স্পোর্টসম্যানশিপের অনন্য এক নিদর্শন সৃষ্টি হল কিংসটাউনের আরনস ভ্যালে গ্রাউন্ডে। সৌজন্যে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। কুশীলব জাকের আলী অনিক ও শামিম হোসেন পাটোয়ারি। চোট পাওয়া ফিল্ডারকে কাতড়াতে দেখে যে রান নেওয়ার জন্য দৌঁড়ানো যায় না – সেটা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন তাঁরা।
অবশ্য, এরপরই বাইশগজে বড় ধরণের শিশুতোষ ভুল করে ফেললেন এই ব্যাটার। ফলাফল, অদ্ভুত এক রান আউট। ধারাভাষ্যে ইয়ান বিশপ বললেন, ‘লাইফ ইজ ক্রুয়েল!’
প্রথমে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশের সামনে তখন ১৪ তম ওভার করতে নেমেছেন গুদাকেশ মোটি। প্রথম বল মিড উইকেটের ওপর নিয়ে মারেন জাকের। দর্শনীয় এক ক্যাচ ধরতে যান ওবেদ ম্যাককয়। ডাইভ দেন। বল হাত ফঁসকে তল পেটে আঘাত হাতে।
ব্যাথায় পেট চেপে ধরে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। ওই সময় বাংলাদেশ দুই রান নিয়ে ফেলেছে। তৃতীয় রান নেওয়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু, শামিমকে আটকে দেন জাকের। দুই রান নিয়েই সন্তুষ্ট থাকে বাংলাদেশ। দারুণ এক স্পোর্টসম্যানশিপের নিদর্শন।
অবশ্য, পরের ওভারেই এই স্পোর্টসম্যানশিপের উচ্ছ্বাস বাতাসে মিলিয়ে গেল বাংলাদেশের। মিড উইকেটে বল পাঠিয়ে দুই রান নিতে যান জাকের আলী। কিন্তু, দ্বিতীয় রান নেওয়ার জন্য আর দৌঁড়াননি শামিম পাটোয়োরি। রান আউটের ফাঁদে বাংলাদেশ।
সাজঘরে ফিরে গিয়েছিলেন জাকের আলী। তবে, রিপ্লেতে দেখা যায় জাকের নয়, রান আউট হয়েছেন শামিম। ফলে, আবার জাকেরকে ফিরিয়ে আনা হয়। জাকের অবশ্য বাংলাদেশের বিপদ বাড়ান। দ্বিতীয় জীবনের দ্বিতীয় বলে আরেকটা টাইট সিঙ্গেল নিতে যান, এবার রান আউট হন শেখ মেহেদী হাসান। হঠাৎ করেই তাসের কেল্লার মত ভেঙে পড়তে শুরু করে বাংলাদেশের ইনিংস!
যদিও, এরপর হিসাব নিকাশ একাই পাল্টে ফেলেন জাকের আলী। ৪১ বলে ৭২ রানের ইনিংস খেলে বাংলাদেশকে এনে দেন ম্যাচের মোমেন্টাম।