করেছেন এই বাঁ-হাতি। তাতেই সহজ জয় পেয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। আর সেই সাথে এবারের আসরে প্রথমবারের মত জয়ের স্বাদ পেলো কোন সফরকারী দল।
আগে ব্যাট করতে নেমে এদিন দ্বিতীয় ওভারেই আউট হন অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস। তবে ক্যামেরন গ্রিনকে সঙ্গে নিয়ে পাওয়ার প্লের পূর্ণ ফায়দা আদায় করেন বিরাট কোহলি। দু’জনের অনবদ্য ব্যাটিংয়ে প্রথম ছয় ওভারে ৬১ রান তোলে ব্যাঙ্গালুরু। যদিও ৩১ রান করে গ্রিন আউট হলে রানের গতি কমে আসে খানিকটা।
মাঝের ওভারগুলোতে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল চেষ্টা করেছিলেন হাত খুলে খেলার। তবে ২৮ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। ততক্ষণে অবশ্য হাফসেঞ্চুরির মাইলফলক স্পর্শ করেছেন কোহলি। হাফসেঞ্চুরি করেই থেমে থাকেননি তিনি; শেষপর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন, করেছেন ৫৯ বলে ৮৩ রান।
অন্যপ্রান্তে ফিনিশার দীনেশ কার্তিকের ব্যাট থেকে এসেছিল ৮ বলে ২০ রানের ক্যামিও। তাতেই ১৮৩ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিতে সক্ষম হয় দলটি। যদিও পাহাড়সম রান তাড়ার কাজটা মুহুর্তের মাঝে সহজ হয়ে যায় সুনীল নারাইনের ঝড়ে।
ওপেনিংয়ে নেমে স্রেফ ২২ বলে ৪৭ রান করেন তিনি। আরেক ওপেনার ফিলিপ সল্ট করেন ৩০ রান। এই দুই ব্যাটারের তাণ্ডবের কল্যাণে মাত্র নবম ওভারেই দলীয় শতকের দেখা পায় কলকাতা।
মাঝে দুই ওভারে দু’জনকে ফিরিয়ে বোলাররা ম্যাচ জমানোর একটা চেষ্টা করেছিল বটে কিন্তু ভেঙ্কটেশ আইয়ার সেটা সফল হতে দেননি। শুরু থেকেই আগ্রাসী ক্রিকেট খেলেছেন তিনি, প্রতিপক্ষকে কোন সুযোগই দেননি ঘুরে দাঁড়ানোর।
১৬তম ওভারে আউট হওয়ার আগে হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন এই ব্যাটার। ততক্ষণে দলের জয়ও নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। শেষপর্যন্ত ছক্কা হাঁকিয়ে সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন রাইডার্স কাপ্তান শ্রেয়াস আইয়ার, তাঁর অপরাজিত ৩৯ রানে সাত উইকেটের জয় পায় দলটি।