ক্রিকেটের নতুন রূপ, বাজবল নাকি বেসবল!

রানের বন্যা বয়ে গেল ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ৪২ তম ম্যাচে। কলকাতা নাইট রাইডার্সের দেয়া ২৬২ রানের লক্ষ্য রীতিমত ২২ গজকে রণক্ষেত্রে পরিণত করল পাঞ্জাব কিংস। তাইতো ক্রিকেটকে এক ভিন্ন খেলাই মনে হয়েছে পাঞ্জাবের অধিনায়ক স্যাম কারেনের কাছে।

একের একের পর এক দুর্দান্ত শট। বোলার বল করা মাত্রই সেই বল গিয়ে পড়ছে মাঠের সীমানায়, কখনো বা গ্যালারীতে। একেক জন ব্যাটারের ক্রিকেট ব্যাট পরিণত হয়েছিল বেইসবল ব্যাটে। কখনো গায়ের জোরে, কখনো বা সূক্ষ্ম কৌশলে, ব্যাটাররা হাঁকিয়েছেন একেকটি বিশাল ছক্কা। বোলারদের জন্য এ এক বিভীষিকাময় রাত ছিল। ব্যাটার, বোলার কিংবা দর্শক কারো কাছেই ঐ মুহূর্ত কখনো ভুলবার নয়।

পাঞ্জাব অধিনায়ক বলেন, ‘ক্রিকেট বেসবলে পরিণত হচ্ছে, তাই নয় কি? এটা সত্যিই অবিশ্বাস্য। আমরা কিভাবে শুরু করব? দুই পয়েন্টস নিয়ে আমরা সত্যিই আনন্দিত। অবিশ্বাস্য সব খেলা হচ্ছে এখানে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আমরা কঠিন সপ্তাহ পার করে এসেছি (গতপাঁচ ম্যাচের মধ্যে এটাই পাঞ্জাবের প্রথম জয় )। আমরা চেষ্টা করেছি দলগত ভাবে কাজ করার। রানের কথা ভুলে যাও, আমরাই জয় পাওয়ার যোগ্য।’

ব্যাটাররা যেভাবে ব্যাট চালাচ্ছিলেন, মনে হয়েছিল দলের সংগ্রহ ৩০০ এর চেয়ে বেশি হয়ে যাবে। তবে এই ম্যাচে দলগত মোট রান ৩০০ না পার হলেও, হয়েছে সর্বোচ্চ ছক্কা হাঁকানোর এবং সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড। সর্বমোট ৪২ টি ছক্কা হয়েছে এই ম্যাচে। যা সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ এবং মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সন আবার সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর  করা ৩৮ টি ছক্কার রেকর্ডকে ছাপিয়ে যায়।

কুরান শুধুই পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করছিল। এই বিষয়ে কুরান আরো বলেন, ‘আমি মনে করি, ব্যাটাররা বেশ পরিশ্রম করেছে। তাঁরা অনেক দিন যাবত লং হিটিংয়ের প্রশিক্ষণ নিয়েছে। আমার মনে হয়, তাঁদের আত্মবিশ্বাস এবং কোচের দেখানো সঠিক নির্দেশনার ফলেই দারুণ সব ইনিংস উপভোগ করা গিয়েছে। আমি নিশ্চিত যেকেউই এমন অসাধারণ সব ছক্কা দেখতে চাইবে।’

এই ম্যাচে পাঞ্জাবের জনি বেয়ারস্টো মাত্র ৪৮ বলে ৮ চার এবং ৯ ছক্কায় করেন ১০৮ রান। যেখানে তাঁর স্ট্রাইক রেট দাঁড়ায় ২২৫ এর কোঠায়। তাছাড়া একই দলের প্রভসিমরান সিংয়ের ২০ বলে ৫৪ আর কলকাতার সুনীল নারাইনের ৩২ বলে ৭১ রান এবং ফিল সল্টের ৩৭ বলে ৭৫ রানই প্রমাণ করে সেই রাতে ক্রিকেটের বদলে বেসবল খেলেছিল ব্যাটাররা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link