অমিত প্রতিভা, নিখুঁত পাওয়ার হিটিং ও বাংলাদেশ ক্রিকেট – কথা গুলো এক সাথে বললে দাঁড়ায় সাব্বির রহমান। আজকাল আর তিনি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগেও (বিপিএল) ঠিকঠাক দল পান না।
হাজারও সেই না পাওয়া আক্ষেপের মাঝেই হঠাৎই আলো হয়ে জ্বলে উঠলেন সাব্বির। ভিনটেজ সাব্বিরের ব্যাটে হারানো দিন গুলো ভেসে উঠল এক পলকেই, জিম আফ্রো টি-টেনের ময়দানে।
একাই পাঁচটা ছক্কা হাঁকালেন হারারে বোল্টসের হয়ে। তার পাওয়ার হিটিংয়ের ধ্রুপদী প্রদর্শনীতে খেই হারিয়ে ফেললেন অ্যাডাম মিলনে কিংবা করিম জানাতরা। জিম্বাবুয়ের মাঠে সাব্বিরের ব্যাট জানান দিল, আজও সময় আর সুযোগ পেলে আগুন ঝরাতে জানেন তিনি।
মাত্র ১২ বলের ছোট্ট একটা ইনিংস। তাতেই যতটুকু ঝড় তোলা যায়, সেটাই করে দেখালেন সাব্বির। ব্যাটিং করলেই প্রায় ৩০০ ছুঁয়ে যাওয়া স্ট্রাইক রেটে।
কোনো বাউন্ডারি অবশ্য পাননি, স্রেফ ওভার বাউন্ডারি থেকেই করেন ৩০ রান। সব গুলো ছক্কাই আসল ব্যাটে বলের দারুণ সংযোগ থেকে। এই সাব্বির এতদিন কোথায় লুকিয়ে ছিলেন, কে জানে!
শেষ ওভারটা করলেন আফগানিস্তানের করিম জানাত। সেখান থেকে রান আসল ২০ টা। শেষ অবধি হারারে অবশ্য জিততে পারেনি। সিকান্দার রাজা ১০ বলে ৩৮ রানের এক অতিমানবীয় এক ইনিংস খেলে ম্যাচ লিখে দেন জোবার্গ বাংলা টাইগার্সের নামে। সাথে অতিরিক্ত খাত থেকে আসা ১৯ রানকেও কাঠগড়ায় রাখা যায়।
হারারের পরাজয় নির্ধারিত হয় শেষ বলে গিয়ে। তবে জয় পরাজয় ছাপিয়ে নস্টালজিক সাব্বিরের প্রত্যাবর্তনের অনন্য গল্প ভেবেই ম্যাচটাকে স্মরণ রাখতে পারে বাংলাদেশ ক্রিকেট। এখান থেকেই কি তবে শুরু হলো সাব্বিরের নতুন অধ্যায়ের?