যেভাবে ব্যাটিং করেছেন, সেটা পরিস্থিতি অনুযায়ী আদর্শ ছিল না। উইকেট ছিল ব্যাটিংয়ের পক্ষে, ম্যাচের পরিস্থিতিও চেয়েছিল আগ্রাসী ব্যাটিং। ফলে, সায়িম আইয়ুবের ৩৮ বলে ৫০ রানের ইনিংস নিয়ে খুব বেশি আলোচনা করার সুযোগ নেই। তাঁর দল পেশোয়ার জালমিও আসর শুরু করেছে বিরাট এক পরাজয় নিয়ে।
তবে, মাথায় রাখতে হবে সায়িম আইয়ুব মাঠে ফিরেছেন প্রায় সাড়ে তিন মাস পর। চলতি বছরের জানুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কেপটাউন টেস্টের প্রথম দিনই ফিল্ডিং করতে গিয়ে তিনি ইনজুরিতে পড়েন। পায়ের গোড়ালিতে ফ্র্যাকচার ধরা পড়ে।
সেটা ইনজুরির তোপ এতটাই তীব্র ছিল যে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকেও ছিটকে যান তিনি। তাঁকে হারিয়ে টপ অর্ডার ধুঁকেছে পাকিস্তানের। ফলে, তাঁর ফেরাটা পাকিস্তানের বিবেচনাতেই খুবই গুরুত্ববহ। কারণ, পাকিস্তানও জানে – সায়িম আইয়ুবের ফেরা মানেই টপ অর্ডারে শক্তি বাড়া।
সায়িমের ইনিংসটা শুধু ৫০ রানের নয়। এটা ছিল ফিরে আসার জানান দেওয়া, জানানো হল, তিনি ফুরিয়ে যাননি। বোঝা গেল ভেতরের আগুনটা এখনও ফিঁকে হয়ে যায়নি। তিনটি চার আর চারটি ছক্কায় বুঝিয়ে দিলেন, এখনও পাকিস্তানকে সার্ভিস দিতে তৈরি তিনি।
পেশোয়ার জালমি হেরেছে, বড় ব্যবধানে। কিন্তু পাকিস্তান ক্রিকেটের জন্য ইনিংটা ছিল অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সায়িম ফিরেছেন। আর সায়িম আইয়ুব মানেই ভবিষ্যতের এক সম্ভাবনার নাম, যাকে নিয়ে পাকিস্তান স্বপ্ন দেখে।