টি-টোয়েন্টি মানসিকতা নিয়ে প্রশ্ন বাংলাদেশের অনেকদিনের। এর মধ্যেও অনেক পাওয়ার হিটার এসেছিলেন, যারা হতে পারতেন টি-টোয়েন্টির বিগ থিঙ। কিন্তু, হারিয়ে যান কালের প্রবাহে। তাঁদের নিয়েই আমাদের এই আয়োজন।
- মাহবুবুল করিম
একমাত্র স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে ২৩ বলে ৪৫ রান। স্ট্রাইক রেট ১৯৫। আজকের কথা নয়, এক যুগ আগের কথা নয়। এর আগেই অবশ্য নিষিদ্ধ ইন্ডিয়ান ক্রিকেট লিগে (আইসিএল) খেলে টি-টোয়েন্টির পাঠ পেয়ে গেছেন। যদিও, মাহবুবুল করিম কখনও জাতীয় দল কেন, বিপিএলও খেলতে পারেননি।
- জিয়াউর রহমান
জাতীয় দলের হয়ে ১৪ টি-টোয়েন্টি খেলা জিয়াউর রহমান ভয়ডরহীন ব্যাটার। তবে, তাঁর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার সেই অর্থে কখনওই নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারেনি। টি-টোয়েন্টিতে ১৩০ স্ট্রাইক রেট তাঁর। নি:সন্দেহে আরেকটু সুযোগ প্রাপ্য ছিল তাঁর।
- নাদিফ চৌধুরী
টি-টোয়েন্টির ফিনিশার ভাবা হত তাঁকে। ২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও খেলেছিলেন। কিন্তু, তিন ম্যাচ খেলার পরই তাঁকে আর কখনওই জাতীয় দলের হয়ে বিবেচনা করা হয়নি। এরপর বিপিএল খেলে গেলেও লাইম লাইটে ফেরা হয়নি তাঁর।
- নাজমুল হোসেন মিলন
ছক্কা মিলন নামে পরিচিত ছিলেন। বিপিএলের এক আসরে বড় বড় সব ছক্কা হাঁকিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন। মিডিয়াম পেস বোলিং করতেন। লোয়ার মিডল অর্ডারে রান করতে জানতেন। অবশ্য, ক্যারিয়ার বিশেষ এগোয়নি তাঁর।
- ধীমান ঘোষ
এই নামটাকে ‘অপ্রত্যাশিত’ ধরা যেতে পারে। তবে, একজন উইকেটরক্ষক ব্যাটারের অভিষেক টি-টোয়েন্টিই যদি হয় স্বীকৃত বিশ ওভারের ক্রিকেটে তাঁর প্রথম ম্যাচ তাহলে নড়ে চড়ে বসতেই হয়। হ্যাঁ, টি-টোয়েন্টিতে মুশফিকুর রহিমের আগে বিবেচিত হতেন ধীমান ঘোষ। কিন্তু, এক আইসিএলে যাওয়ার পর আর জাতীয় দলে ফেরা হয়নি তাঁর।
- মেহেদী মারুফ
বিপিএলের বিস্ময়। ঢাকা ডায়নামাইটসের সাফল্যের কাণ্ডারি। ওপেনিংয়ে নেমে কুমার সাঙ্গাকারার চেয়েও ভাল পারফরমার ছিলেন যিনি ওপেনিংয়ে। তারপরও সেই সময় কেন জাতীয় দলে খেলা হল না মেহেদী মারুফের, সেটা নিয়ে গবেষণা হতে পারে। হ্যাঁ, এখনও ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে যাচ্ছেন তিনি।